ডিগ্রি কেন পড়বেন – ডিগ্রি ভর্তি ২০২৪ কবে শুরু হবে?

প্রশ্ন : ডিগ্রি কি?

  • একাডেমিক ডিগ্রী সাধারনত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা (কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়) সফলভাবে সম্পন্ন হবার পর দেয়া হয়। যেমন : অনার্স ডিগ্রী, পাস ডিগ্রী, পিএইচডি ডিগ্রী, এমফিল ডিগ্রী, ডক্টরেট ডিগ্রী, ডিলিট ডিগ্রী ইত্যাদি।

প্রশ্ন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী কোর্স কী?

  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে “স্নাতক(পাস)” কোর্স তথা “ডিগ্রী(পাস)” কোর্সই মূলত আমাদের কাছে ডিগ্রী নামে প্রচলিত। প্রচলিত স্নাতক ডিগ্রীগুলোর মধ্যে “সাধারন স্নাতক ডিগ্রী” হলো এই “পাস ডিগ্রী” বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে “পাস ডিগ্রী” পড়ানো হয়! এছাড়াও ভারত,নেপাল,পাকিস্তানেও “পাস ডিগ্রী” এখলো চালু রয়েছে।

 

আরও পড়ুনঃ ডিগ্রী ভর্তি ২০২৪ – ডিগ্রি ভর্তি ২০২৪ নোটিশ

 

প্রশ্ন : সময় কত দিন! কী কী বিষয়ে পড়ানো হয়?

  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী বা পাসকোর্স ৩ বছর মেয়াদী। এতে BSc(Pass), BBS(Pass), BSS(Pass),BA(Pass) ইত্যাদি পড়ানো হয়; এছাড়াও বিশেষায়িত ভাবে B Sports (Pass), B Music(Pass), Home Economics (Pass) প্রোগ্রাম গুলো রয়েছে। এদের মধ্যে সাইন্সের জন্য BSC, বাণিজ্য বিভাগের জন্য BBS,ও মানবিকের জন্য BSS & BA প্রোগ্রাম গুলো রয়েছে। তবে কোর্স সম্পন্ন করতে ৩ বছরের চেয়েও বেশী লাগবে। [2019 update, ১৮-১৯ সেশন হতে সেশনজট নাই)

প্রশ্ন : মান কেমন? কতটি বিষয় পড়তে হয়! বিষয় গুলো কী ভাবে ঠিক হবে?

  • প্রচলিত স্নাতক প্রোগ্রামের মধ্যে মান হিসেব করতে গেলা তা ঠিক এমন :
  • অনার্স>ডিগ্রী
  • এক বছরে ৭ টি করে বিষয় পড়তে হবে সবাইকে।
  • এর মধ্যে ৩ টি বিষয় সবার জন্য আবশ্যিক, যথাক্রমে :
  • প্রথম বর্ষে – স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ইতিহাস ;
  • ২য় বর্ষে – বাংলা ভাষা;
  • ৩য় বর্ষে – ইংরেজি।
  • বাকী তিনটি বিষয় একজন তার বিভাগ অনুযায়ী বরাদ্ধ বিষয় হতে পছন্দ অনুযায়ী (রেগুলেশন রয়েছে) ৩ টি বিষয় নির্বাচন করবে, যা হতে প্রতি বর্ষে ২ টি করে পত্র থাকবে।

প্রশ্ন : ডিগ্রী পড়ে কী কোন জব করা যায়? বিসিএস দেয়া যাবে?

  • আসলে ডিগ্রীতে যারা স্নাতক সম্পন্ন করেছে তাদের জন্য জব মার্কেট খুবই ন্যারো। আপনাকে আরো বেটার পজিশনে যেতে হলে ডিগ্রীর সাথে সাথে মাস্টার্সটাও শেষ করতে হবে। এরপরই আপনি সব জায়গাই সমানে সমান সুযোগ পাবেন। গভঃ জব গুলোতে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রী থাকলেই চলে, সে ক্ষেত্রে এ জায়গাই আপনি যেতে পারবেন, বিসিএসও দিতে পারবেন মাস্টার্স শেষ করার পর। তবে কিছু প্রাইভেট কোম্পানি তাদের ক্যান্ডিডেট রিক্রুটমেন্ট এ “অনার্স” ডিগ্রী সম্পন্ন এমপ্লয় চাই, তখন পাস ডিগ্রী নিয়ে আপনি সেখানে আবেদন করতে পারবেন না।

প্রশ্ন : ডিগ্রীর পর মাস্টার্স করতে কত সময় লাগে?

  • ডিগ্রীর পর আপনাকে ২ বছর মাস্টার্স করতে হবে, যার প্রথমটি হলো মাস্টার্স প্রিলি বা প্রথম পর্ব, আর পরে মাস্টার্স ফাইনাল। অর্থাৎ স্নাতক(পাস) – ৩ বছর + মাস্টার্স প্রিলি – ১ বছর + মাস্টার্স ফাইনাল ১ বছর = ০৫ বছর।

প্রশ্ন : ডিগ্রীতে যেহেতু কোন সাবজেক্ট মেজর থাকে না তো কীভাবে মাস্টার্স পড়বো?

  • ডিগ্রীতে ভর্তির সময় আপনি নিজের পছন্দমত ৩ টি সাবজেক্ট গ্রহন করবেন। এর থেকে নিজের পছন্দমত ১ টি বিষয় নিয়ে মাস্টার্স প্রিলিতে ভর্তি হতে হবে। প্রিলি সম্পূর্ণ হলে ঐ একই বিষয়ে মাস্টার্স ফাইনাল পড়বেন।
    যেমন : BBS (pass) এর একজন সাবজেক্ট নিলো : একাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট, ইকোনমিক্ম। এখান হতে সে কোন একটি নিয়ে প্রিলি পড়বে, যেমন একাউন্টিং নিয়ে, তখন তা হবে MBS, পরে তাকে আবার একাউন্টিং নিয়েই মাস্টার্স ফাইনালে ভর্তি হতে হবে, তখন তা হবে MBA. [ ডিগ্রীতে সেশনজট রয়েছে! আর মাস্টার্সে ২ বার ভর্তি! সব মিলিয়ে ৫ বছরের বেশী লেগে যাবে ]

 

প্রশ্ন : ন্যারো জব মার্কেট! মূল্যায়নই করা হয় সামাজিক ভাবে কম! এখন কী করা উচিৎ?

  • সবার আগে নিজেকে সংকল্প বদ্ধ হতে হবে, কারো কথায় দমে গেলে চলবে না।dedicated পড়াশুনা চালিয়ে গেলে এখান থেকেও অনেক কিছু করা সম্ভব। নিজের মধ্যে কিছু করার মনোবল দৃঢ় করুন। ডিগ্রী পড়ুয়াদের বড় সমস্যা একটা সময়পর তারা নিজেরাই নিজেদের কাছে হেরে যায়, they give up! নিজের লক্ষ্য স্থির করুন, ‘ইংরেজিতে একটা কথা আছে “Always have A plan B” যদি প্ল্যান A কাজ না করে তখন B, C এমনকি D ও রাখুন।

 

  • ডিগ্রীর পর আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ল কলেজে ভর্তি হতে পারেন, যেখানে ২ বছর মেয়াদি LLB পড়ানো হয়, তা পড়ে আইন পেশায় ক্যারিয়ার বানাতে পারেন। বিসিএস এর জন্য নিজেকে তৈরী করুন, ঢাবির IBA MBA র জন্য প্রিপারেশন নিন।
  • বিজনেস মাইন্ডের হলে সে ক্ষেত্রে নিজেকে ঝালিয়ে নিন। নিজের ক্রিয়েটিভিটি গুলো বের করে আনার চেষ্টা করুন, পাশাপাশি বিভিন্ন কম্পিউটর কোর্স, গ্রাফিক্স কোর্স,হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ফ্যাসন ডিজাইন ইত্যাদি ব্যাতিক্রম ভাবে নিজেকে তৈরী করুন। দেখবেন, কোন কিছুই আপনার পথে বাধা হঢে ধারাতে পারবে না। কিন্তু যদি কর্পোরেট জীবন বেঁচে নেন, সে ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের বেষ্টটাই দিতে হবে।

 

প্রশ্ন: ক্লাস করতে হয়? পরীক্ষা কেমন হয়!

  • ক্লাস করা নিয়ে বাধ্যবাধকতা নাই, পরীক্ষা, রেজাল্ট সব কিছুই অনার্সের অনুরূপ।

প্রশ্ন: ভর্তি যোগ্যতা?

প্রশ্ন: সুযোগ সুবিধা কী?

  • ক্লাস করার বাধ্যবাধকতা নাই, সো যারা জব করছেন ও যারা বিবাহিত তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট।
    খরচও নাই তেমন একটা, পুরো কোর্স শেষ করতে ১৫ হতে ২৫ হাজার টাকা খরচ পড়বে। বেসরকারি কলেজ হলে খরচের পরিমাণ বাড়বে।
  • সাধারনত নিন্ম মধ্যভিত্ত ও দরিদ্র পরিবার হতে belongs করা শিক্ষার্থীদের এক প্রকার বাধ্য হয়ে ডিগ্রী পড়তে দেখা যায়, এজন্য “প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাষ্ট” হতে ডিগ্রী পড়ুয়াদের জন্য উপবৃত্তীর ব্যাবস্থা রয়েছে। এতে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরও বৃত্তি দেয়া হয়।
  • টাকার পরিমান : বছরে ৪৯০০৳, ৩ বছরে ১৪৭০০৳
  • উপবৃত্তির জন্য সার্কুলার দিলে তখন আবেদন করতে হবে

 

ডিগ্রি সম্পর্কিত আর কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

About Nazmul Hasan

Hi! I'm Nazmul Hasan. From Koyra, Khulna. I'm Student of Under National University of Govt. B. L. College, Khulna, Department of Political Science....

Check Also

অনার্স ৪র্থ বর্ষের সিজিপিএ সমস্যা ও সমাধান

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নোটিশ বোর্ড ২০২৪ – NU Recent Notice 2024

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নোটিশ বোর্ড ২০২৪ মূলত ২০২৪ সালের সকল নোটিশ প্রচার করবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের …