দেশের সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ মে অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদগ্রহণ শুরু হবে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ)। ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বিডিএস কোর্সে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি। (সরকারি ও বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ/মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট এর জন্য প্রযোজ্য)। “বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’ কর্তৃক প্রণীত ভর্তি নীতিমালা- ২০২৩ অনুযায়ী অনলাইনে নির্ধারিত ছকে আবেদন করতে হবে।
ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা ২০২৩ঃ
ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্ট ২০২৩ঃ
ডেন্টাল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ | বিডিএস কোর্সে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২২-২০২৩
ডেন্টাল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ PDF Download
বিডিএস কোর্সে ভর্তি যোগ্যতাঃ
১. আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২. (ক) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণেচ্ছু শিক্ষার্থীকে ২০২২ সনে এইচএসসি/এ লেভেল/সমমান ও ২০২০ সনে এসএসসি/’ও’ লেভেল/সমমান অথবা ২০২১ সনে এইচএসসি/’এ’ লেভেল/সমমান ও ২০১১ সনে এসএসসি/ ‘ও’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাশের পূর্ববর্তী ০২ (দুই) বছরের মধ্যে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাশ হতে হবে।
(খ) এসএসসি/ ‘ও’লেভেল/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ এবং এইচএসসি/ ‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নসহ উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীরা আবেদনের যোগ্য বিবেচিত হবেন।
৩. এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ হতে হবে।
৪. উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ হতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ এর কম হলে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না ।
৫. সকলের জন্যে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে (Biology) ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০ না থাকলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
৬. ১০০ (একশত) নম্বরের ১০০ (একশত)টি এমসিকিউ প্রশ্নের ১ (এক) ঘন্টার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় বিষয় ভিত্তিক নম্বর বিন্যাস: জীববিজ্ঞান ৩০; রসায়নবিদ্যা ২৫; পদার্থবিদ্যা ২০; ইংরেজি ১৫; সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ) ১০।
- লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম নম্বর প্রাপ্তরা অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন। ভর্তিযোগ্য পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকাসহ ফল প্রকাশ করা হবে।
৭. এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে নিম্নলিখিতভাবে মূল্যায়ন করা হবে:
- ক) এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১৫ গুণ = ৭৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)
- খ) এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ২৫ গুণ = ১২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)
৮. লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং অনুচ্ছেদ ০৭-এ বর্ণিত পদ্ধতিতে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
৯. পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট (Aggregated) নম্বর থেকে ০৫ (পাঁচ) নম্বর বাদ দিয়ে এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট এ ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৮.০ (আট) নম্বর বাদ দিয়ে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
১০. অনলাইনে আবেদন পুরণ করার সময় নির্দেশাবলি www.dgme.gov.bd www.dghs.gov.bd ভালোভাবে পড়ে বুঝে নির্দেশনা অনুযায়ী সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হবে। পরীক্ষা ফি ১০০০/- (এক হাজার) টাকা শুধু প্রি-পেইড টেলিটকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
১১. অনলাইনে আবেদন শুরুর তারিখঃ ২৮-০৩-২০২৩ খ্রি., মঙ্গলবার ( সকাল ১০.০০ টা)
১২. অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখঃ ০৮-০৪-২০২৩ খ্রি, শনিবার ( রাত ১১:৫৯ মি.)
১৩. অনলাইনে আবেদনের ফি জমাদানের শেষ তারিখঃ ০৯-০৪-২০২৩ খ্রি. রবিবার ( রাত ১১.৫৯ মি.)
১৪. প্রবেশ পত্র বিতরণ (ডাউনলোড): ৩০-০৪-২০২৩ খ্রি., রবিবার হতে ০২-০৫-২০২৩ খ্রি., মঙ্গলবার পর্যন্ত
১৫. ভর্তি পরীক্ষার তারিখ: ০৫-০৫-২০২৩ খ্রি. শুক্রবার, সকাল ১০.০০ টা হতে ১১.০০ টা পর্যন্ত
১৬. BDS ভর্তির জন্য Online ফরম পূরণের নিয়মাবলি ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েব সাইট www.mefwd.gov.bd, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.dgme.gov.bd, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.dghs.gov.bd ও http://dgme.teletalk.com.bd হতে জানা যাবে।
১৭. আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণ, নিরীক্ষণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল চূড়ান্তকরণ এবং পুনঃনিরীক্ষণ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হবে। উত্তরপত্র “ওএমআর/আইসিআর (OMR/ICR) মেশিনে পরীক্ষা করা হবে।
১৮. বাংলাদেশি নাগরিক যারা বিদেশি শিক্ষা (O-Level/ A-Level) কার্যক্রমে এসএসসি/এইচএসসি এর সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তাদের মার্কশীট সমূহ বাংলাদেশে প্রচলিত জিপিএতে রূপান্তর করে Equivalence Certificate সংগ্রহ করার পর অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে তাদেরকে পরিচালক, চিকিৎসা শিক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা বরাবরে ২০০০/- (দুই হাজার) টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডারসহ আবেদন (স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মেডিকেল এডুকেশন শাখার কক্ষ নং ২০৪) করে Equivalence Certificate সংগ্রহ করার সময় ID নম্বর নিতে হবে। Equivalence Certificate সংগ্রহ করার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি এর সমমান পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র ও সনদপত্র এবং নম্বরপত্র ও সনদপত্র সমূহের প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত কপি সাথে আনতে হবে। ২০২২-২০২৩ খ্রি. শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রদানকৃত Equivalence Certificate ২০২২-২০২৩ খ্রি. শিক্ষাবর্ষ বিডিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য।
১৯. বাংলাদেশের নাগরিক যারা বিদেশ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি এর সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের নম্বরপত্রসমূহ সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশি দূতাবাস/হাইকমিশন, সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত দূতাবাস/হাইকমিশন এবং শিক্ষা/ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ কর্তৃক আবশ্যিকভাবে সত্যায়িত হতে হবে। বাংলাদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি পাসপোর্টধারীরা কোনোভাবেই এই সুযোগের জন্য বিবেচিত হবেন না ।
২০. বাংলাদেশি নাগরিক শিক্ষার্থী এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর দেশের বাহিরে বিডিএস কোর্সে অধ্যয়ন করতে চাইলে বাধ্যতামূলক ভাবে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ পূর্বক ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে।
২১. কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ভর্তি নীতিমালা নির্ধারিত বিধি বিধান প্রযোজ্য হবে।
২২. ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। যে কোনো কেন্দ্র হতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সমান সুযোগ নিশ্চিত করে।
২৩. পরীক্ষায় অবতীর্ণ/নির্বাচিত কোন প্রার্থীর দেয়া তথ্য (যা পরীক্ষার ফল নির্ধারণে বিবেচিত হতে পারে) অসম্পূর্ণ ও ভুল প্রমাণিত হলে, তার পরীক্ষা/ভর্তি পরীক্ষার ফল/ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। যে কোনো বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশিতো হবে। এখন প্রশ্ন হলো ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় কিভাবে মেধাতালিকা তৈরি করা হয়।ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় যারা সবচেয়ে বেশি নাম্বার পাবে তারাই মেধাতালিকায় স্থান পাবে।যাদের মার্ক বেশি থাকবে তারা সরকারী মেডিকেলে চান্স পাবে আর যাদের মার্ক কম থাকবে তারা বেসরকারীতে চান্স পাবে।যারা ৪০ এর কম পাবে তারা অযোগ্য বলে বিবেচিতো হবে আর যারা ৪০এর বেশি পাবে তারা যেকোন বেসরকারী ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হতে পারবে।