২২/০১/২২খ্রিঃ
বরাবর,
মাননীয় উপাচার্য,
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,গাজীপুর।
বিষয়ঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকুক কিন্তু রুটিন অনুযায়ী সঠিক সময়ে স্নাতক ২য়/৩য়/৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা নেয়া হোক/অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হোক।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ আলিফ ছোবান চৌধুরি সরকারি কলেজের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ২য় বর্ষের একজন ছাত্র। ২০১৯ সালে আমাদের ১ম বর্ষের চুড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হলেও বিগত তিন বছর ধরেই আমরা ২য় বর্ষে আটকে আছি।যার ফলে দিন দিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম এবং অবস্থা শোচনীয় হয়ে গিয়েছিল।এমতাবস্থায় ২য়বর্ষের চুড়ান্ত পরীক্ষার রুটিন দেখে মন প্রফুল্ল হয়েছিল। আমরা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছি এবং পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।কিন্তু করোনা মহামারীর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায়,অর্থাৎ ২১/০১/২২ খ্রিঃ এ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ সকল পরীক্ষা স্থগিত এর ঘোষণা আসে,যা মোটেই কাম্য ছিলো না। এমতাবস্থায় আমি এবং আমার সহপাঠীরা মানসিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার যে স্বপ্ন তা মুহূর্তেই ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। যা আমাদেরকে ভুল পদক্ষেপ নিতে ইন্ধন যোগাবে।যেখানে সারাবিশ্ব এবং অন্যান্য সকল ক্ষেত্র এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমরা দিনদিন পিছিয়ে যাচ্ছি।
আমাদের অনুরোধ হলো যে,সঠিক সময়েই পরীক্ষা নিন,আমরা পরীক্ষা দিতে চাই।অযথাই আমাদেরকে বছরের পর বছর বসিয়ে রাখবেন না।জাতিকে নষ্ট করবেন না,আমরা আপনাদের সন্তান। সন্তানদের ভুল পথের যাত্রী করবেন না। পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে এসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হোক।
শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়;শিক্ষার্থী থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে।সব সিদ্ধান্ত হতে হবে হবে শিক্ষার্থীদের ভালোর কথা চিন্তা করে।
চাকরির বয়স তো থেমে নেই।সেখানে ১টা ছেলে / মেয়ে কিভাবে এক শিক্ষা বর্ষে ২-৩ বছর থাকতে পারে।যেখানে আমাদের গ্রাজুয়েশন শেষ করার কথা সেখানে আমরা এখনো ৩য় বর্ষেই আছি এবং কোনো চাকরিতেও এপ্লাই করতে পারছি না।
অতএব,মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে,উপরিউক্ত বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।
নিবেদক, আলিফ ছোবান চৌধুরি সরকারি কলেজের সকল শিক্ষার্থীরা, হবিগঞ্জ, বাহুবল, মিরপুর,
২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র – ছাত্রীদের পক্ষে,হবিগন্জ, বাহুবল,মিরপুর, আলিফ ছোবহান ছোধুরী সরকারি কলেজ।