রুপালি ব্যাংকের নিয়োগ কার্যক্রমে ধীরগতি এবং প্যানেলের দীর্ঘসূত্রিতা প্রসঙ্গে। ব্যাংকার্স সিলেকশন কর্তৃক ভাইভা শেষ করে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করার পর নিয়োগ সংক্রান্ত পরবর্তী কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যায়। কোন প্রতিষ্ঠান দ্রুত নিয়োগ দিয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন পরে করে আবার কোন প্রতিষ্ঠান আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন করে তারপর নিয়োগ দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক রেজাল্টের পর নিয়োগ সংক্রান্ত কোন নীতিমালা না থাকায় কোন প্রতিষ্ঠান এক মাসেই নিয়োগ শেষ করে, আবার কোন প্রতিষ্ঠান ৬-৭ মাস থেকে শুরু করে ১ বছর পর্যন্ত সময় নেয়। একজন বেকার চাকরি পাওয়ার পরও দীর্ঘ সময় নিয়োগের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় যেটা খুবই হতাশার এবং দুঃখজনক। তার চেয়েও বড় দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে তারা প্যানেল নামক বিভীষিকার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে। এই দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এক প্রার্থী একি পোস্টে একাধিক প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত হয় যেটা অন্য আরেক বেকারের জন্য আশায় গুড়ে বালি।
ইতোমধ্যে, আমরা সবাই রুপালি ব্যাংকের নিয়োগ কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত। ফাইনাল রেজাল্ট হয়ে ৫/৬ মাস অতিবাহিত হলেও নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে না। এই দীর্ঘসূত্রিতার কারণে চাকরি পেয়েও অনেকের অপেক্ষার শেষ হয় না, আর যার কারণে প্যানেল দিতেও বেশ সময় লাগে। কিন্তু, রুপালি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলে অন্য ব্যাংকের ন্যায় দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব।
সুষ্ঠু নিয়োগ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের আস্থার জায়গা হিসেবে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি পরিচিত। এখন সময় এসেছে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে একটা নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসা যাতে করে ফাইনাল রেজাল্টের ২ মাসের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ শেষ করে এবং প্যানেলের জন্য পরবর্তী কার্যক্রম বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটিতে পাঠায়। এরকম একটা ইন্সট্রাকশন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আসলে সেটা সব প্রতিষ্ঠানকে মানতে বাধ্য। যার ফলে বেকাদের অপেক্ষার শেষ হবে এবং নিয়োগে একটা শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
আশাকরি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কারও যদি এই পোস্ট নজরে আসে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে হাজারো শিক্ষার্থীর আস্থার জায়গা হিসেবে অটুট থাকবে।
ধন্যবাদান্তে,
জাহিদুল ইসলাম
অফিসার-১৮ (জেনারেল), হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (সুপারিশপ্রাপ্ত)
সিনিয়র অফিসার-১৯ (প্যানেল প্রত্যাশী)