যারা এবারের প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষা দিবেন লেখাটা তাদের জন্য, সঠিক দিকনির্দেশনা, পরিশ্রম ও কিছু টেকনিক অবলম্বন করলে এমসিকিউতে ভালো করা সম্ভব। তার আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াটা ভালো করে জানুন , তারপর ভালো করে শুরু করুন।
বিভাগভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি ২০২৩
আরও পড়ুন:
বিভাগভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ধরণঃ
- এমসিকিউতে ৮০ মার্কস
- মৌখিক পরীক্ষায় ২০ মার্কস
- মোট ১০০ মার্কস ।
প্রথমেই একটা জিনিস ক্লিয়ার কনসেপ্ট থাকা জরুরী, প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার এমসিকিউতে ভালো মার্কস পেতে হবে তাহলেই সম্ভবনা তৈরি হবে, টার্গেট করুন প্রিলিতে (৭০-৮০) + ভাইভাতে (১৫-১৮ ) মার্কস। তাহলেই হতে পারে একটা সিট আপনার, প্রসেসটা খুব জটিল না , ইচ্ছা করলেই সম্ভব, অসংখ্য ছাত্রছাত্রীর চাকরী হয়েছে শুধুমাত্র ভালো প্রস্তুতির মাধ্যমে । আর একটা জিনিস মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন ( পরীক্ষার আগেই তো অমুক ত্মুক প্রশ্ন পেয়েছে , ও তো যোগাযোগ করেছে , ওর তো হবেই মামা খালু আছে)।
এবার একটু থামুন ! আপনি যদি শুধুমাত্র এমসিকিউতে ভালো করেন এভারেজ ৭০+ , আপনারই সম্ভবনা বেশি এবং মেধা ও যোগ্যতা দিয়েই চাকরি আপনারই হবে, এটা আমার একেবারে চোখে দেখা বেশ কয়েকজন এমন আছে প্রচুর মেধাবী, চাকরী এমনি হয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হল কিভাবে ভালো করব ? চলুন শুরু করি-
বিভাগভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার যে বিষয়ে প্রশ্ন আসেঃ
- ১. বাংলা ( ১৫- ২০ টি ) প্রশ্ন
- ২. ইংরেজি ( ১৫- ২০ টি ) প্রশ্ন
- ৩. গণিত ( ১৮-২০ টি) প্রশ্ন
- ৪. সাধারণ জ্ঞান ( ১৫ -১৮ টি ) ও
- ৫. কম্পিউটার ও বিজ্ঞান (৩- ৫ টি ) প্রশ্ন আসে ।
এখানে মনে রাখবেন ১ মার্কসের ভ্যালু অনেক , প্রিলি ও ভাইভার মার্কস যোগ করে ফাইনালি আপনাকে সিলেক্টেড এর তালিকায় আসতে হবে, এখানে ১ মার্কস মিস হলে কয়েক লক্ষ ছাত্রছাত্রীর পিছনেও থাকতে পারেন, তাই প্রস্তুতি নিতে হবে সঠিক ভাবে বুলেটপ্রুফ প্রস্তুতি। তাহলে কিভাবে পড়ব ?
বিভাগভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কিভাবে পড়বেনঃ
- প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সাধারণত দুই ভাবে নেওয়া লোক আমি দেখেছি
- ১. যে কোন প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার গাইড + যে কোন জব সল্যুশন + ডাইজেস্ট।
- ২. প্রতিটি বিষয়ের উপর বেসিক বই+ জব সল্যুশন + প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার গাইড।
এখন কিভাবে পড়ব ? কোনটা ভালো ? এখন সোজাসাপ্টা বলি, উপরের যদি পদ্ধতি ১ এপ্লাই করেন তাহলে বিগত লক্ষ লক্ষ প্রশ্ন সমাধান বিভিন্ন জব সল্যুশন বা ডাইজেস্ট বা যে কোন গাইড থেকে করে কিছু প্রশ্ন হুবহু কমন ঠিকই পাবেন কিন্তু লক্ষে কতদূর যেতে পারবেন সেটা অনিশ্চিত । এবং লক্ষ লক্ষ প্রশ্ন থেকে কতগুলো মনে থাকবে সেটাও প্রশ্ন থেকেই যায়। তাহলে কি করব ?
যেটা করা যেতে পারেঃ প্রথমে যে কোন প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার একটি গাইড অনুসরণ করুন এবং আইডিয়া নিন বিগত সালের প্রশ্ন কিভাবে এসেছে। তারপর বিষয়ভিত্তিক বেসিক বইগুলো ভালো করে পড়ুন, প্রশ্ন যেখান থেকেই আসুক না কেন পারবেন, অল্প পড়ে মনে থাকবে বেশি ভালো করবেন। তারপর যে কোন জব সল্যুশন ভালো ভাবে বুঝে সময় নিয়ে বেশ কয়েকবার শেষ করুন, নিজেকে যাচাই করুন, কনফিডেন্স অনেক বেড়ে যাবে। বিগত সালের প্রশ্ন যেমন- বিসিএস সহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন গুলো ভালো ভাবে নিজের আয়ত্তে আনুন, মাঝে মাঝে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন থেকে হুবুহু কমন আসে। মনে রাখবেন কয়েকটা প্রশ্ন কমন দিয়ে হবে না এখানে ভালো মার্কসের জন্য বেসিক বইগুলো অবশ্যই পড়তে হবে।
এমসিকিউতে ভালো মার্কস থাকলে ভাইভা কোন ব্যাপারই না, এমসিকিউই আপনাকে এগিয়ে রাখবে, আমার দেখা অনেকেই এমসিকিউতে ভালো করে চাকরী করছে , তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন এমসিকিউতে। মেধা ও যোগ্যতা দিয়েই চাকরী আপনার হবে।
আপনার প্রিপারেশন যদি একিবারেই নতুন হয় তাহলে বেসিক ক্লিয়ার করে সময় নিয়ে পড়ুন, জয় আপনারই হবে। সবার প্রস্তুতি ভালো হউক সেই কামনায়। বিষয়ভিত্তিক সাব্জেক্টের বিস্তারিত টপিক ধরে ধরে আলোচনা সাজেশন আমার ফেসবুক গ্রুপ বা পেইজে প্রকাশ করব আশা করি আপনার উপকারে আসবে। ধন্যবাদ। (গ্রুপের লিংক পেতে কমেন্টে চোখ রাখুন) সাজেশনটি একান্ত আমার বেক্তিগত , ভালো লাগলে লেখাটি শেয়ার করার অনুরোধ রইল এতে অনেকেই কিছুটা হলেও ধারণা পাবে , না লাগলে এড়িয়ে যাবেন। সবার প্রস্তুতি ভালো হউক সেই কামনায় ,”একটি ভালো বই ও পরিশ্রম বদলে দিতে পারে আপনার সম্ভবনার দোয়ার ” তাই এখনি শুরু করুন