Mist তে পড়ার খরচ ২০২৩

MIST এ পড়াশোনার খরচ। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্তেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় MIST এর খরচ অন্যান্য পাবলিক ইউনিভার্সিটির চেয়ে কিছুটা বেশি। যেমন ক্যাডেট কলেজগুলোর খরচ অন্যান্য সরকারি কলেজের চেয়ে বেশি। পিতামাতার যেকেউ সরকারি চাকরিজীবী বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী (বেসামরিক এবং সামরিক উভয়ের জন্য প্রযোজ্য) হলে, ভর্তির সময় প্রথম সেমিস্টারের সকল খরচ সহ ৯৩,১৫০ টাকা (মেয়ে) / ৯৩,৫৫০ টাকা (ছেলে) লাগে বর্তমানে। যেখান থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করলে কিংবা ভর্তি ক্যান্সেল করলে ২৫,০০০ টাকা ফেরত দেয়া হয়।

পিতামাতা প্রাইভেট চাকরিজীবী/অন্য যেকোন পেশার হলে ১,১১,১৫০ টাকা (মেয়ে) / ১,১১,৫৫০ টাকা (ছেলে)৷ ফেরতযোগ্য ২৫,০০০ টাকা।

  • সেমিস্টার ফি: ২২,৬৫০ টাকা/সেমিস্টার (সবার জন্য সমান) (বাকি ৭ সেমিস্টারের জন্য)
  • সর্বমোট খরচ: সকল খরচ সহ চার বছরে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করতে সরকারী চাকুরীজীবির সন্তানদের সর্বমোট ৩,১৪,৬৫০ টাকা (ফিমেল) / ৩,১৫,১৫০ টাকা (মেল)

 

  • বেসরকারি চাকুরীজীবির সন্তানদের ৩,৮৬,৬৫০ টাকা (ফিমেল) / ৩,৮৭,০৫০ টাকা (মেল) লাগবে।
  • মোট ফেরতযোগ্য টাকা: গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর উপরোক্ত চার বছরের নেয়া সকল খরচ অর্থাৎ ৩ লাখ ১৫ হাজার (সরকারি) বা ৩ লাখ ৮৬ হাজার (বেসরকারি) থেকে মোট ফেরত দেয়া হয় (২৫,০০০ + ৬,৫০০ (থিসিস জমা দেয়ার পর) + ৫,৬০০ (ইন্টার্নশিপের সময় দেয়া হয়) = ৩৭,১০০ টাকা।

 

  • হল ফ্যাসিলিটিজ এবং খরচ: ২ হাজার ২০০ টাকা মাসে। (ছেলে/মেয়ে উভয়ই) খাবার খরচ খাওয়ার উপর নির্ভরশীল। ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। হলে সিট বরাদ্দ পাবার জন্য হল অফিসে আলাদা আবেদন ফর্ম জমা দিয়ে ভাইভা দিতে হয়। হলে সিট নেয়ার সময় সিকিউরিটি মানি বাবদ ৮,৫০০ টাকা দিতে হয়, যা হলের সিট ছেড়ে দিলে বা গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করলে ফেরত দেয়া হয়। (এক্ষেত্রে মাসিক হল চার্জ পরিশোধের মানি রিসিট গুলো হল অফিসে জমা দিতে হয়)

 

  • ওসমানী হল: অধিকাংশের মতে বাংলাদেশের সেরা পাবলিক হল, ওসমানী হল এই MIST এ অবস্থিত। ওসমানী হলের অন্যান্য সুব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে এটাচ বাথরুম, সেপারেট লিফট, জিমনেসিয়াম, মসজিদ/নামাযের রুম, ইনডোর গেমস ফ্যাসিলিটিজ, কমন রুম, ব্রডব্যান্ড আনলিমিটেড ইন্টারনেট কানেকশন, ওয়াইফাই, ওয়াশিং মেশিন এবং আয়রন, ভেন্ডিং মেশিন ইত্যাদি। ওসমানী হলের টোটাল সিট ক্যাপাসিটি ৫২০ জন (মেল উইং+ফিমেল উইং)। ওসমানী হল ছাড়াও কয়েকটি ছাত্র-ছাত্রী হল রয়েছে (এক্সটেনশন)।

