ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত Master’s এর ভর্তি প্রসঙ্গে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত Master’s কেনো চালু করেছে আগে কারণটা জানি, কারণ হচ্ছে প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী অনার্স বা বিবিএ করার পর তারা Master’s করে না।কারণ তারা কেউ বিদেশ উচ্চ শিক্ষার জন্য চলে যায়,কেউ পরিবারের হাল ধরতে আগে আগে জবে ডুকে যায়,কেউ সিএ করতে চলে যায়,কেউ কেউ ড্রপ আউট হয়ে যায়।
এই সীট খালি সাপেক্ষে নিয়মিত প্রোগ্রামটা কর্তৃপক্ষ চালু করে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কতোটা সীট থাকে? আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি একটা সাবজেক্টে সর্বোচ্চ ১৫ টা সীট খালি থাকতে পারে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ডিপার্টমেন্টে নিয়মিত শিক্ষার্থীই বা তাদের অনার্সের সীট ই কম সেখানে Master’s তো আরো কম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেনো সিজিপিএ ৩.২৫ চেয়েছে? কারণ একটাই বাছাই প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য।সীট এতই কম যে এখানে সবাইকে পরীক্ষা দেওয়ানো মানানসই বলে তারা মনে করে নি।তাছাড়া তারা সবাইকে বা ২.৫০ কেও পরীক্ষা দিতে এলাউ করতে পারতো তাতে লস শিক্ষার্থীদেরই।কারণ আবেদন যত বেশি করবে ততো তাদের লাভ।তারাতো তা করে নি।
অনেকে বলতে শুনেছি বড়লোকদের পড়ার সুযোগ করার জন্য এই সিদ্ধান্ত। এই কথাটা পুরোপুরি ভুল।কারণ এখানে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা যে টাকা দিয়ে পড়বে নতুন যারা ভর্তি হবে তারাও সেই একই টাকা দিয়ে পড়বে।তাহলে বড়লোক নিয়ে লাভ কী।যুক্তিটা লেইম ছিলো।
অনেকে বলবে তাহলে সিজিপিএ কী সব?যাদের ৩.২৫ তারা কী বঞ্চিতো হয়নি? বিষয়টি ভাই বঞ্চিতো যদি চিন্তা করেন তাহলে চাকরির বাজারে হাজারো লক্ষ লক্ষ Employer আছে যারা চাকরির রিকয়ারমেন্টে সিজিপিএ restriction করে দেয়।তাহলে কথা বলতে হলে সেগুলো নিয়েও বলতে হবে।
উপরের সবগুলো তথ্য বাস্তব সত্য।এ ছাড়াও অনেকের মন্তব্য থাকতে পারে।তবে তা গঠনমূলক হলে ঠিক আছে।
পৃথিবীতে প্রতিটি জিনিস এর লিমিটেশন আছে।তাদের সিদ্ধান্তেরও লিমিটেশন থাকতে পারে।তবে দেখতে হবে বিষয়টি লজিকাল কি না!আমার মনে হয় কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছে।