প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ | প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ আবেদন করবেন যেভাবে

প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩, প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ আবেদন করবেন যেভাবে। প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ নীতিমালা- ২০২২ অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উচ্চ শিক্ষায় (পিএইচডি এবং মাস্টার ডিগ্রী) “প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ” প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের নাগরিকগণের নিকট থেকে নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে অনলাইনে আবেদনপত্র আহবান করা যাচ্ছে।

 

unnamed-2023-03-02-T101307-514

 

প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ প্রয়োজনীয় শর্তাবলি ও নির্দেশনাঃ

১) বাংলাদেশের নাগরিক যারা ইতিপূর্বে বিদেশে কোন মাস্টার ডিগ্রী/ সমমান ডিগ্রী বা পিএইচডি করেননি বর্ণিত ফেলোশিপের আওতায় তারা মাস্টার ডিগ্রী বা পিএইচডির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, যারা ইতিপূর্বে বিদেশে কোন মাস্টার ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন, তারা পিএইচডির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারি চাকুরিজীবীর ক্ষেত্রে যাদের চাকুরি স্থায়ী হয়েছে শুধুমাত্র তারাই আবেদনের যোগ্য হবেন।

  • ১.১) সরকারি কর্মকর্তার ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের পর দেশে বা বিদেশে সরকারি সুবিধার আওতায় (প্রেষণে বা শিক্ষা ছুটিতে) কোন মাস্টার ডিগ্রী/ সমমান ডিগ্রী সম্পন্ন করে থাকলে পূণরায় মাস্টার ডিগ্রী সম্পন্ন করার নিমিত্ত ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না।
  • ১.২) বেসরকারি প্রার্থীর ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে বিদেশে কোন মাস্টার ডিগ্রী/ সমমান ডিগ্রী সম্পন্ন করে থাকলে পূণরায় মাস্টার ডিগ্রী সম্পন্ন করার নিমিত্ত ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না।
  • ১.৩) পিএইচডি সম্পন্নকৃত প্রার্থীর আবেদন ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবে না।

২) আবেদনকারীকে প্রত্যাশিত ডিগ্রীর জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে নিঃশর্ত এডমিশন অফার (পূর্ণকালীন [Unconditional offer letter ( full time)] আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। উক্ত এডমিশন অফারে উল্লিখিত ভর্তির শেষ তারিখ ১ জুলাই 2023 থেকে ৩১ ডিসেম্বর 2023 এর মধ্যে হতে হবে। একাধিক অফার লেটারসহ আবেদন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তা বাতিল বলে গণ্য হবে। । উল্লেখ্য যে, Post Graduate Diploma (PGD) leading to Masters (মাস্টার ডিগ্রীর ক্ষেত্রে) অথবা MPhil leading to PhD (পিএইচডি এর ক্ষেত্রে) এর অফার লেটার বিবেচনা করা হবে না।

3) The Times Higher Education World University Overall Rankings 2023 অনুযায়ী মাস্টার ডিগ্রী এর
জন্য ১ থেকে ২০০ এবং পিএইচডি এর জন্য ১ থেকে ১০০ এর মধ্যে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে অফার লেটার আনয়ন করতে হবে। আবেদনপত্র গ্রহণ ও মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বর্ণিত র‍্যাংকিং এর বাইরে অথবা অন্য কোন র‍্যাংকিং বিবেচনা করা হবে না।

৪) ফেলোশিপের আওতায় অধ্যয়ন/ গবেষণার ক্ষেত্রসমূহঃ

উন্নত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে মানব সম্পদ উন্নয়নে ফেলোশিপ প্রদানে নিম্নোক্ত ক্ষেত্ৰসমূহে প্ৰাধান্য দেয়া হবে;
Social Protection, Education, Women Empowerment, Public Health, Trade and Investment, Power and Energy, Finance and Economics, Public Policy, Public Sector Management, Legal and Security Studies, Environment, and Climate Change, Information and Communication Technology, Diplomacy, Agriculture and Food Security, Applied Sciences (Biological, Medical science, Engineering, etc.

  • ৪.১) ক্যাডার কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে অধ্যয়ন / গবেষণার বিষয় আবশ্যিকভাবে স্ব স্ব চাকরি সংশ্লিষ্ট হতে হবে;
  • ৪.২) শিক্ষকদের ক্ষেত্রে অধ্যয়ন / গবেষণার বিষয় আবশ্যিকভাবে স্ব স্ব বিষয় সংশ্লিষ্ট হতে হবে।

৫) এ ফেলোশিপের আওতায় মাস্টার ডিগ্রীর জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর এবং পিএইচডি ডিগ্রীর জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছরের ফেলোশিপ প্ৰদান করা হবে। কোন অবস্থাতেই এর অতিরিক্ত মেয়াদে ফেলোশিপ প্রদান করা হবে না।

৬) মাস্টার ডিগ্রী কোর্সে আবেদনকারীর নিকট আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর (valid) TOEFL iBT/IELTS ( Academic) / PTE Academic স্কোর থাকতে হবে। IELTS (Academic) এর Overall/ সর্বমোট স্কোর হতে
হবে ন্যূনতম ৬.৫, TOEFL iBT এর Overall/ সর্বমোট স্কোর হতে হবে ন্যূনতম ৮৮ ও PTE Academic এর
Overall/ সর্বমোট স্কোর হতে হবে ন্যূনতম ৫৯। উপর্যুক্ত স্কোর এর নিম্নে স্কোর প্রাপ্তগণ আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। পিএইচডি আবেদনের জন্য English Proficiency Test Score বাধ্যতামূলক নয়।

৭) আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখে আবেদনকারীর বয়স অনূর্ধ্ব ৪৫ বছর হতে হবে।

৮) অন্য কোন সরকারি/বেসরকারি/আন্তর্জাতিক বৃত্তি/ফেলোশিপপ্রাপ্ত প্রার্থীগণ এই ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আংশিক/পূর্ণ বৃত্তি প্রাপ্তগণ আবেদন করতে পারবেন। এ ধরণের আবেদনের ক্ষেত্রে বৃত্তির তথ্য উল্লেখ পূর্বক সংশ্লিষ্ট কাগজ-পত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে ফেলোশিপ নির্বাচন কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

৯) ফেলোশিপের ফলাফল ঘোষণার পর ফেলোদের অধ্যয়নের সেশন পরিবর্তন, বিষয় পরিবর্তন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তন এবং দেশ পরিবর্তনের কোন আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত/ মনোনীত প্রার্থীগণকে আবশ্যিকভাবে নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয় ও নির্ধারিত সেশনে অংশগ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় তাঁর ফেলোশিপ বাতিল বলে গণ্য হবে।

১০) ফেলোশিপ প্রাপ্ত ব্যক্তি কাঙ্ক্ষিত অধ্যয়ন শেষে দেশে ফিরে ন্যূনতম ০২ বছর দেশে কর্মজীবন অতিবাহিত করবেন মর্মে দুই জন সাক্ষীর [সরকারি কর্মচারী (৫ম গ্রেড বা তার উর্ধ্বে) বা স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধির (সিটি কর্পোরেশনের মেয়র/কাউন্সিলর, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান)] স্বাক্ষরসহ বিধি মোতাবেক ৬০০ (ছয়শত) টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এই মর্মে বন্ড প্রদান করবেন যে, তিনি অধ্যয়ন শেষে দেশে ফেরত না আসলে ফেলোশিপ বাবদ গৃহীত সমুদয় অর্থ সরকারকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন। উল্লিখিত সাক্ষীগণও এই মর্মে পৃথক বন্ড দাখিল করবেন যে, সংশ্লিষ্ট ফেলো অধ্যয়ন শেষে দেশে ফিরে ০২ বছর কর্মজীবন অতিবাহিত না করলে তারা যৌথভাবে ৫,০০,০০০.০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা সরকারকে প্রদান করতে বাধ্য থাকবেন। উল্লেখ্য, ফেলোশিপ প্রাপ্ত ব্যক্তি অধ্যয়ন শেষে দেশে ফেরত না আসলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

