ই-ভর্তি সহায়তা সিস্টেম ব্যবহার নির্দেশিকা। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি বিতরণের পাশাপাশি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান করে থাকে। এ লক্ষ্যে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। বর্তমানে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫,০০০.০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮,০০০.০০ টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০,০০০.০০ টাকা হারে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান নীতিমালা এর আলোকে ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছর থেকে এ পর্যন্ত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২০২২ সাল থেকে উক্ত সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে ই-ভর্তি সহায়তা সিস্টেম ব্যবহার নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রাপ্তির জন্য eservice.pmeat.gov.bd/admission/ এ লিংকে প্রবেশ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
-
ভর্তি সহায়তার (বৃত্তি) জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র ২০২২
-
অনার্স উপবৃত্তির আবেদন করুন এখানে…
অনার্স উপবৃত্তি আবেদন পদ্ধতি ২০২২
আবেদন করার জন্য প্রথমে “রেজিষ্ট্রেশন” বাটনে ক্লিক করুন এবং চিত্র ০১-এ প্রদর্শিত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। শিক্ষার্থীর পূর্ণ নাম, অভিভাবকের পূর্ণ নাম, শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর (১৭ ডিজিডের জন্ম সনদ নম্বর), জন্ম তারিখ দিন এবং জেন্ডার সিলেক্ট করতে হবে। এবার স্থায়ী ঠিকানা বিভাগ, জেলা, সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/উপজেলা (যে কোন একটি বাছাই করুন যারা পৌরসভা/উপজেলা সিলেক্ট করবেন তাদের সিটি কর্পোরেশন বাটনের প্রয়োজন নেই), পৌরসভা/উপজেলা, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড পুরণ করতে হবে। তারপর যোগাযোগের তথ্য (মোবাইল নম্বর সবসময় সচল রাখতে হবে) ই-মেইল অ্যাড্রেস ( যদি থাকে), মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, পাসওয়ার্ড নিশ্চিতকরুণ। উক্ত ফরমের সকল তথ্য সঠিকভাবে করতে থাকলে “I’m not a robot” বাটনে ক্লিক করে “নিবন্ধন করুন” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ০১: অনার্স উপবৃত্তি আবেদন করবেন যেভাবে
ধাপ ০২: অনার্স উপবৃত্তি আবেদন করবেন যেভাবে
আবেদনের দ্বিতীয় ধাপে শিক্ষার্থীকর্তৃক প্রদানকৃত মোবাইল নম্বরে একটি “OTP” কোড (কোডটি পেতে ২-৩ মিনিট সময় লাগতে পারে) যাবে। OTP কোডটি চিত্র ০২-এ প্রদর্শিত নির্ধারিত ঘরে প্রদান করে “আমি রোবট নই” বাটনে ক্লিক করে “জমা দিন” বাটনে ক্লিক হবে।
ধাপ ০৩: অনার্স উপবৃত্তি আবেদন করবেন যেভাবে
আবেদনের তৃতীয় ধাপে চিত্র ০৩-এ প্রদর্শিত “লগইন” বাটনে নিবন্ধন ফরমে ব্যবহারকৃত ই-মেইল অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে আপনার প্রদানকৃত পাসওয়ার্ডটি ব্যবহার করে প্রবেশ করতে হবে। Your account is active
ধাপ ০৪: অনার্স উপবৃত্তি আবেদন করবেন যেভাবে
আবেদনের চতুর্থ ধাপে চিত্র ০৪-এ প্রদর্শিত শিক্ষার্থীর একাউন্টে লগইন করে “আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ০৫: অনার্স উপবৃত্তি আবেদন করবেন যেভাবে
“আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করার পর শিক্ষার্থী ছবি, স্বাক্ষর, জন্ম নিবন্ধন এবং অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ছবি/স্ক্যান কপি) চিত্র ০৫-এ প্রদর্শিত নির্ধারিত স্থানে আপলোড করে “সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ০৬: অনার্স উপবৃত্তি আবেদন করবেন যেভাবে
আবেদনের পঞ্চম ধাপে চিত্র ০৫ এ প্রদর্শিত সকল তথ্য সঠিক ভাবে পুরন করুন।
