সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদ সংখ্যা বাড়ছে

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, শূন্য পদ যাচাই-বাছাই করেই আগামী ১৪ ডিসেম্বর ফলাফল প্রকাশ করা হবে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন প্রথম আলোকে বলেন প্রকৃত শূন্য পদ আবার যাচাই-বাছাই করার জন্য নতুন করে ফল প্রকাশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, শূন্য পদ যাচাই-বাছাই করে ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে ফল প্রকাশ করা হবে।

 

 

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: বাড়তে পারে ১০ হাজার পদ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদ সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সারাদেশের শিক্ষক শূন্যপদের সংখ্যা নির্ণয় করে শিক্ষক নিয়োগে পদ সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদের সঙ্গে আরো ১০ হাজার পদ যুক্ত করা হতে পারে। সে জন্যই সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল আগামী ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

 

এ নিয়োগে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘কী পরিমাণ সহকারী শিক্ষকদের পদ শূন্য রয়েছে তা জানতে আমরা স্টাডি করছি। তার ভিত্তিতে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদের চাইতে এ সংখ্যা বাড়ানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ নিয়োগ পরিচালনায় গত দুই বছর সময় পার হয়েছে। শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করা অনেকে বিভিন্ন জায়গায় ভালো চাকরি করছেন। সবগুলো বিষয় নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করছি। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের সংখ্যা নির্ণয় করে শিক্ষক নিয়োগে পদ সংখ্যা বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে।’

 

সর্বশেষ শূন্য সব পদে নিয়োগ দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমরা শূন্যপদ ধরব, না কী চলতি বছরের ২২ জুন ধরব, নাকি জানুয়ারি পর্যন্ত ধরব তা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর ওপরে সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় কী পরিমাণে শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে এগুলো নিয়ে কাজ করছি। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের কাজ শেষ হবে। ১৪ ডিসেম্বর শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’

 

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারাদেশে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। প্রতিদিন এ সংখ্যা বাড়ছে। আরো ১০ হাজার

 

শূন্যপদ যোগ করে ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে। জানা গেছে, এ নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একবারেই প্রকাশ করা হবে। ২০২০ সালে সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়োগ পরীক্ষায় মোট আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী। বর্তমানে সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৬২০টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন তিন লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন।

About Nazmul Hasan

Hi! I'm Nazmul Hasan. From Koyra, Khulna. I'm Student of Under National University of Govt. B. L. College, Khulna, Department of Political Science....

Check Also

Comilla Board HSC English 2nd Paper Question Solution 2024

Comilla Board HSC English 2nd paper exam has been conducted today nationwide. Comilla Board HSC …