জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সময়মত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে দিয়েছে । এখন প্রস্তুতি নেওয়ার পালা আপনার । তাছাড়া করোনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার আসন বিন্যাস এমনভাবে প্লান করেছে যেখানে আপনি শান্তিমত ফেল করতে পারবেন যদি এই সময়টুকু সময় না পড়েন । তাই নিজের প্লানমাফিক পড়াশুনাকে এগিয়ে নিয়ে যান । নাইলে ফেল করলে আরো কিছু তিক্ত সময় অতিবাহিত করতে হবে ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা প্রস্তুতি ও সাজেশন
আরও পড়ুনঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত জরুরী নির্দেশাবলী।
আপনার প্রস্তুতি আগে কি ছিল তা চিন্তা করার দরকার নাই বা এখন চিন্তা করে লাভো হবে না । আপনি মেন্টালি প্রস্তুতি নিন আপনি আপনার পুরো সিলেবাস কভার করতে পারবেন না । তবে আপনি যদি সিলেবাস ৬০-৭০% কভার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই ৪৫-৬০% মার্কস প্রতি বিষয়ে তুলতে পারবেন । সিলেবাস সম্পূর্ন কভার হবে না বলে হাল ছেড়ে দিবেন না । যতটুক সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যান ।
আপনি নিজে জানেন আপনার প্রস্তুুতি শূন্য অথাৎ Zero তাহলে আপনি নিজের চাহিদাও সেরকম রেখে প্রস্তুুতি নিন। অথাৎ এরকম অবস্থা থাকলে আমি ৩.৫ বা তার বেশি সিজিপিএ তুলবো এরকম দিবাস্বপ্ন বাদ দিবেন।
আপনি ৬০/৭০ মার্ক টার্গেট করবেন ১০০ তে। এর মানে কলেজে ইনকোর্স থেকে আপনি অন এভারেজ ১১-১২ পান তাহলে বাকি টা ফাইনাল পরীক্ষা দিয়া তুলতে হবে । তাই টার্গেট রাখুন B+ /A- কিভাবে উঠানো যায়। তাছাড়া কিছু কিছু সাবজেক্টে কিভাবে A/A+ তুলা যায় সেদিকেও নজর দিবেন। নিজের বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে নিজের অবস্থান পরিস্থিতি বুঝে টার্গেট সেট করে এপ্রোচ করুন।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন সকল পরীক্ষার সময়সূচী ডাউনলোড।
মূল কথাতে আসি, কিভাবে ১ মাসে মোটামুটি প্রস্তুুতি নিতে পারবেন সেটা হাল্কা তুলে ধরছি । আমার কথাকে পীরের মত আবার ফলো করবেন না । নিজের কাছে ওকে মনে না হলে নিজের মত করে পরিবর্তন করে চালিয়ে নিবেন –
- ১) আপনার কোর্স কয়টি সেটি সম্পর্কে অবগত হবেন। জানতে হবে Theory and math based কোর্স কয়টি। পড়ার টেবিলের সামনের দেয়ালে বড় করে নিজের কোর্সগুলার নাম লিখুন এবং একটা আনুমানিক মার্কস টার্গেট হিসাবে সেট করে রাখুন । চোখে যেন সেটা বারবার লাগে …
- ২) থিউরি & ম্যাথ কোর্সের মধ্যে সব থেকে কঠিন সাবজেক্ট টা চিহ্নিত করুন। কঠিনটাকে এমনভাবে ট্যাকেল দিবেন যেন এটাতে সর্বনিম্ন গ্রেডটা হলেও পান ( সর্বনিম্ন মানি আপনি যেটা পাবেন সেটার)
- ৩) সাবজেক্ট সম্পর্কে অবগত হলে এখন একটা সাজেশন কিনবেন।
বিবিএ- ব্যতীক্রম
ইংরেজীর- সেটসাজেশন
অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট- ব্যতীক্রম - ৪) সাজেশন টা কিনার পর অন্ধভাবে সেটা ফলো করবেন না। সাজেশন টা blueprint হিসেবে ব্যবহার করবেন।
- ৫) সাজেশন থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো এনালাইজ করবেন।এনালাইজ করতে বলেছি,দেখে খালি চাইয়া থাকিয়েন না ভাই । কোন চ্যাপ্টার থেকে কোন টপিক বেশি আসে তার একটা সামারি পাবেন রিভিউ করলে ।
মিনিমাম ৫ বছরের প্রশ্নগুলো ভালোমত দেখবেন (পড়তে বলেছি)।
- সাজেশন থেকে অধ্যায়ভিত্তিক যে ম্যাথগুলো আছে সেগুলা যথাসম্ভব করে ফেলবেন।
- ম্যাথ কোর্সে ৩দিন বন্ধ পেলে ২দিন সমানে ম্যাথ করবেন বাকি ১দিন থিউরি সহ ব্রিফ পড়বেন বিশেষ করে পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যা থেকে ব্রিফ পড়লে সেগুলা মাথাতে নিতে সুবিধা হয়। গ্যাপের শুরুতে ব্রিফ পড়া ঠিক না…
গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টার চিহ্নিত করে তারপর সেগুলা কুপাবেন। আরেকটা কথা, গুরুত্বপূর্ণ টপিক জানতে হলে সিনিয়রদের ও সহায়তা নিতে পারেন।
কিভাবে কোন বিষয় গুলা পড়তে পারেন ( পার্সোনাল মতামত)
- 1) রুটিন টা ভাল করে দেখে নিবেন প্রকাশ হবার পর । কোন পরীক্ষা কবে আর কোন টায় কত দিন বন্ধ আছে সেগুলার একটা চার্ট করে রাখবেন। কারন ২/৩ দিন গ্যাপ থাকলে যেকোনো থিউরি সাবজেক্ট পড়া যায়।
- 2) যেকোন একটা সাজেশন কিনুন। কারো তৈরি করা সাজেশন নয়। উপরে এইটা নিয়ে অলরেডি বলেছি ।
- 3) Now come to the main topic : যদি ৩ দিনও সময় পান তাও নিজের বেস্ট দিন।
- ৪) সাত কলেজের টেস্টের প্রশ্ন – ঢাবির অধীনে যাওয়া সাত কলেজের টেষ্টের প্রশ্নগুলো দেখতে পারলে সুবিধা। তাই বলবো যদি সম্ভব হয় ঢাকা /ইডেন /বাংলা & তিতুমীর কলেজের প্রশ্নগুলো ১বার চোখ বুলাবেন। ৪০% প্রশ্ন আজগবি মনে হবে তা বাদ দিবেন.
- ৫) বিগত বছরের প্রশ্ন ( মিনিমাম ৬ বছর) – নরমালি অনেক প্রশ্ন মনে হবে। কিন্তুু আপনি যখন পড়তে থাকবেন তখন দেখবেন বেশিরভাগ প্রশ্ন রিপিটেড।
- ৬) সাজেশনের গুরুত্বপূর্ণ – সাজেশন এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থাকে যা বিগত বছরের প্রশ্নের সাথে তালগোল করে তা একবার চোখ বুলাবেন যেন বিপদে লিখে আসা যায়।
- শুরু করুন ১ নং দিয়ে। দেখবেন অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ৪/৫ টা কমন পাবেন এ সাত কলেজের প্রশ্ন থেকে। ১নং দিয়ে শুরু করার কারন হলো এখানের স্যার ম্যাডামদের মাথা পুরো জাবির মত।
- ১নং শেষ করার পর ২নং শুরু করবেন। এখন ঠান্ডা মাথাতে বিগত বছরের প্রশ্ন গুলো সমাধান করুন। কিছু প্রশ্ন দেখবেন রিপিট হচ্ছে ( জোড় – জোড় আর বিজোড় বিজোড় সালে) । অন্যদিকে ফোকাস না দিয়ে এগুলা ঠাডা মুখস্তের মত শেষ করুন।
- এখন সাজেশনের গুরুত্বপূর্ণ *** & ** স্টার গুলো পড়ার সময় দেখবেন আপনি ১ & ২ নং পড়ার কারনে ৮০-৯০% প্রশ্ন পড়ে ফেলছেন। বাকি ১০% তখন রিভিউ করে যাবেন যেন পরীক্ষাতে ছাপ বসিয়ে আসতে পারেন।
- ১/২/৩ গুলো যখন আপনি করবেন তখন ১টা কলম আর খাতা নিবেন। যে চ্যাপ্টার গুলো থেকে বেশি প্রশ্ন আসছে কম বেশি প্রতি বছর সেগুলো মার্ক করে রাখবেন।
বেশি মানুষের বেশি সাজেশন খুজবেন, ঘোড়ার ডিম টাও পাবেন না। এ পোস্ট ফলো করে কেউ ৩.৬/৩.৮ পাবেন না কিন্তুু ৩+ জিপিএ তুলতে পারবেন ইনশা-আল্লাহ্।
২দিন বা ৩ রাত বন্ধ পেলে ম্যাথ কোর্সে :
- ১ম দিন – রাত পাবেন কিন্তুু ক্লান্ত থাকবেন তাই বলবো ম্যাথ করবেন। থিউরি মাথা ঢুকবে না।
- ২য় দিন – সারাদিন সকল ম্যাথ ধুমাইয়া করবেন। কোন থিউরি পড়বেন না।
- ৩য় দিন – সকাল ১০ টার পরে কোন ম্যাথ না করে থিউরি শুরু করবেন। থিউরি পড়ার সময় রিদম নষ্ট করবেন না কোনভাবে।
HOW TO MANAGE TIME IN EXAM :
পরীক্ষার সময়ে আপনাকে Time নিয়ে সচেতন হতে হবে। Time management নিয়ে অসচেতন হলে পরীক্ষায় বাশ খাবেন । দেখা যাবে পারা প্রশ্ন উত্তর করতে পারেন নাই বা ভাল মত লেখেন নাই।
সুতরাং ২৪০ মিনিট কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে কাজে লাগাবেন । যে প্রশ্ন ভাল করে পারবেন তা তো অতি দ্রুত লিখতে পারবেন। সুতরাং নিজে কিভাবে লিখবেন তা চিন্তা করে নিবেন।
প্রশ্ন পেয়ে ১৫-২০ মিনিট ভাল মত দেখেও নিতে পারেন বাট সেটার ব্যাকআপ কিন্তুু আপনাকেই দিতে হবে ।
প্রশ্ন সাধারনত ৩ধরনের থাকবে:
- ১) অতি সংক্ষিপ্ত ( ১নম্বরের) : ১২ টা থাকবে ১০ টা দিতে হবে। কেউ অল্প প্রস্তুুতি নিয়ে আশায় থাকবেন না আমি ১০ টা পারবো লিখতে। দেখা যাবে ৭-৮টা পারেন কিন্তু ২-৩টা পারেন না বা ভাল করে লিখতে পারবেন না। এটা নিয়ে মন খারাপ করে বসে থাকবেন না।
যে কয়টা অনেক ভাল পারেন সে কয়টা জটপট লিখে ফেলেন। তারপর কম পারা গুলা লিখেন। দেখবেন নম্বর ভাল আশার সম্ভাবনা থাকে। সিরিয়াল উল্টা পাল্টা হলে সমস্যা নাই অথাৎ ক/ঙ/চ ইত্যাদি লিখলে সমস্যা হবেনা।
সাধারনত ২-৩ লাইনের বেশি লিখা ঠিক না। আর কোন কোন প্রশ্ন ১ লাইন ই যথেষ্ট। ১৫-২০ মিনিটে উত্তর দিয়ে দিবেন।
কি রকম প্রশ্ন আসে : সংজ্ঞা , এটা কি / ঔইটা কি, acronym, abbreviations, ভাগ/স্তর/পদ্ধতি কয়টা কি কি etc আসে।
উত্তর : সংজ্ঞা : সংজ্ঞা পড়ার সময় সেই সংজ্ঞা কিসের সাথে রিলেটেড সেটা বুঝেন। আর উক্ত সংজ্ঞার মধ্যে থাকা বৈশিষ্ট্য কে মনে রাখেন। বৈশিষ্ট্য মনে থাকলে সেই সংজ্ঞা হুবহু লিখতে না পারলেও সেই বৈশিষ্ট্য গুলোকে লিখে নিজের মত লিখতে পারবেন। সুতরাং সংজ্ঞাে বৈশিষ্ট্য গুলোকে catch করেন। পাগলের মত সংজ্ঞা মুখস্ত না করে।আর বাকি গুলো তো মুখস্তের মত।
- ২) সংক্ষিপ্ত (৫নম্বর) : এটাতে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে যেমন – সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা, পার্থক্য, আলোচনা etc । প্রতিটা ১৫-১৮ মিনিটে কাজ সেরে নিবেন।
সংজ্ঞা : এখানে ২-৩ লাইন লিখলে হবে না। প্রথমে উক্ত সংজ্ঞার বিষয় টা কি সেটা ২-৩ লাইন লিখেন। তারপর সংজ্ঞা দেন ২-৩ (নিজেকে মনীষী করবেন না) । সংজ্ঞা লিখার পর ২-৩টা বৈশিষ্ট্য দেব। আর এই বৈশিষ্ট্য গুলা সংজ্ঞা তে লিখছেন । তারপর ফিনিশিং
প্রশ্ন ২-৩ পেজ হলে যথেষ্ট ( হাতের লিখা একটু হিজিবিজি হলে ৩-৪ পেইজ)
পার্থক্য : ৭-৮ টা যথেষ্ট হবে। সুন্দর করে পার্থক্যের বিষয়, যদু & মধু লিখবেন । ভুমিকা এবং উপসংহার দিবেন তাইলে নম্বর ভাল আসবে।
- ৩) বড় প্রশ্ন : এখানে প্রশ্ন কোনটা দিবেন সেটাও কিন্তুু চিন্তার বিষয়। tricky q গুলো পছন্দ করে দিতে পারলে প্রতি প্রশ্নে ৭-৯ নম্বর আসে। যেমন – পার্থক্য, প্রক্রিয়া, পদক্ষেপ, চক্র, পদ্ধতি etc types question গুলো তে নম্বর বেশি আসে আর তেমন বেগ পেতে হয় না (চিত্র,pie chart etc must) । শুধুমাত্র structure ঠিক রেখে লিখতে হয় ।
এটার জন্য ২৫-৩০মিনিট রেখে কাজ কে control করবেন।
আলোচনা কর, ব্যাখ্যা কর etc historical type আজাইরা প্রশ্ন লিখতে গিয়া শহীদ হলেও নম্বর কষ্ট করে ৬-৭ আসে। আর এটা করবেন শুধু জীবন লটকাইয়া গেলে অথাৎ কিছু না পারল বা কমন না পড়লে।
নরমালি বড় প্রশ্ন ৪-৫ পেইজ লিখা যায়। আর পার্থক্যে ১১-১৩ টা করে দেয়ার চেষ্টা করবেন। আর পার্থক্য লিখার সময় ডাইরেক্ট পার্থক্যে যাবেন না। হালকা introduction and conclusion দিবেন।
থিউরিটিক্যাল সাবজেক্ট গুলা উত্তর করা সময় নিম্নলিখিত জিনিস মাথায় রাখবেন :
- খাতা পরিষ্কার রাখবেন । হিজিবিজি করে লিখবেন না আর কুপা সামসুর মত কাটবেন না।
- খাতা যত্ন করে লিখবেন। ফুটা কইরা ফেলবেন না লিখতে লিখতে অথবা রাগ করে।
- এক পাতায় ১২-১৪ লাইন লিখবেন। ঢং করে ৮/১০ লাইন লিখবেন না মোটেও।
- পয়েন্ট মনে রেখে লিখতে থাকবেন। বেশিরভাগ টিচার পয়েন্ট পড়ে সুতরাং পয়েন্ট লিখার সময় প্রশ্নের সাথে সামঞ্জস্য রাখবেন।
- প্রশ্ন – ৪নম্বর এর জন্য ৬-৮ টা পয়েন্ট আর ১০ নম্বর এর জন্য ১০-১৪ টা পয়েন্ট লিখবেন ( Full answer must)
- পয়েন্ট / কোটেশন /ডেফিনেশন / মনীষির নাম- নীল কালী দিয়ে লিখবেন। কিন্তুু মনীষির যদি ফ্রান্সিস আলআমিন টাইপ হয় তাহলে হাইলাইট করার দরকার নেই।
- মার্জিন টানবেন পেন্সিল দিয়ে, কলম না।
- আপনার খাতার system of presentation এর জন্য আপনাদের ন্যূনতম ৮-১২ মার্ক বেড়ে যাবে।সুতরাং তাড়াহুড়া করবেন না এই বিষয় এ ।
আমি নীল কালি কিভাবে ব্যবহার করেছি তা বলি –
- ১) পয়েন্ট বা ডেফিনেশন/ রাইটার নাম লিখার কাজে নীল কালি ব্যবহার করেছি।
- ২) ১নং প্রঃ উত্তর / ২নং প্রঃ উত্তর ইত্যাদি লিখতে নীল কালি ব্যবহার করেছি। যদি নীল কালি ব্যবহার না করে কালো কালি দিয়ে লিখেন তখন আন্ডারলাইন করতে হবে।
writer name blue pen দিয়ে লিখবেন আর সংজ্ঞা টা ইংরেজিতে দিলে সেটা নীল কালি দিয়ে দিবেন আর বাংলায় দিলে সেটা কালো কালি দিয়ে লিখবেন ( বাট লেখকের নাম টা নীল কালি অবশ্যই)।
পয়েন্ট নীল কালি দিয়ে লিখলে underlined করতে হয় না। Underlined করতে হয় কালো কালি দিয়ে লিখলে যাতে তা চোখে পড়ে। এক পেইজ এ ১৩-১৪ লাইন লিখা উত্তম
If you don’t know the answer then take help from others. It is a war and everything is fair and lovely।
এই নিবন্ধনটি লিখেছেনঃ মোহাম্মাদ আলামিন