চাঁদনী হত্যার বিচার দাবি

চাঁদনী সহ দেশের সকল নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছে নারী নির্যাতন দমন চাঁদনী মঞ্চ। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চাঁদনী ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের চার বছর হওয়া সত্ত্বেও বিচার না হওয়ায় প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক জামাল মাদবর, সদস্য সচিব পলাশ খান, যুগ্ন আহ্বায়ক সুমন বেপারী, সায়মা আনজুমান নবনী, কর্মসূচী বিষয়ক সমন্বয়ক জুবায়ের আহমেদ, ফেরদৌস আহমেদ, গাজীপুর জেলা সমন্বয়ক আশামনি আক্তার, প্রচার ও মিডিয়া সহকারী আবদুর রহিম, নাজমুস সাকিব, মাইন উদ্দিন আরিফ ও এনএনডিসিএম এর সকল সদস্যবৃন্দরা।

জামাল মাদবর বলেন, ২০১৫ সালের ১১ই মার্চ শরীয়তপুরের জাজিরা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী চাঁদনী আক্তার হেনা (১৩)কে কতিপয় নরপিশাচরা ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে। চাঁদনীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলেও গত চার বছরেও তদন্তের নামে চলতে থাকে প্রহসন। প্রকৃত আসামীদের আড়াল করে মামলাকে মিটিয়ে দেয়ার অপচেষ্টাও চলে। আজ ৪ বছর পার হলেও ভুক্তভোগী পরিবারসহ আমরা সচেতন নাগরিক সমাজ বিচার পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি। আমরা জানতে চাই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন আজও কার্যকর করতে পারেনি প্রশাসন। আর কোন চাঁদনীর পরিণতি আমরা দেখতে চাই না। আমরা চাই শান্তির বাংলাদেশ। অনতিবিলম্বে এই শিশু শিক্ষার্থী চাঁদনীসহ দেশের সকল নারী এবং শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার চাই। নয়তো নারী নির্যাতন দমন চাঁদনী মঞ্চ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়, মামলারবাদী, চাঁদনীর হতভাগা বাবা, সন্তানের হত্যাকাণ্ডের বিচার না পেয়ে অকালে আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। কতটা লজ্জার বিষয় স্বাধীন দেশের একজন পিতা সন্তানের ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়! আমরা এই সংস্কৃতির অবসান চাই। আমরা চাই এই শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের মুল হোতাদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। উল্লেখ্য যে, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলাধীন ছোট মুলনা গ্রামের আজগর খানের মেয়ে ও জাজিরা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী চাঁদনী আক্তার হেনা গত ২০১৫ সালের ১১ মার্চ একই গ্রামের বান্ধবী পাখি আক্তারের সঙ্গে স্কুলে যাবার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বান্ধবী পাখি বাড়িতে ফিরলেও চাঁদনী আর ফিরে আসেনি। পরে তিনদিন পর চাঁদনীর লাশ বাড়ির কাছেই এক খালে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও সেই মামলায় আজও তেমন অগ্রগতি হয়নি।

About ক্যাম্পাসটাইমসবিডি অনলাইন

Check Also

HSC Suggestion

Chittagong Board HSC Bangla 2nd Paper Question Solution 2024

Check Bengali 2nd Paper Question Solution. The HSC exam 2024 has started simultaneously across the …