★ কলেজ পরিবর্তন : ছাড়পত্র বা TC ★
.
কলেজ পরিবর্তন (টিসি) রুলসঃ
ক) সরকারি কলেজ হইতে সরকারি কলেজ, আবেদন করা যাবে।। ?
খ) সরকারি কলেজ হইতে বেসরকরি কলেজ, আবেদন করা যাবে ।⏩
গ) বেসরকারি কলেজ হইতে কেবল বেসরকরি কলেজ, আবেদন করা যাবে ।⏩
ঘ) বেসরকারি কলেজ হইতে সরকারি কলেজ, আবেদন করা যাইবে না ।?
ঙ) এক জেলার এক কলেজ হতে অন্য কলেজে টিসি আবেদন করা যাইবে না।?
[ মেয়েদের ক্ষেত্রে শীতিলযোগ্য ]♻চ) রিলিজস্লিপে ভর্তি হলে : প্রথমে ভর্তির জন্য এক কলেজে আবেদন করলে ও পরে অন্য কোন কলেজে রিলিজের মাধ্যমে ভর্তি হলে, প্রথমে আবেদনকৃত কলেজে টিসি আবেদন করা যাইবে না।?
ছ) টিসি আবেদন করা যায় : অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন হইতে পরবর্তি ৪৫ দিন পর্যন্ত ✔
জ) বিশেষ কারনবশত ২য় ও ৩য় বর্ষেও আবেদন করা যাইবে।✔
ঝ) যথাযত কারন ছাড়া আবেদন গ্রহনযোগ্য নয়।?
.
যেসব কারনে টিসি আবেদন করা যাইবেঃ
পিতা/মাতা/স্বামী’র বদলী জনিত কারনে
ক) চাকুরীরত অভিভাবক (পিতা/মাতা/স্বামী) – অন্য জেলাই বদলি হইলে, চাকুরীরত অভিভাবকের বদলীর আদেশ, যোগদানপত্র, চাকুরীর আইডি কার্ড, অভিভাকের সম্মতিপত্র আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হইবে। (শুধুমাত্র “সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/ আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অভিভাকের জন্য প্রযোজ্য)
খ) শর্ত ২ (ক) এ উল্ল্যেখিত অভিভাকের মধ্যে পিতা/মাতা জীবিত না থাকলে/ অসমর্থ হইলে আইনানুগ অভিভাকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হইবে।
পিতা/মাতা/অভিবাবকের মৃত্যু জনিত কারনে
ক) অভিভাকের মৃত্যুজনিত কারনে স্থানীয় চেয়ারম্যানের প্রত্যায়ণ পত্র, ডেথ সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদন পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করিতে হইবে। অভিভাকের মৃত্যুজনিত কারনে অভিভাবকত্ব যার উপর অর্পিত হয়েছে তার সম্মতিপত্র, তার কর্মস্থল / বসবাসের প্রামান্য কাগজ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
.
বৈবাহিক কারনের ক্ষেত্রেঃ
ক) স্নাতক (সম্মান) / Hon’s এ ভর্তি হওয়ার পর কোন মেয়ে শিক্ষার্থী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইলে সে ক্ষেত্রে বিবাহের কাবিননামা ও স্বামীর কর্মস্থল / বসবাসের ঠিকানার প্রামান্য কাগজ ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হইবে।
খ) হিন্দু/ বৌদ্ধ / খ্রীষ্টান ধর্মীয় অনুসারীদের ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা/ ইউপি চেয়ারম্যান / ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রত্যায়ণপত্র, স্বামী – স্ত্রীর যৌথ ছবি ও বিয়ের দাওয়াতপত্র, স্বামী যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তার প্রত্যায়ণ পত্র, বসবাসের প্রামান্য কাগজ ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
.
অন্যান্য
ক) শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী হইলে সমাজকল্যাণ দপ্তরের সনদ জমা দিতে হইবে।
খ) সংশ্লিষ্ট কলেজের বা অধিভুক্ত বিষয়ের পাঠদান স্থগিত হইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শন বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত স্থগিতাদেশ পত্র সংযুক্ত করতে হইবে, এবং এ ক্ষেত্রে একই জিলার মধ্যে ট্রান্সফার নেয়া যাইবে।
গ) শিক্ষার্থী তার স্থায়ী ঠিকনার নিকটবর্তী কলেজে যৌক্তিক কারনে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবে।
.
আবেদনের নিয়মাবলী :
একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দিন থেকে পরবর্তি ৪৫ দিন পর্যন্ত অন-লাইনে ছাড়পত্রের জন্য প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে।
এসময় আবেদনের সাথে প্রার্থীর মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করতে হবে। প্রার্থীর আবেদন যাচাই বাচাই করে এক সপ্তাহের মধ্যেই SMS এর মাধ্যমে প্রার্থীকে আবেদন বিবেচনাযোগ্য কিনা তা জানিয়ে দেয়া হইবে।
আবেদন গ্রহণযোগ্য হইলে প্রার্থীকে নির্ধারীত ফি’স সহ ফরমে বিশ্ববিদ্যালয়ে চুড়ান্ত আবেদনপত্র জমা দিতে হইবে। এই চুড়ান্ত আবেদন পত্রের সাথে কেবল ছাড়পত্র প্রদানকারী কলেজের অনাপত্তিপত্র জমা দিতে হবে।
উল্ল্যেখ্য যে – শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষে ছাড়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থী যে কলেজে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সে কলেজের প্রার্থীর বিষয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক সংখ্যানুপাতের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হইবে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক সংখ্যানুপাত Optimum সংখ্যার অনেক বেশী হইলে প্রার্থীর আবেদন বিবেচনা করা হইবে না।
যা জমা দিতে হইবে
শিক্ষার্থীর রেজিষ্ট্রেশন কার্ড।
শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র।
শিক্ষার্থীর পরিক্ষার ফলাফলের কপি।
উল্লেখিত কারন গুলো হতে যেটি প্রযোজ্য তার সংস্লিষ্ট ডকুমেন্টস।
একাদিক বার ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা যাইবে না।
ফি’স
প্রাথমিক আবেদন ফি ১০০৳ + ভ্যাট
চুড়ান্ত আবেদন ফি ১০০০৳ + ভ্যাট
বর্তমানে পঠিত কলেজের দাবীকৃত পাওনা টাকা।