যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন তারা ভর্তি বাতিল নিয়ে সঠিক তথ্যের অভাবে ভর্তি বাতিল করতে শঙ্কায় থাকে। যে কী কী কাগজপত্র লাগবে ? কত টাকা লাগবে? আবেদন অনলাইনে না অফলাইনে করতে হবে? ভর্তি বাতিল হতে কত দিন লাগবে? এরকম কয়েক ডজন প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে আর কারও দ্বারস্থ হতে হবে না। এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করছি।
অনার্স ভর্তি বাতিল কাদের দরকার হয়? বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত্ব ভর্তি নিষেধাজ্ঞা এবং কোর্স পরিবর্তন বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাগজপত্র উত্তলোনের জন্য ভর্তি দরকার হয়ে পড়ে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাতিল করতে চান। আবার প্রথম বছর পছন্দের বিষয় ভর্তি না হতে পেরে পরের সেশনে ভর্তির জন্য ভর্তি বাতিল করে থাকে।
ভর্তি বাতিলের জন্য প্রথম দরকার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট করা। স্টুডেন্ট একাউন্ট করতে আপনি আমার দেওয়া লিংকে প্রবেশ করে দেখে নিতে পারেন কীভাবে একাউন্ট করতে হবে।
একাউন্ট করা সম্পন্ন হলে আপনি নিচের কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখবেন । তারপরে সেগুলো যথাযথভাবে আপলোড করে ব্যাংকে টাকা জমা দিবেন তারপরে আপনি ওয়েবসাইটে রোল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে চেক করবেন যে কী দেখাচ্ছে।
- নিজের একাউন্টে লগ ইন করে দেখেন পেইজের বাম দিকে Academic Services নামে অপশন আছে এবং সেটায় ক্লিক করেন আর দেখবেন একই নামে আরেকটি সাব সেকশন ওপেন হবে!
- এখন Academic Services সাবসেকশনে ক্লিক করার পর নিউ পেজ আসবে। সেখানে দেখবেন সবার উপরে Admission Cancel(AC) এর লিংক আছে, পাশে খরচও লেখা আছে!সেটায় ক্লিক করবেন।
- Admission Cancel(AC) এর আবেদন পেইজ চলে আসবে ক্লিক করার পর
- সেখানে File Attachment এর ঘরে যা যা দিবেনঃ
- কলেজ ফরওয়ার্ডিং(কলেজে একটা এপ্লিক্যাশন দিবেন ভর্তি বাতিলের আবেদন করে। সেই আবেদনপত্র যে গ্রান্টেড হয়েছে সেইটার স্ক্যান কপি)
- অনলাইনে যে ভর্তির আবেদন করেছিলেন সেটার স্টুডেণ্ট কপি লাগবে।
- ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রেশন কার্ডের কপি!
- Reason ঘরে কেনো এডমিশন ক্যান্সেল করতে চান তার কারণ দর্শাবেন! তারপর প্রসিড বাটনে ক্লিক করে দিবেন কাজ শেষ!
এডমিশন ক্যান্সেল করতে সরকারি কলেজে ম্যাক্সিমাম ১৫০০ টাকা লাগবে আর বেসরকারি হলে কলেজের সাথে খরচ ডিস্কাস করে নিবেন!
ধন্যবাদ!