১১) ফেলোশিপপ্রাপ্ত ব্যক্তির অধ্যয়নকালীন অন্যকোন দেশে বা বাংলাদেশে ভ্রমণ/ অবস্থান করার প্রয়োজন হলে তা পূর্বেই ফেলোশিপ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

 

১২) তথ্য সংগ্ৰহ বা ইন্টার্ণশিপ বা অধ্যয়নজনিত অন্য যে কোন কারণে একজন মাস্টার ডিগ্রী ফেলো এককালীন বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ২ মাস এবং একজন পিএইচডি ফেলো এককালীন বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ৪ মাস অবস্থান করতে পারবেন। এর বেশি অবস্থান করলে তিনি স্থানীয় হারে জীবনধারণ ভাতা প্রাপ্ত হবেন। তবে ব্যক্তিগত কারণে একজন ফেলো দুই সপ্তাহের বেশী বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারবেন না। ব্যক্তিগত কারণে একজন ফেলো দুই সপ্তাহের বেশী বাংলাদেশে অবস্থান করলে সংশ্লিষ্ট ফেলো অতিরিক্ত সময়ে স্থানীয় হারে জীবনধারণ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

১৩) আবেদনকারী সরকারি কর্মকর্তা হলে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইন সাবমিশনের পূর্বে নির্ধারিত ফরমের রেকমেন্ডেশন ও ফরওয়ার্ডিং এর জন্য নির্ধারিত স্থানে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সুপারিশসহ স্বাক্ষর থাকলেই নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে মর্মে বিবেচিত হবে।

১৪) প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ গ্রহণকারী কোন ফেলো বা সরকারি কর্মকর্তা অধ্যয়নকালীন কোন দেশে নিজে বা স্পাউসের মাধ্যমে Permanent Residentship (PR) বা গ্রীনকার্ড বা নাগরিকত্বের আবেদন করতে অথবা PR / গ্রীনকার্ড বা নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না। এরূপ কেহ করলে তার ফেলোশিপ তৎক্ষণাত বাতিল করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

১৫) ইতোমধ্যে বিদেশে স্থায়ী বসবাসের জন্য নিজ বা স্পাউস অথবা পিতা মাতার মাধ্যমে আবেদন করেছেন বা অনুমতিপ্রাপ্ত হয়েছেন এরূপ ব্যক্তিগণ ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না ।

১৬) এছাড়াও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত বৈদেশিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত আদেশ/ পরিপত্র/নীতিমালার শর্তাবলী প্রযোজ্য হবে।

১৭) আবেদনে কোন মিথ্যা তথ্য বা যে কোন ধরনের জালিয়াতি ফেলো নির্বাচন বা ফেলোশিপ এর যে কোন পর্যায়ে উদ্ঘাটিত হলে আবেদন/ ফেলোশিপ তাৎক্ষণিক বাতিল হিসেবে গণ্য হবে এবং তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৮) প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ কর্তৃপক্ষ, ফেলোশিপ কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়নের নিমিত্ত যেকোন সময় প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের যেকোন শর্ত (আর্থিক সুবিধাদিসহ) সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারবে।

১৯) প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপে প্রদত্ত আর্থিক সুবিধাদি :

  • নির্বাচিত ফেলোদের ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ নীতিমালা- ২০২২’ অনুযায়ী আর্থিক সুবিধাদি প্রদান করা হবে।

