জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসিই! ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিষয়টি খুব দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং যারা প্রযুক্তিনির্ভর পেশায় নিয়োজিত হতে চান, তাদের জন্য এটি উন্মোচিত করেছে একটি অমিত সম্ভাবনার। বর্তমান বিশ্বে এ বিষয়ের চাহিদা ব্যাপক।
তাই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল শিক্ষা চালু করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইএসটি) এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে রয়েছে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর আইএসটি’র স্নাতক ডিগ্রিধারী ছাত্ররা চাকরি ক্ষেত্রে দেশের খ্যাতনামা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করছেন।
বিশেষ করে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা ও এর উপযোগিতা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হওয়ার ফলে সেই পরিস্থতির সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অর্থনীতির আকার দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে। সে সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ছে বহির্বিশ্বের সঙ্গে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে নিজেকে অন্যের কাছে তুলে ধরা বা যেকোনো নতুন সুযোগকে কাজে লাগাতে তথ্যপ্রযুক্তির ছেলেমেয়েরাই এগিয়ে থাকে। নিজেকে তুলে ধরতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারেও তারা অনেক বেশি পারদর্শী হয়।
এসব দিককে সামনে রেখে আজ থেকে ২৪ বছর আগে যাত্রা শুরু হয়েছিল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা পরিচালিত আইএসটিতে রয়েছে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং। গুণগত মানসম্পন্ন স্নাতক তৈরির ক্ষেত্র হিসেবে অক্ষুণ্ন থাকাই হলো এ বিষয়ের লক্ষ্য। আর প্রত্যেক স্নাতক দেশে এবং দেশের বাইরে প্রচলিত ও আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সক্ষম কিনা এটি নিশ্চিত করা এ বিষয়টির উদ্দেশ্য। আইএসটিতে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে খরচ হবে ১,৮৫,০০০ টাকা।
দরিদ্র মেধাবীদের জন্য আইএসটিতে রয়েছে এসআর ফান্ড এবং এতিম মেধাবী ছাত্রীদের জন্য রয়েছে আরএইচ ফান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যাপকবৃন্দ এবং বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে সজ্জিত আইএসটির পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত সুগঠিত। এ বিষয়ে আরও জানতে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭২৬৯৩৭৯১০ নম্বরে। অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রভাষকবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত অনুষদের শিক্ষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত।
আইএসটি থেকে অনেক শিক্ষার্থীরা গ্রাজুয়েশন করে এখন সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত আছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম, আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, ইলেক্ট্রনিকস ল্যাব, অডিটোরিয়াম, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আইএসটিকে করেছে সমুদ্ধশালী। সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন ক্লাব যেমন- পিসি আইএসটি, ইসিআরসি আইএসটি, বিসিসি, ডিবেটিং ক্লাব ইত্যাদি। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আবেদনের শেষ তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৬। ভিজিট করতে পারেন www.ist.edu.bd ঠিকানায়।