কম্পিউটার প্রাকটিকাল এন্ড এপটিচুড টেস্ট পদ্ধতি, কম্পিউটার অপারেটর পদের ব্যবহারিক পরীক্ষা। কম্পিউটার অপারেটর পদে যে ব্যবহারিক পরিক্ষা হয় সেখানে টাইপিং টেস্ট ছাড়াও স্টান্ডার্ড এপটিচিউড টেস্ট নেওয়া হয়। টাইপিং টেস্ট কিভাবে নেওয়া হয় এখানে দেখুন।
কম্পিউটার কাউন্সিল এ কম্পিউটার টেস্ট যেভাবে হয়:
- প্রথমে রুমে প্রবেশ করেই দেখবেন প্রতিটি কম্পিউটার এ আগে থেকেই একটা অনলাইন পেজ অপেন করা আছে।
- সেখানে দুইটা বক্সে রোল ও পাসওয়ার্ড দিতে বলবে। আপনি রোল দিবেন; পাসওয়ার্ড এক্সামিনার বলে দেবে।
- রোল পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরে একটা পেজ ওপেন হবে।
- সেখানে start একটা বাটন থাকবে। start এ ক্লিক করলে সময় শুরু হবে।
- স্ক্রিন এ লেখা থাকবে; কাগজেও থাকবে। স্ক্রিনের লেখার নিচেই আপনাকে টাইপ করতে হবে।
- ভুল লিখলে সংশোধন করা যাবে। ৮ মিনিটের সময় লেখার রং একটু চেঞ্জ হবে।
- 10 মিনিটের পর আর লেখা যাবে না।
- কোনো কিছুই আর উঠবে না।
- এবার আবার স্টার্ট ক্লিক করলে বাংলা শুরু হবে।
- আপনাকে শুধু কন্ট্রোল+ অল্টার+ভি চাপতে হবে।
- এটাও একই ভাবে শেষ হবে।
- নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে লেখার সুযোগ নাই।
- সময় শেষে সাবমিট করতে হবে। সাবমিট করলে লেখা অদৃশ্য হয়ে যাবে।
- যে আগে শুরু করবে তার আগেই শেষ হবে। সময় কমবেশির কোনো সুযোগ নাই।
- আর বাংলা কিন্তু অটো নিকশব্যান + ইউনিকোড এ চলে যাবে ।
- তাই আগেই এটা চর্চা করতে হবে। অন্য কোনো ওয়ে নাই।
- আর মনে রাখবেন; শব্দের পরে বিরামচিহ্ন হলে তার আগে স্পেস হবে না। স্পেস দিলে ভুল হবে। আবার শব্দের মাঝে ডাবল স্পেস দিলে ভুল হবে ।
কম্পিউটার প্রাকটিকাল এন্ড এপটিচুড টেস্ট পদ্ধতি
অনেকেই এই এপটিচিউড টেস্ট কি তা নিয়া দিধা দন্দ্বে থাকলেও এটি আসলে দক্ষতা পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়। দক্ষতা বলতে কম্পিউটার অফিসিয়াল সফটওয়ার চালনায় দক্ষতাকে বোঝানো হয়। বিশেষ কোন সফটওয়্যার উল্লেখ করে রিকায়ার না থাকলে মাইক্রোসফট অফিস দক্ষতাকে ধরা হয়।
প্রতি ৫ টা স্ট্রোকে একটা শব্দ। সে হিসেবে ১০০ স্ট্রোকে ৫ টা বা তার বেশি ভুল হলে সে কোনো গতি অর্জন করেনি মর্মে প্রতীয়মান হবে। এটা আমার নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি।
কম্পিউটার ব্যবহারিক পরীক্ষায় যে ৫ স্ট্রোকে এক শব্দ ধরা হয়:
- ১। সকল অক্ষর গণনার পর ৫ দিয়ে ভাগ করে কি শব্দ গোনা হয়?
- ২। কার- চিহ্নগুলো কি স্ট্রোকে ধরা হয়?
- ৩। স্পেস কি গননায় ধরা হয়?
উত্তর: যতবার আঙ্গুলের টিপ দিবেন ততটাই স্ট্রোক হিসেবে ধরা হয়, এত হিসাব করার সময় নেই, কম্পিউটারে এক ক্লিকে সব স্ট্রোক হিসাব করার অপশন আছে, তারা ঐখান থেকেই হিসাব করে।
Computer Operator পদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় কি ধরণের প্রশ্ন থাকে ?
Circular এ লিখা ছিল বাংলায় ২৫ আর ইংরেজিতে ৩০ শব্দ প্রতি মিনিটে টাইপ করতে হবে।
- ১. যদি বাংলায় ২৫ আর ইংরেজিতে ৩০ শব্দের চেয়ে কম টাইপ হয় তাহলে কি ফেল করানো হয়?
- ২. আর বাংলায় কি অভ্র ব্যবহার করতে দেয়?
- ৩. টাইপিং বাদে আর কি কি করতে দেয়?
