নিজের যোগ্যতা প্রমানের অন্যতম এবং প্রথম স্থান হচ্ছে ইন্টারভিউ বোর্ড। স্বাভাবিক ইন্টারভিউ ভীতি দূর করা তেমন কঠিন বিষয় নয়। শুধু আপনাকে অতিরিক্ত অনিশ্চয়তা ও মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। সেজন্য আপনাকে ইন্টারভিউর আগে প্রথমে পরিকল্পনা করতে হবে এবং কিছু সহজ নিয়ম-কানুনের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। পোশাক-পরিস্চেদ এর ওপর খুব সচেতন দৃষ্টি থাকা উচিত। একজন নিয়োগকর্তা প্রথমেই নজর দেবেন সাক্ষাৎকার দাতার পোশাক-পরিচ্ছদের ওপর। পোশাক-পরিচ্ছদ দেখেই তিনি সাক্ষাৎদাতার স্মার্টনেস, বাহ্যিক গুণাবলি, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনেকটা মেপে নেন। ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে অবশ্যই তা ফরমাল হতে হবে এবং মার্জিত এবং রুচিশীল শার্ট পড়বেন। অবশ্যই উগ্র রং এর শার্ট পরিহার করতে হবে। মেয়েরা দেশীয় পোশাক পরতে পারেন। তবে হালকা রঙের সাধারণ সালোয়ার কামিজ পরে যাবেন, তা যেনো আঁটসাঁট না হয়। চুল ছেড়ে না রেখে পনিটেইল করে বেঁধে গেলে মার্জিত দেখাবে। ইন্টারভিউ বোর্ডে ঢোকার সময় অনুমতি নিয়ে ঢুকে সালাম দিবেন। অতি চটপটে ভাব বা বিনয়ী ভাব দেখাতে যাবেন না। অনেকে খুব আপসেট থাকে এটাও বুঝতে দেয়া যাবে না। – যতক্ষন না আপনাকে বসতে বলা হয় ততক্ষন অপেক্ষা করুন। বসতে বলার পর ধন্যবাদ জানাবেন। – চেয়ারে বসার সময় হালকা করে চেয়ারের পিঠে হেলান দিয়ে সোজা হয়ে বসুন, অহেতুক নড়াচড়া করবেন না বা পা নাচাবেন না।প্রথমে প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাসই আপনাকে সফলতা অর্জনে অনেক এগিয়ে দেবে। সাক্ষাৎকারে যাওয়ার আগে যে প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করেছেন, সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিন। কী ধরনের কাজ হয় জানতে তাদের ওয়েবসাইট দেখুন। প্রশ্নের উত্তর যথাসম্ভব সহজ, সরল ও সংক্ষিপ্তভাবে দিন। – কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে সরাসরি বলুন, আমতা আমতা করে সময় নষ্ট করবেন না। আপনাকে বাংলায় প্রশ্ন করা হলে, ইংরেজীতে উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। একইভাবে ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে ইংরেজিতেই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন না নিজের সম্বন্ধে কিছু বলুন, আপনার দুর্বলতা কী, কেন আমরা আপনাকে বেছে নেব—এরকম কিছু প্রশ্নের উত্তর আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন। এ ধরনের প্রশ্নে হতভম্ব হয়ে পড়ার কারণ নেই। এগুলির সাহায্যে আপনার আত্মবিশ্বাস কিংবা দূরদৃষ্টি বা অধ্যাবসায় কতটা মজবুত, সেটাই পরীক্ষা করেন প্রশ্নকর্তারা। এই প্রশ্নের উত্তর বুদ্ধি করে দিলে ভাল।
আরেক জনের মতামতে বলা হয়.
চাকরির ইন্টার্ভিউর সাধারন উদ্দেশ্য হল লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর ‘অভিজ্ঞতা’ যাচাই ও কাজের পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর যোগ্যতা যাচাই। তাই এক্ষেত্রে সিংহ ভাগ প্রশ্ন কাজ সংক্রান্ত হয়।আর এর উত্তর গুলো আপনি দিতে পারবেন আপনার অভিজ্ঞতা থেকে। প্রথম চাকরির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সম্পর্কএ basic এবং fendamental প্রশ্ন করা হয় যাতে প্রার্থী text book থেকে উত্তর দিতে পারে। উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে upgraded information দিতে পারলে খুব ভাল।স্মার্টলি উত্তর দিতে হবে।তবে ওভার স্মার্টনেস সব সময়ই negative result দিবে।salay সংক্রান্ত প্রশ্নের ক্ষেত্রে সরাসরিভাবে উত্তর না দিয়ে expected range বলা যেতে পারে।এ জন্য আগে থেকে এর উত্তর ঠিক করে রাখলে সহজে বলতে পারবেন।মোট কথা সব কথা উত্তর দিতে হবে confidence এর সাথে।উত্তর না জানলে তা সিকার করে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনার চেয়ে অনেক ‘অভিজ্ঞতা’ সম্পন্ন ব্যক্তি আপনার সামনে বসে আছে।