বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (brdb) এর অধীনে পল্লী প্রগতী কর্মসূচির আওতায় গ্রামসংগঠক নিয়োগ বন্ধকরণ সংক্রান্ত নোটিশ ২০২২। নিয়োগ নীতিমালা-পরিপত্র জারি না হওয়া পর্যন্ত পল্লী প্রগতী কর্মসূচির আওতায় গ্রামসংগঠক নিয়োগ বন্ধকরণ।
পল্লী প্রগতী কর্মসূচির আওতায় গ্রামসংগঠক নিয়োগ বন্ধকরণ ২০২২
বিষয়ঃ নিয়োগ নীতিমালা/পরিপত্র জারি না হওয়া পর্যন্ত পল্লী প্রগতি কর্মসূচির আওতায় গ্রামসংগঠক নিয়োগ বন্ধকরণ।
১। পল্লী এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যে পল্লী প্রগতি প্রকল্পটি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের মাধ্যমে জুলাই, ২০০০ খ্রিঃ হতে জুন, ২০০৮ খ্রিঃ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়। এ সময়ে মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ডিপিপি এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিপত্র অনুযায়ী আদায়কৃত সার্ভিস চার্জ হতে কমিশনভিত্তিক বেতন/ভাতা হিসেবে স্থানীয়ভাবে প্রকল্প মেয়াদকালের জন্য গ্রামসংগঠক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছিলো। অল্প কিছুদিনের মধ্যে নিয়োগকৃত গ্রামসংগঠকদের মাঝে দায়িত্বে অবহেলা, যথাযথভাবে কর্মসম্পাদনে অনিহা, চাকুরী ছেড়ে চলে যাওয়া, অর্থ হস্তমজুদ/আত্মসাৎ ইত্যাদি প্রবনতা লক্ষ্য করা যায় ৷
২। প্রকল্পের মেয়াদ সমাপ্ত হওয়ার পর এপ্রিল, ২০১০ সাল থেকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের নির্দেশনায় বিআরডিবি’র নিজস্ব ব্যবস্থাধীনে কর্মসূচি আকারে অদ্যাবধি পল্লী প্রগতি কর্মসূচির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কর্মসূচি আকারে কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে এর ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ঋণ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ, সার্ভিস চার্জ, কু-ঋণ, গ্রামসংগঠকদের বেতন/ভাতা, গ্রাচ্যুয়িটি, ভ্রমণ ভাতা, উৎসব ভাতা ইত্যাদি সকল বিষয়ে নীতিমালা/পরিপত্র জারি করা হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ সমাপ্ত হওয়ার পর কর্মসূচি আকারে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে গ্রামসংগঠকদের চাকরি, তাদের নিয়োগ, পদায়ন ইত্যাদি বিষয়ে কোন নীতিমালা/পরিপত্র জারি করা হয়নি। ফলে পূর্বের ধারাবাহিকতায় নিকট অতীত সময়ে কিছু কিছু উপজেলায় গ্রামসংগঠক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ সকল উপজেলার ঋণ তহবিলের অবস্থা, খেলাপী ঋণের পরিমাণ, সমিতি ও সদস্যদের দেনা-পাওনার সঠিক হিসাব-নিকাশ, খাতাপত্র হালনাগাদকরণ, ডিটেইল লিস্ট তৈরি, অর্থ হস্তমজুদ বা আত্মসাতের অবস্থা ইত্যাদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ না করেই গ্রামসংগঠক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
৩। ফলোশ্রুতিতে গ্রামসংগঠক নিয়োগ দেয়ার পর পুনরায় বেতন/ভাতার সংকট, দায়িত্বে অবহেলা, কর্মসম্পাদনে অনিহা, কর্মস্থলে দীর্ঘ দিনের অনুপস্থিতিসহ অর্থ হস্তমজুদ/আত্মসাতের ঘটনা ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে পল্লী প্রগতি কর্মসূচির আওতায় গ্রামসংগঠকদের চাকরি, তাদের নিয়োগ, পদায়ন ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ নীতিমালা/পরিপত্র জারি না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচির অধীনে কোন গ্রামসংগঠক নিয়োগ দেয়া সমীচীন নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে এবং কর্মসূচির আওতায় গ্রামসংগঠকদের চাকরি, তাদের নিয়োগ, পদায়ন ইত্যাদি বিষয়ে নীতিমালা/পরিপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ৷
৪। এমতাবস্থায়, নিয়োগ নীতিমালা/পরিপত্র জারি না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচির অধীনে গ্রামসংগঠক নিয়োগ বন্ধ রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো ।