আজ বাংলা সঙ্গীত জগতের এক উজ্জল নক্ষত্র, ক্ষণজন্মা সঙ্গীতশিল্পী খালিদ হাসান মিলুর ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকী। ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ মাত্র ৪৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। আজ এই জনপ্রিয় শিল্পীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮০ সালে মাত্র বিশ বছর বয়সে খালিদ হাসান মিলু তার সঙ্গীত ক্যারিয়ার শুরু করেন। এই স্বল্প সময়ে তিনি বারটি অ্যালবাম এবং প্রায় আড়াইশ’ চলচ্চিত্রের গানসহ পাঁচ হাজারের মত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ১৯৮০ সালে তার প্রথম ওগো প্রিয় বান্ধবী অ্যালবামের মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছিলেন। এছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলো হচ্ছে- প্রতিশোধ নিও, নীলা, শেষ ভালোবাসা, আয়না,শেষ খেয়া,মানুষ ইত্যাদি।
এছাড়া…
১. আমার মত এত সুখী, নয়তো কারও জীবন…
২. যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয়,
৩. অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন,
৪. কতদিন দেখিনা মায়ের মুখ,
৫. মায়ের একধার দুধের দাম,
৬. নিশিতে যাইও ফুলবনে,
৭. সেই মেয়েটি আমাকে ভালবাসে কিনা,
৮. তুমি আমার হৃদয়ে যদি থাক,
৯. পৃথিবীকে ভালবেসে,সুরে সুরে,
১০. তোমাকে ভুলতে গিয়ে বারবার মনে পড়ে যায়,
১১. সাথী তুমি আমার জীবনে,
১২. কত ভালবাসি, কি যে ভালবাসি,
১৩. নদীর কূল নাই,
১৪. মাঝি বাইয়া যাওরে,
১৫. এই যে দুনিয়া, কিসেরও লাগিয়া,
১৬. আমায় এত রাতে কেন ডাক দিলা,
১৭. সজনী আমি তো তোমায় ভুলিনি,
১৮. স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা,
১৯. ও সাথী আমার, তুমি কেন চলে যাও,
২০. তোমারও লাগিয়ারে সদয় প্রাণ আমার কান্দে বন্ধু,
এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের গানে কন্ঠ দিয়েছেন এই দারাজ কণ্ঠের অধিকারী গায়ক। শ্রোতাদের ভালোবাসার পাশাপাশি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। হৃদয় থেকে হৃদয় চলচ্চিত্রের হৃদয় থেকে হৃদয় গানের জন্য ১৯৯৪ সালে তিনি এই সম্মাননা পান।
তার পরবর্তী প্রজন্ম প্রতীক হাসান ও প্রীতম হাসান হাঁটছেন বাবার দেখানো পথেই। আছেন গানের সাথে।
লেখকঃ নাজমূল হাসান