শিক্ষক নিবন্ধনে সবচেয়ে বেশি অংশ নেয় মানবিক এবং বানিজ্যের শিক্ষার্থীরা।কিন্তু নিবন্ধন করতে গিয়ে এরাই বিপদে পড়ে যায় । কারন মানবিকের ১১ টি বিষয় নিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং বানিজ্য বিভাগের ৮ টি বিষয় নিয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ। ,মানবিকের ১১ টা বিষয়ের জন্য ১১ টা মেধাতালিকা রয়েছে। এক একটা মেধাতালিকায় ৪০-৫০ হাজার নিবন্ধনধারী রয়েছে। বেসরকারী শিক্ষক হওয়ার জন্য সাত সমুদ্র তের নদী পার হওয়ার ধাপ।
শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পদ্ধতি – শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার নিয়মাবলী
১. প্রিলি
২. লিখিত
৩. ভাইবা
৪. ভাইভা পাস হলে সার্টিফিকেট
৫. নতুন কোন তম যুক্ত হলেই মেধা তালিকা আপডেট। এ পর্যন্ত ১-১৬ তম।
৫. প্রতি ২ বছর পর পর গনবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে তাতে আবেদন করতে হয়।
৬. আপনি যদি বাংলা, ইংরেজী,গনিত,বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হন তাহলে আপনার জন্য আছে নিজ বিষয়ের একক মেধাতালিকা। আর আপনি যদি মানবিক কিংবা বানিজ্যের শিক্ষার্থী হন তবে আপনার জন্য জব পাওয়া খুবই কঠিন লটারীর মত। যেমন মানবিকের নিবন্ধনধারীদের বলা হয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। এই অনুষদে ১২ টি বিষয় আছে। ১২ টি বিষয়ের আলাদা আলাদা মেধাতালিকা। গনবিজ্ঞপ্তিতে কোন একটি শুন্য পদে এই ১২ টি বিষয়ের নিবন্ধনধারী আবেদন করে !! লটারীর চেয়েও বেশি কিছু। বানিজ্যের ক্ষেত্রেও একই।
৭. গনবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে সিলেক্ট হলে প্রতিষ্ঠানে জয়েন করতে হবে।
৮. প্রতিষ্ঠান প্রধান খারাপ হলে জয়েন নিয়ে তালবাহানা হয়।
৯. জয়েনের পর এমপিও ফাইল পাঠানো নিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের হয়রানি। লক্ষ টাকা দাবি করতে পারে
১০. ৩৬ প্রকার কাগজ নিয়ে এমপিওতে আবেদন করতে হয়।এমপিও ফাইল উপজেলা জেলা পার করতে হয়। সেখানেও টাকা ছাড়া হয় না।
১১. এমপিও ফাইল যখন ডিডির কাছে পৌছায় তখন নানা কারনে ফাইল রিজেক্ট হয়।পদের সমস্যা, ভুল চাহিদা, মহিলা কোটা ইত্যাদির কারনে অনেক কেই বছরের পর বেতনবিহীন থাকতে হয়।সেটা ১-৭ বা ৮ বছর। অনেকের এক যুগও লেগে যায় কপাল খারাপ হলে।
১২. ফাইনালি যখন ডিডি ফাইল ওকে করে, সেদিন বুঝবেন আপনার চাকরি হয়েছে এবং বেতন ১২৫০০ টাকা।
বিএড ব্যতীত বেসিক ১২৫০০+ ১৫০০(চিকিৎসা ভাতা) – ১২৫০০*১০%(ভবিষ্যৎ +কল্যাণ তহবিল)
বিএডসহ বেসিক ১৬০০০+ ১৫০০(চিকিৎসা ভাতা) – ১৬০০০*১০%(ভবিষ্যৎ +কল্যাণ তহবিল)