শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি | দ্রুত চাকরি পাওয়ার উপায়

১.নিয়ম মাফিক পড়াশুনা করা।পড়ার মধ্যে গ্যাপ না দেওয়া।যেমন কেউ ৪ ঘন্টা পড়লে প্রতিদিনই ঐ ৪ ঘন্টাই পড়া। একদিন ১০ ঘন্টা পড়লাম পরের দুইদিন পড়লাম না তাতে লাভ হবে না খুব।

২.প্রশ্ন এনালাইসিস করে দেন পড়াশুনা করা।দুনিয়ার সব গিলবো এমন টেনডেন্সি থাকলে তা চাকুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই ভয়ানক হবে।কারণ আপনার মাথায় নেওয়ার ও একটা লিমিট আছে।

৩.চাকুরির প্রিপারেশন শুরুর পর থেকে সব চাকুরির এক্সাম দেয়ার ট্রাই করতে হবে বা ম্যাক্সিমাম দেওয়া।তাতে আপনার এক্সপেরিয়েন্স দিন দিন বাড়তে থাকবে।আপনার প্রিপারেশন কতটুকু হলো আপনি টিকবেন কি টিকবেন না এই চিন্তা না করে এক্সাম দেয়া।দেখবেন সময় হলে নিজেই নিজের অবস্থান আইডেন্টিফাই করতে পারবেন।

৪.প্রতি পরীক্ষার পর প্রশ্ন গুলো বাসায় এসে সলভ করে ফেলা।

৫.যা পড়বেন তাই বারবার রিভিশন দেয়া যাতে পরীক্ষার হলে ভালো করে উপস্থাপন করা যায়।অনেক পড়লাম কিন্তু পরীক্ষায় পারলাম না তাহলে ফলাফল জিরো।

৬.ইংলিশ এবং ম্যাথ এই দুই সাব্জেক্ট এ একটু বেশি টাইমে দেয়া।চাকুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে এই দুই সাব্জেক্ট এর ভূমিকা অনেক বেশি।তাই শুধু লাইব্রেরিতে বসে জিকে না পড়ে এই দুই সাব্জেক্ট এ ভালো করার ট্রাই করা।অন্যান্য বিষয়ে এভারেজ সমান প্রিপারেশন নেয়া।

৭.প্রিলি পরীক্ষায় জানা জিনিসগুলো ভুল না করা আর লিখিত পরীক্ষায় সব উত্তর করে আসা।প্রশ্ন যাই আসুক না কেন যেকোন লিখিত পরীক্ষায় কোন প্রশ্নই ছেড়ে না আসা।

৮.নিজের স্ট্রং জোনকে আরো স্ট্রং করা এবং অন্যান্য বিষয়ে এভারেজ ভালো প্রিপারেশন নেয়া।

৯.প্রিলি পরীক্ষার আগে অবশ্যই মডেল টেস্ট দেয়া। তাতে নিজের অবস্থান বোঝা যায় এবং কোন বিষয়ে খারাপ নাম্বার আসে সেটা আইডেন্টিফাই করা দেন ঐ বিষয়ে টার্গেটেড মার্ক কিভাবে এচিভ করা যায় সেটার জন্য পড়া।

১০.লিখিত পরীক্ষায় সময়ের মধ্যে লিখে শেষ করা।তাই দ্রুত লেখার অভ্যাস করা।এবং যাই লিখি না কেন প্রেজেন্টেশন সুন্দর রাখার চেষ্টা করা।

১১.সর্বোপরি ধৈর্য্য সহকারে পড়া এবং রিজিকে বিশ্বাস করা।চাকুরি হবেই ইনশাল্লাহ একদিন আগে অথবা পরে। পড়তে পড়তে কেউ হতাশ হয়ে পড়বো না।

মনে রাখবেন আপনি হতাশ হলে রেইচের মাঠ থেকে আগেই পিছিয়ে যাবেন।তাই ধৈর্য্য রাখাটা একটা চ্যালেঞ্জ। কারো একটা এক্সামেই ক্লিক করে আবার কারো ৫ টা এক্সাম পরে কিল্ক করে বাট চাকুরি কিন্তু দুইজনেরই হয়।
বিসিএস, ব্যাংক, নন-ক্যাডার জবের প্রস্তুতির পাশাপাশি যাদের নিজস্ব বিষয় ভিত্তিক জব দেশে আছে তাদের নিজ বিষয়ের জবের প্রস্তুতিও রাখা উচিত। কারন নিজ বিষয়ের উপর শক্ত প্রস্তুতি নেয়ার “কম্ফোর্ট জোন” টা সবার জন্য জেনারেল পড়াশুনা থেকে সহজ। তাই এটার ব্যাপারে কেউই যেনো হেলাফেলা না করে। একি সাথে Plan B, C, D.. না রাখলে জব হওয়া অনেক কঠিন।

About Nazmul Hasan

Hi! I'm Nazmul Hasan. From Koyra, Khulna. I'm Student of Under National University of Govt. B. L. College, Khulna, Department of Political Science....

Check Also

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি ২০২২

মৎস্য অধিদপ্তর নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ২০২৪

মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্বখাতে নক্সাকার, বাবুর্চি, ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট, সেকেন্ড ড্রাইভার, তথ্য সংগ্রহ সহকারী, কার চালক, পাম্প …