২০১৭ – ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা
১। পড়াশোনা শিক্ষাবর্ষের প্রথমার্ধে শুরু করবে।
২। সিলেবাস, রেগুলেশন নিজের কাছে রাখবে।
৩। আইডি কার্ড/লাইব্রেরি কার্ড/ সেমিনার কার্ড দ্রুত কালেক্ট করবে।
৪। ডেইলি রুটিন করে পড়বে। নাহলে সময়ে এক ফোঁড় অসমে দশ ফোঁড় হবে।
৫। যাদের প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন হবে আগেই শুরু করবে। অমুক ফ্রেন্ড শুরু করেনি, অমুক ফ্রেন্ড তমুক ভাইয়ার কাছে পড়ে এমন যুথচারিতা নিয়ে কোন অদক্ষ টিউটরের কাছে পড়বে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন” তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে”
৬। যতটা সম্ভব পাঠ্যপুস্তক/রেফারেন্স বুক পড়বে। নোট গাইডে ভুল থাকার কারণে পরীক্ষার খাতায় লিখলে পরীক্ষক কম মার্কস দেন।
৭। একটি ৪-৬ মাস মেয়াদী কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করে ডেইলি রুটিন করে পড়বে।
৮। যার গণিতে কাঁচা কিন্তু অর্থনীতি বিষয় পেয়েছ তারা আগে থেকেই সতর্ক হও এবং প্রাইভেট পড়া শুরু কর। অর্থনীতি বিভাগে গাণিতিক অর্থনীতিতে ফেল থাকলে অনার্স ডিগ্রি পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাবে। দ্বিতীয় বর্ষেও গণিত/ইংরেজি দুটো চ্যাালেঞ্জ। তাই প্রথম বর্ষের গণিত প্রথম বর্ষেই পাশ করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে।
৯। নিজের আর পঠিত বিষয় দুটোতেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী তৈরি করতে হবে। পরীক্ষার আগের দিন এসে গ্রুপে সাজেশন, শর্ট সাজেশন চাওয়াটা অনভিপ্রেত!
১০। প্রতিটি বিষয়ে আলাদা খাতা রাখবে।
১১। ক্লাস নিয়মিত করবে।
১২। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে নিজেকে প্রশ্ন করবে অনার্স স্টুডেন্ট হিসেবে তোমার সারাদিনের শিক্ষণ, অর্জন কী?
13। প্রয়োজনে ফ্রেন্ড সার্কেল মিলে গ্রুপ স্টাডি করবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আল্লাহ বলেছেন, “উপদেশতো কেবল তারাই গ্রহণ করে যারা বুদ্ধিমান।” আমার সামাজিক দায়িত্ববোধ হতে পোস্ট দিলাম। যারা ক্যারিয়ারে ভালো পারফর্ম করতে চায় তারা মানবে। শিক্ষা জীবন হলো বিনিয়োগের সময়। সময়, শ্রম, অর্থ বিনিয়োগ করলে কর্মজীবনও সুন্দর হবে। সকলের জন্য শুভ কামনা…
লেখাস্বত্ত্বঃ মোঃ অাব্দুল গনি