মানবদেহ সম্পর্কে অজানা, অদ্ভুত আর মজার সব তথ্য-
১. একজন মানুষের স্নায়ুতন্ত্র এত লম্বা যে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৭ বার পেঁচানো যাবে।
২. কোন অনুভূতি স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয়।
৩. দেহে ও মনে অনুভূতি আসলে তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে ০.১ সেকেন্ড সময় লাগে।
৪. একজন শিশুর জন্মের সময় হাড় থাকে ৩০০ টি।
৫. একজন স্বাভাবিক মানুষের শরীরে চামড়ার পরিমাণ হচ্ছে ২০ বর্গফুট।
৬. একজন মানুষের রক্তের পরিমাণ তার মোট ওজনের ১৩ ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ ৬৫কেজি ওজন মানুষের রক্তের পরিমাণ হল ৫ কেজি।
৭. দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ ২৫০০ কোটি এবং এরা ৪ মাস বাঁচে।
৮. রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ১২ ঘন্টা বাঁচে।
৯. দেহের সব শিরাকে পাশাপাশি সাজালে দেড় একর জমির প্রয়োজন হবে।
১০. ঠোঁটের ছাপ আঙুলের ছাপের মতই, একজন মানুষের ঠোঁটের ছাপও অন্য আরেক জনের ঠোঁটের ছাপের সাথে কখনো মিলবে না।
১১. মানব দেহের সবচে শক্ত হাড় হচ্ছে চোয়ালের হাড়!!
১২. ব্রেন নিজে কোন ব্যথা অনুভব করেনা যদিও ব্রেন ব্যথার অনুভূতি সরবরাহ করে!!
১৩. ব্রেন এর খুব বেশি অক্সিজেন দরকার হয় দেহের মোট প্রয়োজনীয় ক্যালরি আর অক্সিজেন এর শতকরা ২০ ভাগ এর জন্য প্রয়োজন হয়!! যদিও ব্রেন আমাদের দেহের মোট ওজনের মাত্র শতকরা ২ ভাগ।
১৪. ব্রেন এর শতকরা ৮০ ভাগ পানি, এর মানে হচ্ছে আপনাকে সঠিক পরিমানে পানি গ্রহন করতে হবে ব্রেন কে কার্যক্ষম রাখতে হলে।
১৫. আমরা অনেকে ভাবি, ব্রেন দিনে বেশি কার্যকর থাকে কিন্তু সেটা সত্য না আমাদের ব্রেন ঘুমের সময় বেশি কার্যকর থাকে।
১৬. টেকনিক্যাল ভাবে ব্রেন এর সব কিছু ধারন করে রাখার সামর্থ্য আছে এটা যা কিছু অনুভব করে, দেখে, পড়ে, আর শোনে।
১৭. বুদ্ধিমান ব্যক্তির বেশি তামা এবং দস্তা থাকে তাদের চুলে।
১৮. পৃথিবীতে একমাত্র মানুষই হাসতে পারে। অবশ্য হায়নারাও হাসির মতো শব্দ করে, কিন্তু হাসির মর্ম শুধু মানুষই বুঝে।
১৯. না খেয়ে মরার চেয়ে না ঘুমিয়ে আপনি আগে আগে মরতে পারেন। আপনি ১০ দিন না ঘুমালে মারা যেতে পারেন।
২০. একজন মানুষের চামড়ার ওপর রয়েছে ১ কোটি লোমকূপ।
২১. মানুষের শরীরে যে পরিমাণ চর্বি আছে তা দিয়ে ৭ টি বড় জাতের কেক তৈরি সম্ভব।
২২. মানুষের শরীরে ৬৫০ টি পেশী আছে। কোন কোন কাজে ২০০ টি পেশী সক্রিয় হয়। মুখমন্ডলে ৩০ টির বেশী পেশী আছে। হাসতে গেলে ১৫ টির বেশী পেশী সক্রিয় হয়।
২৩. একস্থান থেকে শুরু করে সমগ্র শরীর ঘুরে ঐ স্থানে ফিরে আসতে একটি রক্তকণিকা ১,০০,০০০ কিমি পথ অতিক্রম করে অর্থাৎ ২.৫ বার পৃথিবী অতিক্রম করতে পারে।
২৪. আমাদের মস্তিষ্ক প্রায় ১০,০০০ টি বিভিন্ন গন্ধ চিনতে ও মনে রাখতে পারে।