২০) প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ আবেদন পদ্ধতিঃ

১. আবেদনকারীকে ফেলোশিপ এর ওয়েবসাইট pmfellowship.pmo.gov.bd এ প্রবেশ করে Eligibility Test এ
অংশগ্রহণ করতে হবে। Eligibility Test এ উত্তীর্ণ আবেদনকারী ফেলোশিপের ওয়েবসাইটে নিজের একটি ই-মেইল
একাউন্ট (নিজ নামের ডোমেইনযুক্ত ইমেইল) ও মোবাইল ফোন নম্বর ভেরিফাইড একাউন্ট খুলতে পারবেন। উক্ত
একাউন্টের মাধ্যমে একজন আবেদনকারী তার আবেদন তৈরি এবং জমা প্রদান করতে পারবেন। আবেদন জমা/ সাবমিট করার পূর্ব পর্যন্ত একাধিকবার আবেদন সংশোধন করা যাবে। আবেদন জমা দেয়ার পর আবেদনকারী আবেদনের একটি আইডি নম্বরসহ (application ID) ই-মেইল ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিশ্চয়তাসূচক (Confirmation) বার্তা পাবেন। আবেদনকারীকে আবেদন নম্বরটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। উক্ত আবেদন আইডি নম্বরটি আবেদনপত্ৰ ট্র্যাকিং এবং ফেলোশিপ সংক্রান্ত পরবর্তী যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। উল্লেখ্য যে, ফেলোশিপ কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আবেদনকালীন নিজ নামের ডোমেইনযুক্ত ইমেইল একাউন্টটি কোনভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না ।

২. অনলাইনে আবেদন জমাপ্রদান/সাবমিট এর পরে উক্ত আবেদনটির প্রিন্ট আউট নিতে হবে। এই প্রিন্ট আউটটি আবেদনের হার্ডকপি হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে আবেদনের হার্ডকপি এ কার্যালয়ে প্রেরণের প্রয়োজন নেই ।

৩. তিনটি Applicant Category এর মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হবে। বিসিএস ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাগণ “বিসিএস
সরকারি কর্মকর্তা”, অন্যান্য সকল সরকারী ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাগণ “নন বিসিএস সরকারি (বিসিএস
ব্যতীত অন্যান্য)” এবং বেসরকারি ব্যক্তিবর্গের জন্য “বেসরকারি ক্যাটাগরি”তে আবেদন করতে পারবেন।

৪. আবেদন ফরমে Applicant Category নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিসিএস কর্মকর্তা ব্যতীত অন্যান্য সকল সরকারী ও
স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ ‘নন বিসিএস সরকারি (বিসিএস ব্যতীত অন্যান্য)’ ক্যাটাগরিতে বিবেচিত হবেন। যেমন: সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়/ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

৫. বেসরকারি ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে সরকারি এবং নন বিসিএস সরকারি ক্যাটাগরির নয় এমন সকল প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।

৬. আবেদন একবার জমাদান (submission) এর পরে আর কোন সংশোধন/ সংশোধনের আবেদন করা যাবে না।
এক ব্যক্তি কেবলমাত্র একটি আবেদন করতে পারবেন। কোন ব্যক্তি একাধিক আবেদন করলে তাঁর আবেদন সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে।

২১) অনলাইন আবেদনের শেষ সময়: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, বাংলাদেশ স্থানীয় সময় রাত ১১.৫৯ মিনিট ।

২২) অনলাইন আবেদনপত্রের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে নিম্নোক্ত কাগজপত্র সংযুক্ত থাকতে হবে :

