আমার পড়া বিভিন্ন জব এক্সাম/আইবিএ এডমিশন রিলেটেড বই এর ভালো দিক খারাপ দিক, সঠিক ভাবে পড়ার উপায় ইত্যাদি নিয়ে এই বুক রিভিউ সিরিজ। অন্তত ৩০ টা বই এর রিভিউ করার ইচ্ছা আছে। আপনারা চাইলে কোনো বই এর রিভিউ রিকোয়েস্ট করতে পারেন।
রিভিউ-১ : ক্লিফস টোফেল। দাম – ৭০ টাকা ( কপিড ভার্শন)
কমিউনিকেটিভ ধারার ইংলিশ শেখার জন্য সবচেয়ে কমনলি সাজেস্টেড বই হল ক্লিফস টোফেল। কম্পিটীটিভ এক্সাম গুলো ধীরে ধীরে গতানুগতিক ধারার ইংলিশের চেয়ে কমিউনিকেটিভ ইংলিশ এর দিকে বেশি জোর দিচ্ছে। বিশেষত ব্যাংক, আইবিএ এর এক্সামে এখন ভার্ব, পার্টস অফ স্পিসের শ্রেনী বিভাগ টাইপ কোশ্চেন এর বদলে সেন্টেন্স এর গঠন, ভাব প্রকাশের দক্ষতা এসবের উপর বেশি জোর দিচ্ছে। এক কথায় কমিউনিকেশনের দক্ষতার যাচাই করতে চাচ্ছে। তাই অনেক পুরানো হলেও এই বইটার রেলেভেন্স কোনো অংশে কমেনি।
বইটার সবচেয়ে ভালো দিক হল এর স্ট্রাকচার। বেশ সহজ অথচ ইফেক্টিভ ভাবে সাজানো বইটা। একই ধারার আরেকটি বই আছে ব্যারন্স টোফেল। ২ টা বই এর কন্টেন্ট প্রায় কাছাকাছি হলে ও, স্ট্রাকচারের কারনে ক্লিফস আমার বেশি পছন্দ।
তবে বইটা কিভাবে পড়তে হবে না জানলে প্রথম অবস্থায় একটু ঝামেলায় পড়তে হয়। কারন আমরা যেধরনের গ্রামার বই পড়ে অভ্যস্ত তার থেকে এটা বেশ আলাদা। এখানে শ্রেণি বিভাগ, ডেফিনেশন এর চেয়ে সেন্টেন্স গঠনের উপর জোর দেয়া হয়েছে। তাই বইটি কিভাবে পড়তে হবে সেটা ক্লিয়ার করি। বইটা হাতে নিয়ে চলে যেতে হবে পেজ ৩৯ এ। ৩৯ থেকে ২২৮ পেজ পর্যন্ত অনেক গুলো ছোটো ছোটো চ্যাপটার আছে।
*চ্যাপটারের শুরুতে বোল্ড করে লেখা থাকে একটা রুল।
*তারপর কয়েক সেন্টেন্সে তার ব্যাখ্যা।
*তারপর ২-১ এক্সাম্পল।
*তারপর সেন্টেন্সে এপ্লাই করার মত স্ট্রাকচার।
*এরপর সে স্ট্রাকচার কে কাজে লাগিয়ে কিভাবে সেন্টেন্স বানাবেন তার বেশ কিছু উদাহরন।
* সবশেষে থাকে কিছু এক্সারসাইজ কোশ্চেন। (এর এন্সার গুলো ২৩৮ পেজ থেকে শুরু)
যেভাবে বই এ সাজানো সেভাবে কাজ করলে ই এনাফ। রুলটা পড়ে স্ট্রাকচার টা ভালোভাবে বুঝে এক্সামপ্ল গুলোতে কিভাবে এপ্লাই করা হয়েছে সেটা আত্মস্থ করতে হবে। তারপর এক্সারসাইজ টেস্ট গুলো দিয়ে উত্তর মিলিয়ে দেখতে হবে কতটুকু শিখতে পেরেছেন।
এর ভিতরে ৪ টা মিনি টেস্ট আছে। টেস্ট গুলো খুব ই ভালো ভাবে ডিজাইন করা। পুরো বই পড়া শেষ হলে তার পর টেস্ট গুলা দেয়া শুরু করবেন। তাহলে ওভার অল একটা ধারনা পাওয়া যাবে বই এর কতটুকু শিখতে পেরেছেন।
২৬৩ পেজ থেকে বই এর দ্বিতীয় পার্ট শুরু। এখানে ইডিয়াম, ফ্রেইজ, এপ্রোপ্রিয়েট প্রিপোজিশন, কিছু কনফিউজিং ওয়ার্ড এর ব্যাখ্যা ইত্যাদি আছে ২৯৯ পেজ পর্যন্ত। এই পর্যন্ত পড়লে মোটামুটি এনাফ। এর পর থেকে টোফেল রিলেটেড আইটেম বেশি যেগুলা সবার দরকার হবে না।
সর্বপরি বলব বইটা যেকোনো এক্সামের পরিক্ষার্থীর জন্য হাইলি রেকমেন্ডেড। ঠিক ভাবে পড়তে পারলে কমিউনিকেটিভ ইংলিশ এর ব্যাসিক অনেক টা ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
নেক্সট পার্টে আমার আরেকটা ফেভারিট বই সম্পর্কে বিস্তারিত লিখব। এই পোস্টের কমেন্টে তার লিংক দিয়ে দিব। তাই পোস্ট টা শেয়ার করে রাখতে পারেন।