চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২৩ ভর্তি পরীক্ষা বিস্তারিত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২২-২০২৩। ভর্তি আবেদন শুরু ২০ মার্চ থেকে। সেকেন্ড টাইম থাকছে! হালদা প্রশ্নব্যাংকটি কিনে মিনিমাম ১০ বার শেষ করবে। এটা তোমাকে অন্যদের চেয়ে ১০ ধাপ এগিয়ে রাখবে। বাংলায় যেহেতু নাম্বার কম, অনেকে বাংলার প্রিপারেশন এ ঢিল দেয় বেশি। এটা করা ভুল। পরীক্ষা ম্যাথ, ফিজিক্স বা কেমিস্ট্রিতে নাম্বার তোলার চেয়ে বাংলা আর ইংরেজিতে নাম্বার তোলা সহজ। বুদ্ধিমানেরা এই সুযোগটা কাজে লাগায়। বাংলা ইংরেজিতেই তারা ২৩-২৪ মার্কস তুলে ফেলে যা তাদের মোট নাম্বার অনেক বাড়িয়ে দেয়। তাই বাংলা ইংরেজিতেও যথেষ্ট সময় দিতে হবে।
চবি এ ইউনিটঃ (বিজ্ঞান বিভাগের জন্য)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের A Unit এ ২১ টি ডিপার্টমেন্ট এ মোট ১২১২ টি সিট রয়েছে। কি কি বিষয় আছে?
বিষয়ের নাম (আসন সংখ্যা)
- ১. পদার্থ (১১০)
- ২. রসায়ন (১১০)
- ৩. গণিত (১১০)
- ৪. পরিসংখ্যান (১১০)
- ৫. ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল (৩০)
- ৬. ফরেস্ট্রি (৪০)
- ৭. পরিবেশ বিজ্ঞান (৩৫)
- ৮. প্রাণিবিদ্যা (১০০)
- ৯. উদ্ভিদ বিজ্ঞান (১০০)
- ১০. ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা (৪০)
- ১১. প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান (৪০)
- ১২. মাইক্রোবায়োলজি (৪০)
- ১৩. মৃত্তিকাবিজ্ঞান (৫০)
- ১৪. জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি (৩৫)
- ১৫. মনোবিজ্ঞান (২২)
- ১৬. ফার্মেসি (৩০)
- ১৭. কম্পিউটার সায়েন্স & ইঞ্জিনিয়ারিং (৬৫)
- ১৮. ইলেক্ট্রিক্যাল & ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (৫৫)
- ১৯. ইন্সটিটিউট অব মেরিন সায়েন্স (৪০)
- ২০. ওশানোগ্রাফি (২৫)
- ২১. ফিসারিজ (২৫)
ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যোগ্যতাঃ
১. এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় আলাদাভাবে ৪.০০ পেতে হবে
২. দুটো মিলিয়ে মোট পয়েন্ট হতে হবে মিনিমাম ৮.০০
ভর্তি পরীক্ষায় যে যে বিষয়ে প্রশ্ন হয়ঃ
-
১. বাংলা (১০) পাশ মার্ক ৩
-
২. ইংরেজি (১৫) পাশ মার্ক ৪
-
৩. পদার্থ বিজ্ঞান (২৫)
-
৪. রসায়ন (২৫)
-
৫. উচ্চতর গণিত (২৫)
-
৬. জীববিজ্ঞান (২৫)
বি.দ্রঃ পদার্থ, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান এই ৪ টি বিষয় থেকে যে কোন তিনটি উত্তর করতে হয়। বাংলা ইংরেজি অবশ্যই উত্তর করতে হয়। পরীক্ষা হয় এমসিকিউ পদ্ধতিতে। মোট ১০০ নাম্বারের পরীক্ষা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবে আর ভুল উত্তর দিলে ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পাশ মার্ক = ৪০ (চল্লিশ)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ ইউনিট বই সাজেশনঃ
চবির জন্য কি কি ও কিভাবে পড়ব?
চবিতে প্রশ্ন খুব বেশি কঠিন করে না সাধারণত এবং এক্স-কুয়েশ্চন রিপিট করে অনেক। হুবহু না আসলেও একই টপিকস মান ভিন্ন দিয়ে সমান্তরালে অনেক প্রশ্ন পরীক্ষায় চলে আসে। সাধারণত মূল বই এর বেসিক থেকেই অনেক বেশি প্রশ্ন এসে থাকে। তাই মূল বই এর বেসিক বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করে ফেলবা। বিশেষ করে অনুশীলনীর প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে সলভ করবা। তাহলেই হয়ে যাবে। সহায়ক বই হিসেবে যদি পড়তে চাও তাহলে আসপেক্ট সিরিজের চবিনলেজ বইটা পড়ে দেখতে পারো। চবির প্রশ্ন প্যাটার্নের ধরন অনুযায়ী বইটি রচিত।