  • ১. বিশ্ববিদ্যালয়/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে নিঃশর্ত এডমিশন অফার (পূর্ণকালীন) Unconditional offer letter ( full- time) এর PDF ভার্সন Upload করতে হবে।
    ২. সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার স্বপক্ষে প্রমাণক হিসেবে সার্টিফিকেট ও মার্কসিট/ ট্রান্সক্রিপ্ট এর PDF ভার্সন সংযুক্ত/ Upload করতে হবে;
  • ৩. Applicant’s suitability for the scholarship, Purpose of selecting the particular subject/
    topic and the university, linkage of proposed study to the development of Bangladesh,
    future prospects of utilizing the acquired knowledge through this study program professional experience উল্লেখ করে ইংরেজিতে অনধিক ৫০০ শব্দে ‘Statement of Purpose ‘ নির্ধারিত স্থানে টাইপ করতে হবে। উক্ত ‘Statement of Purpose এর কোন অংশেই আবেদনকারীর নাম ব্যবহার করা যাবে না, তবে বর্তমান ও পূর্ববর্তী পদবি, কর্মস্থল ব্যবহার করা যাবে। PhD আবেদনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত স্থানে Research Proposal আপলোড করতে হবে;
  • ৪. TOEFL iBT/ IELTS (Academic) / PTE Academic পরীক্ষার ফলাফল এর PDF ভার্সন Upload
    করতে হবে আবেদনকারী সরকারি কর্মকর্তা হলে, চাকরি স্থায়ী হতে হবে এবং চাকরি স্থায়ী হওয়ার প্রমাণক (গেজেট নোটিফিকেশন এর PDF ভার্সন যথাস্থানে Upload করতে হবে।
  • ৫. অভিজ্ঞতার সনদ (শুধুমাত্র বেসরকারি আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে) এর PDF ভার্সন Upload করতে হবে
    জাতীয় পরিচয় পত্র এবং পাসপোর্ট এর সনাক্তকরণ পৃষ্ঠা (National Identity Card – NID and Passport
    Identification page) এর PDF ভার্সন Upload করতে হবে;
  • ৬. আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির JPG/ JPEG ফরম্যাট Upload করতে হবে;
    ৭. রেকমেন্ডেশন ও ফরওয়ার্ডিং ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে আবেদনকারী এবং তার কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর (তারিখসহ) ও সীলসহ (যথাস্থানে) Upload করতে হবে।

২৩) ফেলোশিপের আওতায় প্রদেয় বিভিন্ন ভাতার হার, ফেলো নির্বাচন পদ্ধতি এবং ফেলোশিপ সংক্রান্ত অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর এর জন্য গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট এর ওয়েবসাইট www.giupmo.gov.bd এ রক্ষিত ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ নীতিমালা- 2022′ এবং Frequently Asked Questions (FAQ) দেখার জন্য অনুরোধ করা হলো।

২৪) ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ নীতিমালা- ২০২২’ এবং Frequently Asked Questions (FAQ) এ বর্ণিত নেই এমন যেকোন ফেলোশিপ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য +৮৮01310594510 নম্বরে অফিস চলাকালীন সময়ে (সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকাল ৫.০০টা পর্যন্ত) যোগাযোগ করা যেতে পারে ।

২৫) ফেলো নির্বাচনকালীন যে কোন পর্যায়ে আবেদনকারী কর্তৃক/ আবেদনকারীর পক্ষে যে কোন ধরণের ব্যক্তিগত যোগাযোগ বা সুপারিশ অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের আওতায় পিএইচডি ও মাস্টার্স কোর্সে আবেদনকারীদের জন্য সাধারণভাবে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর (Frequently Asked Questions – FAQ)

১. বিদেশে ইতোমধ্যে মাস্টার্স করে থাকলে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের অধীনে মাস্টার্স বা পিএইচডি এর জন্য আবেদন করতে পারবেন কি না?

  • উত্তরঃ বিদেশে ইতোমধ্যে মাস্টার্স করে থাকলে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের অধীনে মাস্টার্স এর জন্য বিবেচিত হবেননা, তবে পিএইচডি এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

২. আবেদন ও সংযুক্ত দলিলাদি গৃহীত হয়েছে কিনা তা কিভাবে জানা যাবে?

  • উত্তর: আবেদন ও সংযুক্ত দলিলাদি গৃহীত হয়েছে কিনা তা স্বয়ংক্রিয় ইমেইল নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানা যাবে।

৩. নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বলতে কি বুঝানো হয়েছে?

  • উত্তর: নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বলতে আবেদনকারীর দপ্তর প্রধানকে বুঝানো হয়েছে। যেমনঃ
  • ক) বিসিএস কর্মকর্তাগণের ক্ষেত্রে আবেদনকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগে কর্মরত হলে তাঁর দপ্তর প্রধান হবেন উক্ত মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব, অধিদপ্তরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর প্রধান। আবেদনকারী মাঠ পর্যায়ে(জেলা/বিভাগ)কর্মরত হলে তাঁর দপ্তর প্রধান হবেন সংশ্লিষ্ট জেলা/ বিভাগীয় প্রধান। আবেদনকারী নিজেই জেলা/বিভাগীয় প্রধান হলে তাঁর দপ্তর প্রধান হবেন নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় এর সচিব।
  • খ) নন বিসিএস সরকারি (বিসিএস ব্যতীত অন্যান্য) কর্মকর্তাগণের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হবেন তাদের অফিস/ দপ্তর প্রধান। সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে দপ্তর প্রধান হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হবেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান। বাংলাদেশ ব্যাংক এর ক্ষেত্রে মানব সম্পদ বিভাগ এর মহাব্যবস্থাপক কর্তৃক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ সংযুক্ত থাকলে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।

8.নির্বাচন প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ কি কি ?

  • উত্তর: নির্বাচন প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ নিম্নরূপঃ
  • ক) আবেদন এবং সংযুক্ত দলিলাদি যাচাই বাছাইকরণ এবং প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশকরণ
  • খ) প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ এবং তদনুযায়ী বিশ্লেষণী দক্ষতা ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ
  • গ) চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশকরণ।

৫. প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের জন্য একাধিকবার আবেদন করা যাবে কিনা?

  • উত্তর: প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের জন্য একাধিকবার আবেদন করা যাবে ।

৬. প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপে বিসিএস, নন বিসিএস সরকারি (বিসিএস ব্যতীত অন্যান্য) ও বেসরকারি আবেদনকারীদের নিকট হতে আবেদন আহবান করা হয়েছে। এই তিন গ্রুপের আবেদনকারীদের মাঝে চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচনের আনুপাতিক হার কি হবে?

  • উত্তর: বিসিএস কর্মকর্তাগণ ৭০%, বিসিএস ব্যতীত অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাগণ ২০% এবং বেসরকারি আবেদনকারীগণ ১০% হারে নির্বাচিত হবেন। তবে কোন গ্রুপে নির্ধারিত উপযুক্ত সংখ্যক আবেদন পাওয়া না গেলে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তিতে তা সমন্বয় করা হবে। উল্লেখ্য যে, বিসিএস কর্মকর্তা ব্যতীত অন্যান্য সকল সরকারী ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ ‘নন বিসিএস সরকারি (বিসিএস ব্যতীত অন্যান্য)’ ক্যাটাগরিতে বিবেচিত হবেন। যেমন: সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়/ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

৭. অফার লেটার প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে TOEFL iBT / IELTS Academic / PTE Academic স্কোর আবশ্যক না হলে TOEFL iBT / IELTS Academic / PTE Academic এর শর্ত শিথিলযোগ্য কি না?

  • উত্তর: না। অফার লেটার প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে TOEFL iBT / IELTS Academic / PTE Academic স্কোর আবশ্যক না হলেও TOEFL iBT / IELTS Academic / PTE Academic এর শর্ত শিথিলযোগ্য নয়। উল্লেখ্য যে, TOEFL iBT/ IELTS Academic / PTE Academic স্কোর প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের জন্য প্রাথমিক প্রার্থী বাছাইয়ের অন্যতম একটি মানদন্ড।

৮. অফার লেটারে অধ্যয়ন ব্যয় সম্পর্কিত শর্ত উল্লেখ থাকলে তা গ্রহণযোগ্য কি না?

  • উত্তর: অধ্যয়ন ব্যয় সম্পর্কিত শর্তযুক্ত অফার লেটার গ্রহণযোগ্য। অফার লেটারে শুধুমাত্র অধ্যয়ন ব্যয় সম্পর্কিত শর্ত থাকলে তা Unconditional Offer লেটার হিসেবে গন্য করা হবে।

৯. ফেলোশিপ প্রাপ্তির পর ভর্তির সেশন/ বিষয়/ বিশ্ববিদ্যালয়/ দেশ পরিবর্তনের কোন সুযোগ আছে কি না?

