মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার উদ্যোগে আয়োজিত ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’র আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) দল ‘সাস্ট অলিক’। প্রতিযোগিতায় ‘বেস্ট ইউজ অব ডাটা’ ক্যাটাগরিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
মোট ছয়টি ক্যাটাগরির মধ্যে ‘বেস্ট ইউজ অব ডাটা’ ক্যাটাগরিতে ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর ও জাপানের তিনটি দলকে পেছনে ফেলে ‘সাস্ট অলিক’।
এর আগে বিশ্বের ৭৯টি দেশের বাছাইকৃত ২ হাজার ৭২৯টি দলের সঙ্গে লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। এর আগেও পিপলস চয়েজ অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ দশে একাধিকবার জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এবারই প্রথম মূল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্বকারী দল ‘সাস্ট অলিক’র সদস্যরা হলেন- শাবিপ্রবি’র সিএসই বিভাগের সহকারি অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী (মেন্টর), পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী এসএম রাফি আদনান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী কাজী মাইনুল ইসলাম, একই বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী আবু সাদিক মাহদি ও একই বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান।
‘সাস্ট অলিক’র মেন্টর বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী জানান, আমাদের প্রকল্পের নাম ছিলো ‘লুনার ভিআর’ যা একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ। নাসা প্রদত্ত বিভিন্ন ডাটা ব্যবহার করে এই অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। অ্যাপটির মাধ্যমে নাসা আপোলো ১১ মিশন এর ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভার্চুয়ালভাবে আবর্তন করা যাবে।
সাস্ট অলিক’র সদস্য সাব্বির হাসান জানান, শিক্ষাক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ খুব কার্যকর হবে বলে আমি মনে করি। এরকম অনেক কিছু আছে যা আমরা শুধু বইয়ে পড়ি কিন্তু বাস্তবে দেখতে পাই না। কিন্তু ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক কিছু শেখা সম্ভব। আশা করি, বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে ভিআর এর মাধ্যমে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
উল্লেখ্য, এবছর নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের সেরা প্রকল্প খুঁজে বের করতে বিশ্বের প্রায় দুই শতাধিক শহরে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে নাসা। প্রায় ২ হাজারেরও বেশি প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ৮টি প্রকল্পকে বেছে নেয়া হয় নাসা স্পেস এ্যাপস চ্যালেঞ্জের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়।