The age of application of more than one and 1.5 lakh job candidates is over. We want the age limit for the job to be 32.
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স, মাস্টার্স শেষ করেন রুবেল আহমেদ। চাকরির আবেদনের বয়স শেষ হয়েছে তিন মাস। করোনার কারণে গত এক বছরে আসেনি তেমন কোনো বিজ্ঞপ্তি, করতে পারেননি আবেদনও। টিউশনিও বন্ধ হওয়ায় তার সামনে এখন বড় অনিশ্চয়তায়।
করোনাকালে চাকরির বয়স শেষ হয়েছে দেড় লাখের বেশি প্রার্থীর। এক বছরের বেশি সময় ধরে তেমন কোনো পরীক্ষায়ও বসতে পারেনি তারা। তাদের এ ক্ষতি কীভাবে পোষানো যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেয়া হবে আটকে থাকা প্রজ্ঞাপনও।
চাকরি প্রত্যাশীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন বলছে, করোনাকালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে মাত্র ১৩ শতাংশ। অনেক বিজ্ঞপ্তিই আসেনি। এ সময়ে চাকরির বয়স শেষ হয়েছে দেড় লাখের বেশি প্রার্থীর। সংকট কাটাতে তাই আবেদনের বয়স বাড়ানোর দাবি তাদের।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আগের সিদ্ধান্তে, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর হয়েছে তারা আরও ৫ মাস, ২৫ আগস্ট পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ ছিল। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায়- মন্ত্রণালয় বলছে, এ ক্ষতি কীভাবে পোষানো যায়, তা নিয়ে কাজ চলছে।
সেই সঙ্গে, যেসব চাকরির বিজ্ঞপ্তি আটকে আছে সেগুলো, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর পরই দেয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেছে মন্ত্রণালয়।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বিষয়টি দেশের তরুণদের কাছে অবিচার হিসেবে ধরা দিচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশে একসময় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ছিল ২৫ বছর। স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু দিক থেকেই এই বয়স ২৭ বছরে উন্নীত করা হয়।
১৯৮০-এর দশকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সেশনজটের ফলে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ স্নাতক, বিশেষত স্নাতকোত্তর শিক্ষা ২৭ বছর বয়সের মধ্যে শেষ করতে পারছিল না। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত প্রায় ১৫ বছরের সামরিক-আধা সামরিক শাসনের পর নতুনভাবে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরে এলে সরকার বিষয়টি অনুধাবন করে ১৯৯১ সালে চাকরিতে প্রবেশের বয়স তিন বছর বাড়িয়ে ৩০ বছরে উন্নীত করে।
সুত্রঃ ইনডিপেনডেন্ট