  • উত্তর: ফেলোশিপ প্রাপ্তির পর ভর্তির সেশন/ বিষয়/ বিশ্ববিদ্যালয়/ দেশ পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই ।

১০. কাঙ্খিত অধ্যয়নে বর্ধিত সময় প্রয়োজন হলে মনোনীত ফেলোশিপের সময় বৃদ্ধি করা হবে কি না?

  • উত্তর: ফেলোশিপের সময় বৃদ্ধি বা পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই।

১১. ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীকে কতদিনের মধ্যে বন্ড প্রদান করতে হবে?

  • উত্তর: নির্বাচিত প্রার্থীকে ফেলোশিপ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদেয় সময়সীমার মধ্যে বন্ড প্রদান করতে হবে।

১২. Statement of Purpose এর কোন নমুনা বা গাইড লাইন আছে কি?

  • উত্তর: ইংরেজিতে অনধিক ৫০০ (পাঁচ শত) শব্দে Statement of Purpose দাখিল করতে হবে এবং উক্ত Statement of Purpose এর কোন অংশেই আবেদনকারীর নাম ব্যবহার করা যাবে না, তবে বর্তমান ও পূর্ববর্তী পদবি, কর্মস্থল ব্যবহার করা যাবে। Statement of Purpose এর গাইড লাইন নিম্নরুপঃ
  1. Why do you consider yourself suitable for the scholarship?
  2. Why have you selected the particular subject in the proposed university?
  3. Please mention the prospects of utilizing the acquired knowledge through this study program in your profession
  4. How will you link your proposed study to the development of Bangladesh?

১৩. Research Proposal এর কোন নমুনা বা গাইড লাইন আছে কি?

  • উত্তর: Research Proposal এর কোন নমুনা নেই। তবে Research Proposal এ আবশ্যিকভাবে problem statement, research questions, research gap, conceptual/ theoretical framework, methodology উল্লেখ থাকতে হবে।

১৪. আবেদনকারীর বয়স বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখকৃত ‘আবেদনকারীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা’র মধ্যে রয়েছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য কোন তারিখে আবেদনকারীর বয়স বিবেচনা করা হবে?

  • উত্তর: আবেদনকারীর বয়স বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখকৃত ‘আবেদনকারীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা’র মধ্যে রয়েছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেয়ার সর্বশেষ তারিখে আবেদনকারীর বয়স বিবেচনা করা হবে।

১৫. নিজ নামের ডোমেইনযুক্ত ইমেইল বলতে কি বোঝায়?

  • উত্তর: নিজ নামের ডোমেইনযুক্ত ইমেইল এর অর্থ হল আবেদনকারীর মূল নামের অংশ সম্বলিত ইমেইল ঠিকানা। যেমন – আবেদনকারীর নাম আমেনা খাতুন(Amena Khatoon) হলে ইমেইল ঠিকানায় অবশ্যই amena বা khatoon থাকতে হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ | প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ আবেদন করবেন যেভাবে

unnamed-2023-03-02-T101307-514

unnamed-2023-03-02-T101313-057

unnamed-2023-03-02-T101317-387

unnamed-2023-03-02-T101322-260

unnamed-2023-03-02-T101326-692

unnamed-2023-03-02-T101331-847

unnamed-2023-03-02-T101337-551

About Nazmul Hasan

Hi! I'm Nazmul Hasan. From Koyra, Khulna. I'm Student of Under National University of Govt. B. L. College, Khulna, Department of Political Science....

Check Also

অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা কবে হবে ২০২২

সরকারি ব্রজলাল কলেজ উপবৃত্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ – আবেদন ফরম ডাউনলোড লিংক

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ১৮/০১/২০২৪ খ্রি. মোতাবেক সরকারি ব্রজলাল কলেজ, খুলনায় উচ্চ মাধ্যমিক …