ডিগ্রি পড়া কি আসলে লজ্জার কোনো কথা?? ডিগ্রী পড়ে কী কোন জব করা যায়?,ডিগ্রী পড়ে কী কোন বিসিএস দেয়া যাবে?,ডিগ্রীর পর মাস্টার্স করতে কত সময় লাগে?
1️⃣ ডিগ্রি তে যারা পড়ে সরকার প্রতি বছর তাদের ৫০০০ হাজার টাকা বকশিস দেয় (উপবৃত্তি)। যেটা দিয়ে আপনি আপনার পড়ালেখার খরচ চালাতে পারবেন।
2️⃣ডিগ্রি যারা পড়ে তাদের গ্র্যাজুয়েট হয়ে চাকুরীর চিন্তা করতে হয় না কারণ তারা ডিগ্রি পড়ার অবস্থায় কোনো না কোনো জব করতে থাকে তারপর এক্সপিরিয়েন্সে জন্য ভবিষ্যৎ তে ভালো পোস্টে জব পায়।
ডিগ্রি পড়ে কি হওয়া যায় – ডিগ্রী পড়ার সুবিধা
আপনি যদি চরম লেভেলের ফাঁকিবাজ হোন, তাহলে ডিগ্রি আপনার জন্য। আপনি যদি চাকুরি/ব্যবসার পাশাপাশি পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চান, তাহলে ডিগ্রি আপনার জন্য। আপনি যদি নিয়মিত ক্লাস করতে না পারার স্টুডেন্ট হোন, তাহলেও ডিগ্রি আপনার জন্য। আপনি যদি কম পড়ে ভালো রেজাল্ট করতে চান, তাহলেও ডিগ্রি আপনার জন্য। আপনি যদি সংসারী হোন বা সংসারের দায়িত্ব ভার আপনার কাঁধে হয় তাহলেও ডিগ্রি আপনার জন্য…
তাহলে আর কেন চিন্তা ভাবনা। নাই মামার চেয়ে তো কানা মামা অনেক ভালো, ডিগ্রির এতো সুযোগ সুবিধা থাকা স্বত্তেও কেন পড়বে না? তাছাড়া এবার ডিগ্রিতে ভর্তি থেকে পরের বছর অনার্সে আবেদন তো করা যাচ্ছেই…
3️⃣ডিগ্রি যারা পড়ে তারা মাস্টার্সে নিজের মনের মত সাবজেক্ট নিয়ে মাস্টার্স করতে পারে।
4️⃣ ডিগ্রি পড়ে এলবি/এমবিএ করা যায় এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএতেও ভর্তি হওয়া যায়। যেকোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা যায়।
5️⃣আমাদের বাপ-দাদারা ডিগ্রি করেছেন। আমি নিজেও ডিগ্রির স্টুডেন্ট, এভেন গর্ব করে বলি। নিজের ফেইসবুক প্রোফাইলে লিখতে বা সো অফ করতেও কাপন্ন বোধ করি নি। কারণ ডিগ্রি পড়া চোর পুলিশের খেলা না, যে লুকিয়ে রাখতে হবে। ডিগ্রি যদি এতোই খারাপ হতো, তাহলে সরকার দেশ থেকে ডিগ্রি নামক শব্দ তুলে ফেলতো।
6️⃣২০১২ সালে ডিগ্রি পড়ুয়া আব্দুল আওয়াল বিসিএসে সারা বাংলাদেশে ফার্স্ট হয়েছিল।
7️⃣বর্তমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতিও ডিগ্রির স্টুডেন্ট ছিলেন। বাংলাদেশের বেশিরভাগ এমপি/ মন্ত্রীরাও ডিগ্রির স্টুডেন্ট ছিলেন।
8️⃣কারা ডিগ্রি শুনলে নাক ছিটকায় জানেন? যারা ডিগ্রি তে ভর্তি হতে পারে নি তারাই। যারা লেখাপড়ার করার সুযোগই পায় নাই তারা!
9️⃣বিভিন্ন কলেজে এখনও ডিগ্রির কদর আছে।
🔟শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য নেই, এটা আমার কথা না, বাংলাদেশের সংবিধানের কথা। ডিগ্রি ৩ বছর, মাস্টার্স ২ বছর =মোট ৫ বছর। অনার্স ৪।