যারা প্রিলি টু মাস্টার্স নতুন ভর্তি হবেন তারা অনেকে হয়তো মাস্টার্স নিয়মিত বা প্রাইভেট এর পার্থক্য সম্পর্কে অবগত নন। মাস্টার্স (নিয়মিত) ও (প্রাইভেট) কোর্স সম্পর্কিত কিছু তথ্য ও সর্বশেষ আপডেট। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ও বিষয় অনুসারে মাস্টার্স রেগুলার ও প্রাইভেটের মধ্যে পার্থক্য। বিজ্ঞান সকল বিষয়, লাইব্রেরি সায়েন্স, সমাজকর্ম, সংগীত বিষয়ে মাস্টার্স প্রাইভেট নেই। ছবিতে দ্বিতীয় কলামে নিয়মিত মাস্টার্সের ও তৃতীয় কলামে প্রাইভেট মাস্টার্সের বিষয়সমূহ দেয়া হলো।
মাস্টার্স নিয়মিত এবং প্রাইভেট কোর্সের পার্থক্য:
(ক) ডিগ্রী & মাষ্টার্সে প্রাইভেটে প্রোগ্রাম আছে,কিন্তু অনার্সের প্রাইভেট প্রোগ্রাম নাই।
(খ) প্রাইভেট ও রেগুলার উভয়ের সার্টিফিকেটর মান সমান,চাকরির ক্ষেত্রে দুটাই সমান মূল্যায়ন করা হয়।
(গ) প্রাইভেটের ভর্তি সবসময় রেগুলারের ভর্তির পরে শুরু হয়।
(ঘ) প্রাইভেটে ভর্তির খরচ অনেক কম,প্রিলীতে ভর্তি প্রায় ১,১০০ টাকা।
(ঙ) প্রাইভেটে ভর্তির পদ্ধতিও সহজ,অনলাইনে আবেদন করে তা অনলানের আবেদন কপিসহ টাকা,ছবি ও সার্টিফিকেট ও মার্কশীট কলেজে জমা দিলেই ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ।
(চ) প্রাইভেটে ক্লাসের ব্যবস্থা নাই,তাই ক্লাস করতে হয় না। চাকুরিজীবীদের জন্য এটাই শ্রেয়।
(ছ) নিয়মিতদের ক্ষেত্রে ইনকোর্স, সাময়িকী ও নির্বাচনী/টেস্ট পরিক্ষা দিতে হয়। প্রাইভেটের ইনকোর্স, সাময়িকী ও নির্বাচনী/টেস্ট পরিক্ষা দিতে হয় না৷
(জ) উভয়ক্ষেত্রে পরিক্ষার মান/মার্কস ও সমান।
(ঝ) উভয় ক্ষেত্রে পঠিত বিষয়গুলো সমান,শুধু প্রাইভেটে টার্মপেপার থাকেনা কিন্তু উভয় ক্ষেত্রে ভাইভা পরিক্ষা দিতে হয়।
(ঞ) উভয় ক্ষেত্রে ফরমপূরন, রুটিন,পরিক্ষা ও রেজাল্ট একই সময়ে হয় ৷
মাস্টার্স রেগুলার ও প্রাইভেটের ভর্তি তথ্য:
ক) নিয়মিততে ভর্তির সুযোগ না পেলে প্রাইভেটে সহজেই ভর্তি হতে পারে।
খ) প্রাইভেটে ভর্তির জন্য শুধু পাশই যথেষ্ট,তবে প্রিলীতে ভর্তির জন্য পচন্দের বিষয়ে গড়ে নূন্যতম ৪০% নাম্বার থাকতে হয়।
গ) প্রাইভেটে ভর্তির জন্য বয়সের কোন সমস্যা নাই।
ঘ) প্রাইভেট থেকে ডিগ্রী করলে সে আর রেগুলারের মাষ্টার্স করতে পারেরে না।
ঙ) প্রাইভেটের আসন সংখ্যা প্রতিটি বিষয়ে ১০০০ (এক হাজার) টি।
চ) রেগুলারে মোট খরচ প্রায় ২০,০০০টাকা, প্রাইভেটে খরচ প্রায় ১২,০০০ টাকা।
ছ) সব কলেজে প্রাইভেট প্রোগ্রাম থাকে না।
জ) সারা বাংলাদেশে মাত্র 55 টি কলেজে প্রাইভেটের মাষ্টার্স আছে।
জ) প্রাইভেট কলেজের তালিকার একটি ছবি পোষ্টের সাথে দেয়া হয়েছে।
মাস্টার্স রেগুলার ও প্রাইভেটের এর প্রয়োজনীয়তা:
- মাস্টার্স(নিয়মিত) ও প্রাইভেট উভয়ের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটের মান সমান, চাকরির ক্ষেত্রে দুটোই সমান মূল্যায়ন করা হয়।
- মাস্টার্স প্রাইভেট কোর্সে ক্লাসের ব্যবস্থা নাই,তাই ক্লাস করতে হয় না। চাকুরিজীবীদের জন্য এটাই শ্রেয়।
- মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ না হলে প্রাইভেট প্রোগ্রামে সহজেই ভর্তি হওয়া যাবে। প্রাইভেট কোর্সের ভর্তির পদ্ধতিও সহজ, অনলাইনে আবেদন করার পর, আবেদনের অনলাইন প্রিন্টকপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও টাকা কলেজে জমা দিয়ে ভর্তি সম্পন্ন করা যায়।
- মাস্টার্স (প্রাইভেট) প্রোগ্রামে অধিভুক্ত একটি কলেজে একটি বিষয়ে সর্বোচ্চ ১০০০ (এক হাজার) প্রার্থী আবেদন করতে পারবে। অনলাইনে আগে যে আবেদন করবে সিট সংখ্যা তার বলে বিবেচিত হবে। নিয়মিত কোর্সের মত মেধা তালিকা দেওয়া হবে নাহ।
- মাস্টার্স নিয়মিত ও প্রাইভেট কোর্স উভয়ের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ হবে ৩ বছর।
- মাস্টার্স নিয়মিত ও প্রাইভেট কোর্সের সিলেবাস, পরীক্ষার মান/মার্কস একই! উভয়ের একইসাথে একই পদ্ধতিতে ফরম পূরণ,পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
- মাস্টার্স নিয়মিত কোর্সের শিক্ষার্থীদের টার্ম-পেপার,সাময়িকী ও নির্বাচনী/টেস্ট পরিক্ষা দিতে হয়। প্রাইভেট কোর্সের শিক্ষার্থীদের টার্ম-পেপার,সাময়িকী ও নির্বাচনী/টেস্ট পরিক্ষা দিতে হয় নাহ। উভয়ক্ষেত্রে অবশ্যই ইনকোর্স এবং ভাইবা পরিক্ষা দিতে হয়।
- টার্ম-পেপার, ব্যবহারিক ও মাঠকর্ম আছে এমন বিষয়ে প্রাইভেটের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করতে পারবে না বিশেষ করে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কোর্সে ভর্তির সুযোগ নেই।
- মাস্টার্স প্রাইভেট কোর্সের শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরিক্ষা ৪ ক্রেডিটের হয়ে থাকে এবং মাস্টার্স নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরিক্ষা হবে ২ ক্রেডিটের ও টার্ম-পেপার ২ ক্রেডিটের।
- মাস্টার্স প্রাইভেটের এডমিশন ফি সরকারি কলেজে ১৫০০/- এর মধ্যে! মাস্টার্স নিয়মিত কোর্সের এডমিশন ফি ৫ হাজারের মধ্যে হয়! বেসরকারি কলেজে একটু তুলনামূলক বেশি হতে পারে।
- বাংলাদেশের সব কলেজে প্রাইভেট প্রোগ্রাম থাকে না। সারা বাংলাদেশে মাত্র ৬১ টি কলেজে মাস্টার্স প্রাইভেট কোর্সের সুবিধা আছে!