হাফেজ মো. কাওসার আহমেদ। জীবনের শিক্ষার হাতেখড়ি মাদরাসায়। মাদরাসা লাইনে পড়াশোনা করে কোরআনের হাফেজ হয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ভর্তি পরীক্ষায় ‘ডি’ ইউনিটে ১৭তম মেধায় সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ভর্তিও হন। স্বপ্ন ছিল বড় ব্যাংকার হবে। এজন্য চতুর্থ বর্ষের শেষ সেমিস্টারে ব্যাংকের জন্য ইন্টার্নিও শেষ করেন কাওসার কিন্তু বড় ব্যাংকার হবার স্বপ্ন পুড়ে ছাই পুরান ঢাকার আগুনে।
হাফেজ মো. কাওসার আহমেদ নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই বহন করতেন। সেজন্য কয়েকজনের সঙ্গে শেয়ারে চুড়িহাট্টায় মদিনা মেডিকেল হল নামে ফার্মেসির ব্যবসা শুরু করেন। গতকাল বুধবার রাতে লাগা আগুনে পুড়ে যায় তার ফার্মেসি।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার এ শিক্ষার্থী তৃতীয় বর্ষে থাকাকালীন বিয়ে করেন। ছিল ১১ মাস বয়সী যমজ বাচ্চাও। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মরদেহ শনাক্তের জন্য এলে কাওসারের ভাই হাফিজ আহমেদ, স্ত্রী ও মায়ের আহাজারিতে সৃষ্টি হয় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি।