এলজিইডি পদসমূহের কাজ সুযোগ সুবিধা ও পদোন্নতি

এলজিইডি’র পদসমূহের কাজ, সুযোগ সুবিধা ও পদোন্নতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দিচ্ছি। এলজিইডি তে কর্মরত আছি বিধায় মনে হচ্ছে আমার দেওয়া তথ্যগুলো আপনাদের উপকারে আসবে।

 

এলজিইডি পদসমূহের কাজ সুযোগ সুবিধা ও পদোন্নতি

unnamed-45

আরও পড়ুন: LGED Job Circular 2022 – lged.teletalk.com.bd

কমিউনিটি অর্গানাইজারঃ

ক্ষুদ্র মেরামত, এলসিএস ও আরইআরএমপি প্রকল্পের কার্যক্রম তদারকি (রাস্তায় নিয়োজিত মহিলাদের কাজ পরিচালিত করা)। মহিলা কর্মী ও সুপারভাইজারদের বেতন ও সঞ্চয়ের বিল তৈরি, চেক বিতরণ, হাজিরা রেজিস্ট্রার করা। অফিসের মোটর সাইকেল/সম্পদ রেজিস্ট্রার এবং অফিস প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন। বেতন গ্রেড ১৪তম। সুপারভাইজার থাকায় সাইট করা নিয়ে চাপ নেই তাই মহিলাদের জন্যও উপযোগী পদ। পদোন্নতি নেই তবে বদলীর মাধ্যমে উচ্চমান সহকারী হওয়া যায়।

হিসাব সহকারীঃ

সার্কুলারের আর্কষণীয় পদ। মূল কাজ অফিসের হিসাব শাখায় হিসাবরক্ষকের সাথে কাজ করা। হিসাব শাখার কাজ হচ্ছে ঠিকাদারের বিল প্রদান, চেক লিখা, ক্যাশ বুক, অডিট ফেস করা, লেজার ও স্টক সহ বিভিন্ন রেজিস্ট্রার, বেতন-ভাতা, বরাদ্দ ও বাজেট, দরপত্র ও বিজ্ঞাপন এর নথি সংরক্ষণ, আনুষঙ্গিক বিল-ভাউচার তৈরি, ভ্যাট-আইটি কর্তন, ব্যাংক ও ব্যাংক লেনদেন, অফিসের ব্যয়ের হিসাব রাখা, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সংরক্ষণ এবং অফিস তদারকি ইত্যাদি। হিসাবরক্ষক থাকলে কাজের প্রেসার কম, না থাকলে সব কাজ হিসাব সহকারী কে সামলাতে হবে৷ বুঝতেই পারছেন এই পদে প্রেশার বেশি। তবে অফিসে যতেষ্ট মূল্যায়ণ পাবেন। নিয়োগে বেতন গ্রেড ১৬। বানিজ্যে স্নাতক ডিগ্রী থাকলে অবশ্যই পদোন্নতি হবে। ৭ বছরেই হিসাবরক্ষক (গ্রেড ১১) হয়ে যাবেন। পদোন্নতি না পেলেও অল্প সময়েই ১৩ গ্রেড পাবেন।

কার্য-সহকারীঃ

উপ-সহকারী প্রকৌশলীগণের সাথে সাইটে কাজ করতে হয়। মাঠ পর্যায়ে কাজ তদারকি, মাণ নির্ণয়, পরিমাপ, ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে তথ্য দেওয়া ও নির্দেশনা মোতাবেক ঠিকাদারকে কাজ বাস্তবায়নে সহযোগিতা সহ অন্যান্য কাজ। এটি মাঠ পর্যায়ের পদ হওয়াতে সারাদিন বাহিরে থাকতে হয়। সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও কাজ থাকতে পারে। পরিশ্রম বেশি, সেই তুলনায় মূল্যায়ণ কম। পদোন্নতি খুবই সামান্য, হয়না বললেই চলে। কপাল ভালো থাকলে (২০/২২ বছর) শেষ বয়সে এসে নক্সাকার/উপ-সহকারী প্রকৌশলী হতে পারেন। বেতন গ্রেডঃ ১৬তম। পদটি মেয়েদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হওয়ায় তাদের এ পদে না আসাই ভালো।

অফিস সহকারীঃ

ফাইল কিপিং/নথিপত্র গুছিয়ে রাখা, ফাইল ওপেন ও নোট দেওয়া, ডাক, পত্র জারি ও রিসিভ, বিভিন্ন রেজিস্ট্রার মেইনটেইন, অফিস মেইনটেইন এবং অফিস প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব। সম্পূর্ণ অফিসিয়াল জব, কাজের প্রেশার কম। মেয়েদের জন্য অধিক উপযোগী। বেতন গ্রেডঃ ১৬তম। পদোন্নতির মাধ্যমে ৮ বছরে উচ্চমান সহকারী (গ্রেড ১৩) হওয়ার বিধান থাকলেও বাস্তবে বেশ লম্বা সময় লাগবে।

অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকঃ

মূলত অফিসের কম্পিউটার অপারেটর। বিভিন্ন চিঠিপত্র তৈরি, নোট লিখা, বিল টাইপিং, ফরওয়ার্ডিং, টেকনিক্যাল ও অন্যান্য রিপোর্ট তৈরি, ই-মেইল করা সহ অফিসের সকল প্রকার টাইপিং এর কাজ করতে হয়। এই পদেও প্রচুর প্রেশার আছে। বেতন গ্রেডঃ ১৬তম। কম্পিউটার টাইপিং গতি ২০/২০ না থাকলে আবেদন করে লাভ নেই। পদোন্নতির মাধ্যমে ১০ বছরে উচ্চমান সহকারী হওয়ার বিধান থাকলেও বাস্তবে বেশ লম্বা সময় লাগবে।

 

১১-২০ গ্রেডের অন্যান্য পরীক্ষার মতই চাকরির প্রস্তুতি চালিয়ে যান। ২০২১ সালের নিয়োগ বেশ স্বাচ্ছ্য হয়েছিলো। বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। একজন একাধিক পদে আবেদন করতে পারবেন, তবে একাধিক পদের পরীক্ষা একই সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

 

মোঃ তোফাজ্জল হোসেন,
হিসাব সহকারী, ব্যাচঃ২০২১

About Nazmul Hasan

Hi! I'm Nazmul Hasan. From Koyra, Khulna. I'm Student of Under National University of Govt. B. L. College, Khulna, Department of Political Science....

Check Also

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি ২০২২

মৎস্য অধিদপ্তর নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ২০২৪

মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্বখাতে নক্সাকার, বাবুর্চি, ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট, সেকেন্ড ড্রাইভার, তথ্য সংগ্রহ সহকারী, কার চালক, পাম্প …