অনুসন্ধানঃ অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা ডিসেম্বর মাসে হবে? অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথাঃ ২০২০ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কবে কখন হবে তা নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। কারন একটি বিশেষ আরেকটি নিয়মিত।
প্রশ্ন : নিয়মিত যারা অংশগ্রহণ করবেন?
উত্তর : যেসকল শিক্ষার্থী ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত এবং অন্যান্য শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত শিক্ষার্থী।
প্রশ্নঃ অনার্স চতুর্থ বর্ষ (বিশেষ) পরীক্ষা কারা অংশগ্রহণ করবেন?
উত্তর : ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সেই সকল পরীক্ষার্থী যারা এক বা একাধিক বিষয়ে খারাপ করেছেন।
এবার মূল বিষয়ে আসি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা গ্রহনের ধারা হচ্ছে।
- অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা,
- অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা,
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা,
- অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা।
আরও পড়ুনঃ অনার্স ১ম বর্ষ থেকে ৪র্থ বর্ষে প্রশোশনের যোগ্যতা।
এতদিন এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা গুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখাও যায় যে, বহু সংখ্যক শিক্ষার্থী এক বা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েও পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন পাচ্ছে।প্রমোশন লাভের ক্ষেত্রেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে।
অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে, বর্তমানে যে সকল শিক্ষার্থী অনার্স চতুর্থ বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে (২০১৬ -১৭ শিক্ষাবর্ষের) চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছেন তাদের অনেকেরই দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বর্ষে মান উন্নয়ন পরীক্ষা রয়েছে এমনকি তাঁরা সে লক্ষ্যে ফর্মপূরনও সম্পন্ন করেছে।
আরও পড়ুনঃ
অনার্স ৪র্থ বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের বিজ্ঞপ্তি
অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার ফরম ফিলাপের বিজ্ঞপ্তি ২০২১
সবকিছু ঠিকই ছিল এমনকি এটাও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আগেভাগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, অনার্স চতুর্থ বর্ষ (বিশেষ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সেইসকল শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে যারা ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় এক বা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্তকে সবাই স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হলো তখন যখন অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফর্মপূরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো।
বিশেষ এবং নিয়মিত উভয় শিক্ষার্থীদের ফর্মপূরণের বিজ্ঞপ্তি একইসাথে একই সময়সীমা দিয়ে প্রকাশ করা হলো এবং এটা জানানো হলো যে, এ পরীক্ষা ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর থেকেই অনার্স চতুর্থ বর্ষের নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হলো। কারন অধিকাংশ শিক্ষার্থীর সিলেবাস শেষ হয়নি। করোনা মহামারির কারনে শিক্ষার স্বাভাবিক যে ধারা ব্যাহত হয়েছে তাতে অনার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও পড়ে।
শ্রেণিকক্ষে পাঠদানও ছিল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। যার কারনে যেসকল কলেজের শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে তাদেরও প্রস্তুতিতে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে।
এরপর সবথেকে বড় যে সমস্যাটা সেটা হলো বিভিন্ন বর্ষের মান উন্নয়ন পরীক্ষা। অনেকের পূর্ববর্তী বছরের পরীক্ষায় ফেইল আছে এক বা একাধিক বিষয়ে। তাদের কি হবে? তাদের তো সিজিপিএ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে! তাহলে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তাদের কি লাভ হবে?
যদি ধরি, 60% ছাত্র-ছাত্রীর কোনো মান উন্নয়ন পরীক্ষা নেই। তাহলে বাকি 40% ছাত্র-ছাত্রীর কি হবে? তাঁরা কি পারবে চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে।
ব্যক্তিগতভাবে আমিও চাই অতিদ্রুত আমাদের অনার্স কোর্স শেষ হোক কারন চাকরির বয়স তো থেমে নেই। কিন্তু এভাবে তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা গ্রহন করে ফলপ্রকাশ করলে আমাদের সকল সহপাঠী কি সুফল পাবে।
যদি অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা গ্রহন সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যেমনটা অনার্স প্রথম বর্ষের ক্ষেত্রে করা হয়েছিল। তবে পরীক্ষা নিয়ে যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে আমাদের সকল শিক্ষার্থীর মাঝে তা নিরসন হবে এবং এটা একান্তই জরুরী।
️লেখকঃ পি. কুমার
রসায়ন বিভাগ (অনার্স চতুর্থ বর্ষ)
সরকারি পি.সি. কলেজ, বাগেরহাট