উত্তর:
- ১। প্রথমেই আসল ব্যাপার আপনাকে টাইপিং পারতেই হবে ও সেটা বিজয়। অভ্র নাই৷ আর কী বোডে বাংলা লেখা থাকেনা।
- ২। বাংলা + ইংরেজি লেখা ১০ মিনিট
- ৩। লেখা ছাড়া ফাইল বানানো, এডিট এসব কিছু দিতে পারে।
- ৪। যদি তাদের চাহিদা মত না পাওয়া গেলে তাহলে ৩০/২০ কিছুটা কমাতে পারে, তবে সেটা খুব কম সম্ভাবনা।
এপটিচিউড টেস্টে যা পরীক্ষা করা হয়:
- প্রথমে টাইপিং টেস্ট নেওয়া হয়।
- এরপর এপটিচিউড হিসাবে আবারও টাইপিং নেওয়া হয়।
- তবে এবার টাইপিংয়ে গতি পরীক্ষা করা হয়না।
- এই টাইপিংয়ে ফাংশন টেস্ট করা হয়, যেমন দুটো কলাম করতে হবে,
- এক কলামে বাংলা এক কলামে ইংলিশ থাকবে।
- অথবা টেবিল করতে হবে, অথবা পেজ বর্ডারসহ লোগো যুক্ত করতে হবে।
- এরপর এক্সেল শীটে কাজ দেবে যেমন স্যালারী বা বিদ্যুৎ বিল তৈরি করতে হবে।
- এরপর পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করতে দিতে পারে। যদিও এটি খুব কম দেওয়া হয়।
- এরপর মাইক্রোসফট এক্সেস এ একটি ডাটাবেজ করে ফর্ম তৈরি করতে বলে। এটিও দেওয়ার সম্ভাবনা কম
- এই টেস্ট গুলোকেই বলা হয় স্টান্ডার্ড এপটিচিউড টেস্ট।
- তবে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে যদি স্পেশাল রিকোয়ার চাই যেমন গ্রাফিক্স সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে বলা থাকলে আপনাকে একটি পতাকা বানাতে বলতে পারে।
কম্পিউটার কাউন্সেলে কম্পিউটার টেস্ট:
টেস্ট গুলোতে কি ইউনিকোড এবং নিকোশ ফ্রন্ট দিয়েই টাইপ করা লাগে? নাকি বিজয় দিয়ে সুটুনি এম জি ফ্রন্টে টেস্ট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়?
উত্তর ১: ইউনিকোড, নিকোশে লিখতে হয়। ১০ মিনিট বাংলা এবং ১০ মিনিট ইংরেজি লিখতে হয়। নির্ধারিত ১০ মিনিটের পর আপনি চাইলেও আর কিছু লিখতে পারবেন না। স্বয়ংকৃত ভাবে লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। মনিটরেও লেখা থাকে আবার হাতেও প্রশ্ন দেয়। যে যেটা দেখে লিখতে পছন্দ করে। আর আপনি নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে যা খুশি করতে পারবে । কাটতেও পারবেন আবার লিখতে পারবেন। আর বাংলা শব্দ গুলো খুব জটিল থাকে না। স্বাভাবিক বানান গুলোই বেশী বেশী চর্চা করুন। শুভ কামনা সবার জন্য।
উত্তর ১: ইউনিকোড, Nikosh এ লিখতে হয়। ১০ মিনিট বাংলা এবং ১০ মিনিট ইংরেজি লিখতে হয়। আপনার রোল পাসওয়ার্ড দিয়ে ইন্টার চাপলেই নির্ধারিত ১০ মিনিট কাউন্ট ডাউন শুরু হবে, ১০মিনিট পর আপনি চাইলেও আর কিছু লিখতে পারবেন না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। মনিটরেও লেখা থাকে আবার হাতেও প্রশ্ন দেয়। যে যেটা দেখে লিখতে সাচ্ছন্দ্র বোধ করে সেটাই পারবে। শব্দ ভুল সংশোধন এর জন্য কাটতেও পারবেন আবার লিখতে পারবেন। শব্দগুলি বাংলা+ইংরেজি খুব জটিল থাকে না। স্বাভাবিক বানান গুলোই তবে যুক্ত বর্ণের ধারণা নিয়ে বেশী বেশী টাইপিং চর্চা করুন।
বি. দ্রঃ টাইপিং অবশ্যই নির্ভুল করতে চেষ্টা করুন, ৫%এর উপরে ভুল হইলে আপনি যত শব্দই টাইপ করেন না কেন, আপনি ফেইল! শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল প্রাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা:
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। অনেকের কাছে ভালোবাসা আবার অনেকের কাছে আতংকের নাম। আমার এই প্রতিষ্ঠানে প্র্যাক্টিকেল দেওয়ার সুভাগ্য হয়নি, অবশেষে বন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রনালয় এর সুবাদে সেই সুযোক পেলাম। আজকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ৩৯০ জন প্রাকটিক্যাল দিছে তার মধ্যে ২০৫ জন পাস করেছে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এর থেকে ভালো কোনো কম্পিউটার ল্যাব পাইনি। এখানে টাইপ করার জন্য 2 ভাবে সুযোক দেওয়া হয়। অর্থাৎ কম্পিউটার এর স্ক্রিন অথবা পেজ দেখে টাইপ করা যায়। এখানে কোনো চিটিং করার সুযোগ নেই copy paste করলে অটো ফেল। বাংলা লেখার জন্য ইউনিকোড থাকবে। Keyboard এর মান খুব খুব ভালো, তবে কীবোর্ডে বাংলা লেখা থাকে না। অনেকে ভাবছেন আমি পোস্টটা কেনো করলাম, অনেকেই জানেনা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল প্র্যাক্টিকেল কেমন হয় হয়তো ধারণা নেই, তাদের উদ্দেশ্যে পোষ্টটি করা। যারা এই লাইনে অর্থাৎ ১১-১৬ গ্রেডের জবের জন্য চেষ্টা করছেন, তাদের প্রাকটিক্যাল, ভাইভা share করলে নতুনরা উপকৃত হবে।আমার জানা মতে অনেকেই কম্পিউটার এর কোচিং করেনা। বিশেষ করে তাদের উপকার হবে।
মোঃ আব্দুল আলীম
বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা, গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট
কম্পিউটার অপারেটর