অনেকে মন্তব্য করেছেনঃ
Md Arifur Rahmahn
২০০৫ সালে আমরা যখন বুয়েটে ভর্তি হই, স্যার তখন ছিলেন ভর্তি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে। আর OAB তে আমাদের বিভাগ নির্বাচনের ফর্ম পূরণের জন্য ডাকা হয়েছিল, সেদিন আবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার দিন ও ধার্য ছিল। কিন্তু আমাদের অনেক বন্ধুই বুঝতে না পেরে কম টাকা নিয়ে এসেছিলেন, তাই অনেকের কাছেই ফি ছিলনা। স্যারকে ব্যাপারটা বলার পর স্যার মাইকে নিজে ঘোষণা করলেন যে, যাঁদের টাকা লাগবে ফি দেবার জন্য তাঁরা যেন স্যারের কাছ থেকে নিয়ে যান। কিন্তু অনেকেই তারপর জিজ্ঞেস করেছিল যে “স্যার আমরা আপনাকে কখন টাকাটা পরিশোধ করব?” কারণ অনেকেই তো সেদিন ই ঢাকার বাইরে বাড়িতে চলে যাবে। স্যার শুধু বলেছিলেন ” আপনাদের যখন ইচ্ছা দিবেন, না দিলেও সমস্যা নেই”। আমি যদিও স্যারের বিভাগে পড়াশোনা করি নাই। কিন্তু সেদিন থেকে স্যারকে যখন কলিগ হিসাবেও পেয়েছিলাম, সবসময় ই এক অসাধারণ মানুষ মনে হয়েছে। আল্লাহ্ যেন স্যারকে জান্নাতবাসী করেন এই দোয়া করি।
Kamrul Akhandh
উনার সাথে আমার সরাসরি কয়েকবার দেখা হয়েছে, উনি ছিলেন অকৃতদার, নিজের বেতনের পয়সায় চলতেন। কোন গরীমা ছিলনা তাঁর ভেতরে, উনার রুমে একটা কাঠের চেয়ারে বসে অনেক পুরনো পুরনো বই এবং জিনিস পত্রের মাঝে সময় কাটাতেন। আমি দেখেছি যেখানে ব্যাংক এ প্রফেসর রা ম্যানেজার এর চেম্বারে বসে টাকা নিতেন আর স্যার লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা উত্তোলন করতেন — নির্লোভ, সৎ এই মানুষটিকে আল্লাহ জান্নাত নসীব করুক। আমীন।