 

  • হলের খাবারের মেনু: সপ্তাহে একদিন গরু+পোলাও+চাইনিজ ভেজিটেবল (শুক্র/শনিবার), একদিন দুপুরে গরু+ভুনাখিচুড়ি (মংগলবার), একদিন রাতে বিফ তেহারী/খাসির কাচ্চি (রবিবার), একদিন রাতে গরুর কালাভুনা (বৃহস্পতিবার), বাকি তিনদিন দুপুরে মুরগি রাতে বড় মাছ (ইলিশ/রুই)
    মেয়েদের হলে বিকালে চা/নাস্তা দেয়া হয়। খাবারের মেনু এবং টাইমিং মেস কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবর্তনশীল৷ এছাড়া প্রায় প্রতি মাসেই রয়েছে হল ফেস্টের আয়োজন যেখানে আবাসিক অনাবাসিক সকল ছাত্র আমন্ত্রিত হয়।

MIST সম্পর্কে বিস্তারিত: মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি;সংক্ষেপে এমআইএসটি) বাংলাদেশর একটি সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, যা মিরপুর সেনানিবাস-এ অবস্থিত। এটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা যা প্রকৌশলে উচ্চশিক্ষা প্রদান করে থাকে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু আশাবাদ ব্যক্ত করেন, একদিন উন্নত বিশ্বের গবেষক ও প্রকৌশলীগণ বাংলাদেশে আসবেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি অত্যাধুনিক প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন দেখেছিলেন।

 

১৯৯৮ সালের ১৯ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্নকল্পের বাস্তব রূপায়ণে এবং বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর কারিগরি উন্নয়নকল্পে ঢাকাস্থ মিরপুর সেনানিবাসে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর অফিসারদের বিএসসি প্রকৌশল অধ্যয়ন করার জন্য এমআইএসটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাথমিক অবস্থায় পুরকৌশল, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হলেও পরবর্তীতে অন্যান্য নতুন প্রকৌশল বিভাগ খোলা হয়।

 

২০০৮ সালের আগে এমআইএসটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে এটি বিইউপি অধিভুক্ত। পূর্বে শুধু সামরিক বাহিনীর অফিসারদের অংশগ্রহণ থাকলেও ২০০২ সাল থেকে বেসামরিক শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পায়। এমআইএসটিতে বর্তমানে ৪ টি অনুষদে ১২ টি প্রকৌশল এবং স্থাপত্য বিভাগ রয়েছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং /এম. ইঞ্জিনিয়ারিং, এম. ফিল. এবং পিএইচডি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী প্রদান করে থাকে এমআইএসটি। এর কর্তৃপক্ষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অধিক্ষক (পরিচালক বোর্ড) সামরিক বাহিনী (সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী)।

 

১৩০ জন পিএইচডি হোল্ডারসহ মোট ৩৫০ জন শিক্ষক রয়েছেন। ২০ জন শিক্ষক পিএইচডি করছেন। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেলে বর্তমান ছাত্রসংখ্যা ৩৪০০+, পোস্টগ্র্যাজুয়েট লেভেলে ছাত্রসংখ্যা ৬০০+ এবং পিএইচডি লেভেলে ছাত্রসংখ্যা ৫০ জন। গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার সংখ্যা (২০২২) সাল পর্যন্ত ৭২০০+ জন। প্রকৌশল শিক্ষায় উৎকর্ষ সাধনের জন্য অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি এবং গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ সরকার এমআইএসটিতে। বর্তমানে সকল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি এক্রেডিটেশন বোর্ড (বি.এ.ই.টি.ই), ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আই.ই.বি) হতে সনদপ্রাপ্ত।

About Nazmul Hasan

Hi! I'm Nazmul Hasan. From Koyra, Khulna. I'm Student of Under National University of Govt. B. L. College, Khulna, Department of Political Science....

Check Also

কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রভাইডার নিয়োগ পরীক্ষা - ৭৯৮ পদের পরীক্ষা ১১ নভেম্বর ২০২২

আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ভর্তি ফলাফল ২০২৪

২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি এবং ফার্মেসী কোর্সে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার …