প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেলে (লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পরবর্তীতে ধাপে ধাপে নিয়োগ) চান চাকরিপ্রত্যাশীরা। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং মৌখিক সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণকারী সবাইকে প্যানেলভুক্ত করে অবিলম্বে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেল বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
২০১৮ সালে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে এবারই প্রথম সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হন। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে প্রায় ৩৭ হাজার ১৪৮ জন নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন।
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১০, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল গঠন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও ২০১৮ সালের নিয়োগ কার্যক্রমে প্যানেল গঠনের জন্য এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কার্যকরী কোনো প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এছাড়াও প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করা হয়। শিক্ষক নিয়োগ দ্রুততার মধ্যে শেষ করাসহ নিয়োগ কার্যক্রমে সকল ধরনের কোটা বাতিলের দাবি জানান তারা।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুল বাতেন বলেন, রিট জটিলতার কারণে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোনো সার্কুলার হয়নি। এর মধ্যে অনেকের সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। ফলে বিদ্যালয়ে শূন্য আসনের ভিত্তিতে এই ৩৭ হাজার ১৪৮ জনকে নিয়োগে সুপারিশ করতে হবে।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রাথমিকের সর্বশেষ নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্যানেল করে নিয়োগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা আকুল আবেদন জানাই। প্রধানমন্ত্রী দেশের এসব যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির সুযোগ দিয়ে যুবসমজকে বেকারত্ব থেকে মুক্তি দেবেন বলে আশা করেন তিনি।