যেভাবে নিতে পারে তোমার ভর্তি প্রস্তুতি পর্ব ১, আজ আমাদের সাথে নিজের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্ততির অভিজ্ঞতা সেয়ার করছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, ভাষা বিজ্ঞান অনুষধেন ছাত্র : “শাহীন আলম” তার ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি ২০২৩।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি ২০২৩
যদিও অনেকে বলে থাকে এডমিশন প্রিপারেশনর জন্য কোচিং-এর প্রয়োজন নেই,আমার কাছে তা মনে হয় না।গুছালো প্রস্তুতি,দৃঢ়তা,আত্মবিশ্বাস, অধিক পরিক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কোচিং করা প্রয়োজন। হয়তো ১৫/২০ শতাংশ শিক্ষার্থীর পক্ষে সেল্ফ প্রিপারেশন নেওয়া পসিবল হয়।বাকিদের কোচিং-এর সহযোগিতা লাগেই।
আমার মতে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে হলে যে বিষয়গুলায় আপনার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সেগুলো হচ্ছেঃ
১.আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রম। আপনি যেমন ধাচের স্টুডেন্টই হোন না কেন এডমিশনে ভালো করতে হলে অবশ্যই নিজের প্রতি আপনার পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে যে আপনি পারবেন।কোচিং বা আশেপাশের মানুষ যতই ভালো করুক আর যাই বলুক আপনাকে ভাবতে হবে যে আপনি পারবেনই।সেই সাথে লাগবে পরিশ্রম। ৩টা মাস যদি আপনি ঠিকঠাক শ্রম দিতে পারেন তাহলে মোটও ব্যাপারটা আপনার কাছে কঠিন মনে হবে না।প্রথমদিন যেই রিদমে শুরু করবেন শেষ দিন অব্দি সেটা ধরে রাখবেন।ইনশাআল্লাহ চান্স হবেই(মধ্যবিত্ত স্টুডেন্ট ভাইভা ভয় পাইয়েন না, আমিও মধ্যবিত্ত লেভেলের স্টুডেন্ট ছিলাম)
২.তাহলে এডমিশন প্রস্তুতির দ্বিতীয় ধাপটি হচ্ছে কোচিং করা অথবা এমন একজন শিক্ষকের সহযোগিতা নেওয়া যিনি ভর্তি পরিক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখেন এবং আপনাকে পুরো প্রসেসটা সহজভাবে বুঝাতে সক্ষম হবে।
৩.তারপর আসে ভর্তি পরিক্ষায় ভালো করার জন্য আসলে আমাদের কত ঘন্টা করে পরে উচিত।প্রকৃতপক্ষে এর কোনো যথোপযুক্ত সময়সীমা নেই।এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার সিলেবাসের উপর।অর্থাৎ আপনার সিলেবাস শেষ করতে যতক্ষণ সময় লাগে ততক্ষণ আপনাকে পড়তেই হবে।আমার সময় কোচিং থেকে যেই ম্যাটেরিয়ালস গুলো দেওয়া হত সেগুলো প্রতিদিন শেষে করে আমার নির্ধারিত টার্গেট পর্যন্ত পড়া শেষ করে রাখতাম।সেক্ষেত্রে সময় ১০ ঘন্টার বেশিও লাগত অনেকদিন।কিছুদিন শুধু ৭/৮ ঘন্টাও পড়া হত।তবে বেশি পড়েন আর কম পড়েন নিয়মিত পড়বেন।হোক সেটা ৬ ঘন্টা।৬ ঘন্টা কন্টিনিউসলি করতে পারলেও দেখবেন অনেক কিছুই শেষ।
৪.ভর্তি পরিক্ষার সময় চোখ-কান খোলা রাখতে হয়।বিশেষ করে সাম্প্রতিক বিষয়গুলোতে বেশ নজর রাখার এইটা ভালো কাজে দেয়।
৫.যত পাড়া যায় তত প্র্যাকটিস করা, পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করা।এত করে পরিক্ষা ূেওয়ার ভয় কেটে যায়।ভর্তি পরিক্ষার দিন মোটেও নার্ভাস হবেন না।সেক্ষেত্রে রিটেনে খারাপ করার পসিবিলিটি থাকে।তাই আগে থেকে প্র্যাকটিসের উপরে থাকবেন।
৬. রং বে রঙের ভয় দেখে আকৃষ্ট হয়েন না বা ভাইবেন না যে অন্য কেউ ওসব বই পড়ে অনেক ভালো করে ফেলবে।কোচিং করলে কোচিংয়ের দেওয়া বই+সেই নির্দেশনা ফলো করবেন।আর সেল্ফ প্রিপারেশন হলে পরিচিত শিক্ষক বা সিনিয়রদের সাথে পরামর্শ করে কিনতে পারেন।আমি বাংলার জন্য অভিযাত্রী, সাধারণ জ্ঞানের জন্য নাইম স্যারের ফার্স্ট ভিউ এন্ড লাস্ট ভিউ(বেস্ট আমার কাছে),ইংরেজি কোচিংয়ের দেওয়া বই।এখন ইংরেজির জন্য টেক্সবুক রিলেটেড অনেক বই পাওয়া যায় সেগুলোর কোনো একটা কেনা যায়।টেক্সট বুলেটিন বা টেক্সট প্যানেসিয়া।
শেষ কথা হচ্ছে আপনার আত্মবিশ্বাস, পরিশ্রম করার মানসিকতা,পড়ার ভাড়ে হতাশ না হওয়া,একটু গুছালো প্রস্তুতি নিলে যেকারো পক্ষে ভর্তি পরিক্ষায় ভালো করা সম্ভব।
স্যার চেষ্টা করেছি সবগুলা পয়েন্ট বলার।হয়তো কোনো পয়েন্ট মিস যেতে পারে
Shahin Alam
Department of Linguistics
Merit position -1729
Session 2019-20