সদ্য সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জন্য! পদায়ন নিয়ে কিছু অপ্রিয় কথা লিখছি,আমার নিজস্ব ধারণা থেকে লিখছি,তবে মিলে গেলে আমি দায়ী নয়। দেশ গড়ার কারিগর প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আশা করি, আপনারা আমাদের কোমলমতি শিশুদের শুধু শিক্ষায় নয় ‘সুশিক্ষায় প্রাথমিক ভিত’ সুন্দর ও সুচারুভাবে গড়ে দিবেন। আজ এই দেশে শিক্ষার চেয়ে সুশিক্ষাটাই বড্ড প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ
- প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদের তথ্য প্রেরণ ২০২৩
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ আদেশপত্র ২০২২
সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের যা জানা দরকার
আপনারা চাকরির শুরুতে একটা ইনক্রিমেন্ট হারাচ্ছেনঃ
যেমন জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে আপনাদের পদায়ন করলে, জুলাই ২০২৩ গিয়ে মূল বেসিকের ৫% ইনক্রিমেন্ট পেতেন, সেটা আপনাদের হচ্ছে, এজন্য আপনারা দূর্ভাগা ভাবতে পারেন নিজেদের কে। এ দূর্ভাগা জন্য দায়ী কিছু ——, (বুঝে নিবেন,সবচেয়ে বড় মাছ)।
আপনাদের পদায়ন ফেব্রুয়ারি/মার্চ মাসে দিলে একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া লাগলো না,এতে মিনিস্ট্রির টাকা বাঁচলো,সাথে সরকারকে তেল দেওয়া গেল।
পুরো প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক বদলি এখন অনলাইনে হয়ে গিয়েছে, ইতিহাসে প্রথম অনলাইন বদলিতে অনেক পুরাতন শিক্ষক (৪.৪ অনলাইন বদলি ধারার কারণে,বদলির আবেদন করতে পারেনি)।
পুরাতন সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের কথা মাথায় রেখে ৪.৪ ধারা সংশোধন করে অধিদপ্তর বা মিনিস্ট্রি নোটিশ জারি করেন,কিন্তু সংশোধিত ৪.৪ ধারার আলোকে, ২য় ধাপে অনলাইন বদলি চালু এখনও চালু হয়নি ,এজন্য ২০২০ সালের শিক্ষকদের পদায়ন দেরি হতে পারে, একান্ত ব্যক্তিগত মতামত।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক বদলি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিবছর জানুয়ারি -৩১মার্চ প্রতি বদলি কার্যক্রম পরিচালিত, এজন্য সিনিয়র সহকারী শিক্ষক অগ্রঅধিকার ভিত্তিতে বদলির সুযোগ পাবে,এজন্যও ২০২০ সালের শিক্ষকদের পদায়ন দেরি হতে পারে। বলা রাখা ভালো করোনার কারণে ২০২০ সালে থেকে অক্টোবর ২০২২২ পর্যন্ত বদলি কার্যক্রম বন্ধ করতে।
সদ্য সুপারিশকৃত শিক্ষকের ভাগ্য হলে, পুরাতন শিক্ষকদের নিয়োগ সাপেক্ষে(নতুন শিক্ষকদের পদায়ন সাপেক্ষে) বদলি দিলে,নতুন শিক্ষকদের পদায়ন অতি দ্রুত হওয়া সম্ভব। কারণ সিনিয়র অনেক সহকারী শিক্ষক ৪-৫ বছর যাবৎ বদলির চেষ্টা করছে, এজন্য নতুন পদায়নকৃত শিক্ষকদের কিছুটা দেরি হতে পারে, পদায়ন।
যেমন ধরুন
- এক স্কুলে চারজন শিক্ষক কর্মরত আছে, ঐ স্কুলে ২০২০ সালের একজন শিক্ষককে(পদায়ন দিয়ে) পাঁচজন শিক্ষক কোটা পূরণ হয়,তখন ঐ স্কুলের সহকারী সিনিয়র শিক্ষক অন্য স্কুলে বদলি হয়ে গেল, আলটিমেটলি,ঐ স্কুলে নতুন পদায়ন শিক্ষক দেওয়ায় শিক্ষক সংখ্যা চার হয়ে গেল।
- ৫ জন থেকে নতুনপদায়নকৃত শিক্ষক,সিনিয়র শিক্ষক কে আলটিমেটলি বদলিতে সহায়তা করলেন,আলটিমেটলি, নতুন পদায়নকৃত শিক্ষক,সিনিয়র টিচারের কাছে পরে জয়েনিং এ অসুবিধা সম্মুখীন হলেন,আশাকরি সবাই আমার কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন।
মামলাজনিত কারণে পদায়ন দেরি হতে পারে,যদি অতি উৎসাহী কেউ রিট করে,তখন একটা ভয় থেকে,যায়, আর কি?
- তবে ৩৭৫৭৪ জনের চাকরির পদায়ন কেউ আটকাতে পারবে না,কারণ তারা কোয়ালিফাই ফাইনালি এ জায়গায় এসেছেন।
আর যদি সিনিয়র শিক্ষকদের বদলি না করিয়ে,
- ২০২০ সালে শিক্ষকদের পদায়ন অতি দ্রুত দেয়,তাহলে নতুনদের জয়েন জানুয়ারী লাস্ট, অথবা ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে।
- কিন্তু আমার নিজস্ব মতামত বলে মার্চের আগে,নতুনদেন পদায়ন দেওয়া প্রায় অসম্ভব, যদি জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি তে যদি নতুনদের পদায়ন, সেটা হবে তাদের জন্য হবে মিরাকল ঘটনা।
সিনিয়র শিক্ষকদের জানুয়ারি -মার্চ বদলি অনলাইনে হলে পদায়ন কমপক্ষে ১ মাস দেরি, নতুনদের।
নতুনরা মাথায় রাখবেন,কারোনাজনিত,৪.৪ ধারার শর্তের কারণে অনেক শিক্ষক, প্রথম অনলাইনে বদলির আবেদন করতে পারিনি, সিনিয়ররা তো একটা সুযোগ, ডিজার্ভ করে,এজন্য টেকনিকালি আপনাদের পদায়ন কিছুটা দেরি হতে পারে।
তিনটি স্কুল choice দিতে হয়,শিক্ষা অফিসের নির্ধারিত ফর্মে, dpeo অফিস টু অফিস ভেরি করতে পারে, এ ব্যাপারে। চাহিদা অনেক সময় নেয়, কিন্তু পদায়নের সময় দেখা যায় ভিন্ন জিনিস,মানে চয়েস লিস্টের স্কুল অনেকে পায়না ,এই জন্য বলেছি,অফিস টু অফিস কিছু জিনিস ভেরি করে।
পছন্দের স্কুল এখন থেকে খুঁজা শুরু করুন,———!
শিক্ষা অফিসে সবার সাথে বিনয়ী আচরণ করুন, সেটা অফিসে কেরানি হলেও,তাতে আপনি লাভবান হবেন। অফিসে কেরানিদের নম্বর ম্যানেজ করে রাখবেন,যাতে পদায়ন, Appointment letter বিষয়ে আপডেট তথ্য পান।
অনেক লেখা লিখলাম, ভুলক্রটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আনিছুর রহমান।