সাধারণ তথ্য : বিজ্ঞপ্তির নম্বর, শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং শিক্ষার্থীর নাম সয়ংক্রিয়ভাবে দেয়া থাকবে। এবার শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে), শিক্ষার্থীর পিতার নাম, পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মাতার নাম,মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, শিক্ষার্থীর জন্ম তারিখ, জেন্ডার, বিভাগ, জেলা, সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/উপজেলা (যে কোন একটি বাছাই করুন যারা পৌরসভা/উপজেলা সিলেক্ট করবেন তাদের সিটি কর্পোরেশন বাটনের প্রয়োজন নেই), পৌরসভা/উপজেলা, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড এবং গ্রাম নাম লিখতে হবে।
অভিভাবকের তথ্য : কোটা (প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম শিক্ষার্থী, নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবাবেরর সদস্য যে কোন একটি সিলেক্ট করতে হবে), অভিভাবকের পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জমির পরিমাণ, বার্ষিক আয় এবং পরিবারের সদস্য সংখ্যা দিতে করতে হবে।
ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানের তথ্য : ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানের বিভাগ, জেলা, উপজেলা, শিক্ষা স্তর, ভর্তিকৃত শ্রেণি, ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানের নাম, ইআইআইএন নম্বর, সর্বশেষ পঠিত শ্রেণি (ভর্তিকৃত শ্রেণির পূর্বের শ্রেণি), জিপিএ স্কেল এবং সর্বশেষ পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ প্রদান করতে হবে।
ব্যাংক/মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের তথ্য: ব্যাংকিং এর ধরণ (মোবাইল ব্যাংকিং/ সাধারণ ব্যাংকিং যে কোনো একটি) সিলেক্ট করতে হবে। যদি সাধারণ ব্যাংকিং হয় সে ক্ষেত্রে ব্যাংক হিসাবের ধরণ (চলতি, সঞ্চয়ী, অন্যান্য যে কোনো একটি), একাউন্ট কার (যার একান্ট নম্বর ব্যবহার করছেন যেমন, নিজ/পিতা/মাতা/ভাই/বোন), ব্যাংকের নাম (বিকাশ, রকেট, নগট, উপায়), ব্যাংকের শাখা, একাউন্টের নাম (ব্যাংক একাউন্টটি যার নামে খোলা হয়েছে তার ইংরেজীতে লিখতে হবে), একাউন্টের নম্বর এবং হিসাবধারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রদান করতে হবে।
আর যদি মোবাইল ব্যাংকিং হয় সেক্ষেত্রে একাউন্ট কার (যার একান্ট নম্বর ব্যবহার করছেন যেমন, নিজ/পিতা/মাতা/ভাই/বোন), ব্যাংকের নাম, জেলা, ব্যাংকের শাখা, একাউন্টের নাম (ব্যাংক একাউন্টটি যার নামে খোলা হয়েছে তার ইংরেজীতে লিখতে হবে), একাউন্টের নম্বর এবং হিসাবধারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রদান করে “সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ০৭: অনার্স উপবৃত্তি আবেদন করবেন যেভাবে
চিত্র ০৬-এ প্রদর্শিত চিত্রের ন্যায় শিক্ষার্থীরা তাদের সরবরাহকৃত তথ্যাদি দেখতে পাবে। “সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করলে আপনার পুরণকৃত ফরমটি সম্পন্ন একসাথে দেখতে পারবে এবং প্রদর্শিত তথ্যসমূহে কোন ত্রুটি থাকলে “পরিবর্তন” বাটনে ক্লিক করে তথ্য পরিবর্তন করতে পারবে। আর যদি সকল তথ্য সঠিকভাবে পুরণ করা হয়ে থাকে তবে “প্রথম ধাপের চূড়ান্ত দাখিল” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ০৮: অনার্স উপবৃত্তি আবেদন করবেন যেভাবে
চিত্র ০৭-এ প্রদর্শিত চিত্রের প্রদর্শিত স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকর্তৃক প্রদানকৃত প্রত্যায়ন অথবা সুপারিশের কপি আপলোড করে “সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করুন।
প্রত্যায়ন অথবা সুপারিশের কপি ডাউনলোড করুন
ধাপ ০৯: অনার্স উপবৃত্তি আবেদন করবেন যেভাবে
“সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করার পর চিত্র ০৮-এ প্রদর্শিত “পিডিএফ ডাউনলোড করুন” বাটনে কিক্ল করতে হবে। উক্ত পিডিএফ ফাইলটি শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হলে ট্রাস্ট বরাবর যোগাযোগ করতে হবে।