বাংলাদেশে বেকার সমস্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে কেন

বাংলাদেশে বেকার সমস্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে কেন, যা কাজ পাও তাই করো, চাকরি, ব্যবসা, অফিসিয়াল, নন অফিসিয়াল,সেলস ম্যান, সেলস অফিসার, মার্কেটিং অফিসার, ফ্লোর ইনচার্জ, সার্বেয়ার, স্টোর কীপার, ফিল্ড অফিসার, কালেকশান অফিসার, গার্মেন্টসের কিউসি,টীম মেম্বার থেকে শুরু করে সব কাজ। চাকরি দরকার, চেয়ার না।

কাজ করলে গা ভেঙ্গে যায়না। ইজ্জত ও যায়না। যাদের লজ্জার ভয়ে তুমি এসব কাজ ছোট করে দেখছো, তারা তুমি দুপুরে উপুস করে আছো এটা জানবেও না। তারা তোমারে খাওয়ায় না পড়ায়?

খালি পরামর্শ আর উপদেশ। এইটা কইরো না, হেইটা কইরো না। কিরে ভাই, আমি পানের দোকান করলে আপনার কি? পরামর্শ প্রবণ গোটা জাতি..

কাজে কোন ‘না’ নেই। যাই পাও তাই করো। কর্মই ধর্ম। আর কর্মই ধর্ম করতে গেলে তোমার চর্ম হতে হবে পুরো। একেবারে মোটা চামড়া। পাতলা চামড়ার জন্য এই দুনিয়া না৷ এখানে কথা শুনতে হবে, গালি শুনতে প্রস্তুত থাকা লাগবে।

পানের দোকান দাও, যদিও এতে তোমার গুস্টির জাত চলে যাবে। ইজ্জত ধুলোয় মিশে যাবে। CNG চালাও। মাত্র ৪৫০ টাকা দৈনিক জমা। মাসে আয় প্রায় ৩০০০০/-। ভাবা যায়? অবশ্য এতে তোমার পরিবারের সম্মান হানি হবে৷ তোমার গোস্টিতে কেউ বউ ও দিবে না!

আরে আজব। বিয়ে করতে চাইলে সমস্যা, অবৈধ প্রেমে বাঁধা নেই! না খেয়ে মরলে খোঁজ নেই। CNG চালালে অচ্যুত! অলরেডি পাঠাও উবার তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। পোলাপান এখন আয়ের বহু পথ খুঁজে নিয়েছে৷ তারা ফুড পান্ডায় পিৎজা সাপ্লাই দিয়ে কমিশন নেয়। তাতে তদের বেজ্জতি হয়নি।

অত ভাবনার কিছু নেই। যা খুশি করো। শরবত বিক্রি করো, এখন দারুণ সিজন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান শহরে রুহ আফজা ফ্লেভরের শরবত বিক্রি করতেন। ভারতের নরেন্দ্র মোদি রেল স্টেসানে চা বিক্রি করতেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার বিক্রি করতেন বাদাম।

যাদের তুমি শরম পাচ্ছ, আর দশ বছর পর নিজেই নিজের কাছে লজ্জা পাবা। তারা তোমার কোন উপকারেই আসেনি। লোহার জাহাজ পানিতে ভাসানো হবে জেনে এলাকার লোকজন (সম্ভবত যে সি পেরিয়ারকে) ঢিল মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। অথচ, সেটাই হয়ে গেল সভ্যতার বিশাল আবিস্কার।

যারা হাসে, তারা  ইঁদুরের মত আজীবনই হাসবে। তাদের ধারণা একটাই, ধুর পোলাটারে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।

নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দাও। স্বপ্ন টাকে জিইয়ে রাখো। অনেকে পাগল ডাকবে। আমার ধারণা কিছুটা পাগলা টাইপের হলেই ভালো। সারা জীবন ফার্স্ট হয়ে যাওয়া ছেলেটাকে SSC ক্লাসে ফেল করতে দেখেছি। ব্যাক বেঞ্চারকে বিশাল প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে দেখেছি। মোটর গ্যারাজে আজই কাজ শুরু করে দাও, শরম পাওয়া ছেলেটার চাইতে দশ বছর এগিয়ে থাকবে তুমি।

পড়ালেখা করতে করতে আতেঁল হয়ে যাবার পক্ষে আমি না। এক্সট্রা অর্ডিনারী ব্রেন থাকলে এই পোস্ট তোমার জন্যে না। এভারেজ মেধার তরুণদের নিয়ে কথা হচ্ছে৷ এভারেজ মেধাবীরা কেডিএস, কে এস আর এম, ওয়েল গ্রুপের মালিক হতে পেরেছে। টপার মেধাবীরা সেখানে চাকরি করছে।

এসো তারুণ্যে জাগি, লজ্জাটাকে শিঁকেই তুলে বাঁচি আগামীর পৃথিবীটা তোমার জন্যে অপেক্ষা করছে।

About Nazmul Hasan

Hi! I'm Nazmul Hasan. From Koyra, Khulna. I'm Student of Under National University of Govt. B. L. College, Khulna, Department of Political Science....

Check Also

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তি নীতিমালা ২০২৪

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ। বিএসসি ইন নার্সিং(৪ বছর), ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স …