অনেকেই ট্রেনের গার্ড/পরিচালক সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, তাদের জন্য বিস্তারিত কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
রেলওয়ের ভাষায় গার্ড সাহেবদের আরেকটি নাম “ট্রেন পরিচালক”। সাধারণত ট্রেনের পেছনে ট্রেন পরিচালকের আলাদা কোচ/জায়গা থাকে, যেখান থেকে ট্রেন পরিচালনা করা হয়। গার্ড সাহেবই একটি ট্রেনের প্রধান ইনচার্জ।
ট্রেন পরিচালকের কাজঃ স্টেশন মাষ্টার কর্তৃক লাইন ক্লিয়ার/সিগনাল গ্রিন পাওয়ার পর প্যাসেঞ্জার ক্লিয়ারেন্স দেখে ওয়াকিটকি/ফ্ল্যাগ এর মাধ্যমে এলএম সাহেবকে ট্রেন ছাড়ার অনুমতি দেওয়া। ট্রেনের মধ্যে টিকিট চেকিংয়ে যাওয়া, ট্রেনের কোন সমস্যা হলে কন্ট্রোলকে অবগত করা, ট্রেন রানিংয়ে কোন স্টেশনে ইন/আউটের টাইম সহ সকল তথ্য লিখে রেখে কন্ট্রোলকে দেওয়া। যাত্রীদের সকল অভিযোগ শুনে কার্যকরী ব্যাবস্থা নেওয়া।
ডিউটি টাইমঃ ডিউটি শুরুর ২ ঘন্টা আগে কল ম্যান কর্তৃক কল দেওয়া হয়, ট্রেন ছাড়ার ১ ঘন্টা পূর্বে স্টেশনে পৌঁছতে হয়। কোন নির্দিষ্ট ডিউটি টাইম নেই, হেডকোয়ার্টারে ট্রেন নিয়ে না ফেরা পর্যন্ত ডিউটি চলতে থাকবে। হেডকোয়ার্টারে ফিরলে এভারেজে ১৭/১৮ ঘন্টা বাসায় থাকা সম্ভব, তবে ১২ ঘন্টার কম না। ট্রেন নিয়ে কোথাও গেলে সেখানেও বিশ্রামের ব্যাবস্থা রয়েছে। হেডকোয়ার্টার ভেদে ডিউটি চাপ কম-বেশি হতে পারে। এভারেজে মাসে ১২/১৩ দিন বাসায় থাকা সম্ভব, তবে বেশি ডিউটি বেশি বেতন।
ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাঃ সাপ্তাহিক কোন ছুটি নেই, ট্রেন নিয়ে হেডকোয়ার্টারে ফেরার পর যে বিশ্রাম পাওয়া যায় ঐটাই। তবে ছুটির প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে ১-৫ দিন পর্যন্ত টানা ছুটি নেওয়া সম্ভব। কোন কোন ক্ষেত্রে এর বেশিও নেওয়া সম্ভব।
বছরে ২০ দিন সিএল আর ১০ দিন সিসিএল এইভাবে ছুটি নেওয়া সম্ভব। এবং ডিউটির ক্ষেত্রে গার্ড সাহেবদের জুতা থেকে মাথার ক্যাপ পর্যন্ত যাবতীয় ড্রেস রেলওয়ে কর্তৃক সরবরাহ করা হবে।
বেতন ও আর্থিক সুযোগ সুবিধাঃ দুই বছর প্রফেশনাল পিরিয়ড পর্যন্ত বেতনের সাথে টিএ বিল পাওয়া যাবে। দুই বছর পর মাইলেজ চালু হলে গড়ে ৩৫-৪০ হাজার বেতন পাওয়া সম্ভব। পেনশনের সাথে মাইলেজ ৭৫% যোগ করে পেনশন পাওয়া যাবে।