জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে অর্থনীতিতে ফলাফল বিপর্যয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের স্বনামধন্য ১৩টি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০১৯ সালের ফলাফলের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এবার সিলেট এম.সি কলেজের ৬৪৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেন ১২৩ জন, ফেল করেছেন ৫২০ জন। পাসের হার ১৯.২, ফেল ৮০.৮ শতাংশ। সর্বোচ্চ পয়েন্ট পান সাইরা খাতুন (৩.৬১)।
আরও পড়ুন:
-
NU Masters Final Year Result 2022 – nu ac bd results
-
মাস্টার্স বোর্ড চ্যালেঞ্জ ২০২২ – মাস্টার্স রেজাল্ট পুনঃনিরীক্ষণ
চট্টগামের সরকারী মহসিন কলেজে ৬১৩ জনের মধ্য ফেল করেন ৪৬০ জন। পাস করেন ১৫৩ জন। পাসের হার ২৫ শতাংশ, ফেলের হার ৭৫ শতাংশ। সর্বোচ্চ পয়েন্ট পান মো. তানিমুল হাইদার (৩.৫০)। বগুড়ার সরকারী আজিজুল হক কলেজে ৪৮৪ জনের মধ্য পাস করেন ১১৫ জন এবং ফেল করেন ৩৬৯ জন। পাসের হার ২৩.৮ ও ফেল ৭৬.২ শতাংশ। সর্বোচ্চ পয়েন্ট মোছা. সাকিলা খাতুন (৩.৩৪)।
বরিশালের সরকারি বি.এম. কলেজে ৩৬৩ জনের মধ্যে ২৬৫ জনই ফেল এবং পাস করেন মাত্র ৯৮ জন। পাসের হার ২৭.০ ও ফেল ৭৩ শতাংশ। সর্বোচ্চ পয়েন্ট লিমা আক্তার (৩.৪২)। রংপুরের কার মাইকেল কলেজে ৭১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেন ৪২৭ পাস করেন ২৮৫ জন। পাসের হার ৪০.০, ফেল ৬০.০ শতাংশ। সর্বোচ্চ পয়েন্ট মোছা. মৌসুমি আক্তার (৩.৩৪)।
গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে ২৬১ জনের মধ্যে পাস করেন ৬৬ এবং ফেল ১৯৫ জন। পাসের হার ২৫.৭, ফেল ৭৪.৩ শতাংশ। সর্বোচ্চ পয়েন্ট সুমাইয়া সারা (৩.৩৮)। ঢাকা সিটি কলেজে ৩১৪ জনের মধ্যে মাত্র ৯৬ জন পাস করেন ফেল ২১৮ জন।
পাসের হার ৩১.০, ফেল ৬৯.০ শতাংশ। চট্টগ্রাম কলেজের ৭৭৬ জনের মধ্যে ফেলই করেন ৫৩৮ জন, পাস করেন ২৩৮ জন। পাসের হার ২৯.৫, ফেল করেন ৭০.৫ শতাংশ। আনন্দ মোহন কলেজের ৪৭৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ১৯১ জন, ফেল ৩৮৮ জন। পাসের হার ৪০.০, ফেল করেন ৬০.০ শতাংশ। সর্বোচ্চ পয়েন্ট মৌমিতা আফরিন (৩.৫৬)। খুলনা সরকারী বি.এল কলেজের মোট পরীক্ষার্থ ছিলো ৫৫৫ জন। পাস করেন ২৫৪ জন, ফেল ৩০১ জন। পাসের হার ৪৬.০, ফেলের করেন ৫৪.০ শতাংশ। সর্বোচ্চ পয়েন্ট চৈতী সাহা (৩.৪৪)।
ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ৪৭১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন ২১৭ জন এবং ২৫৪ জন ফেল করেন। পাসের হার ৪৭.০, ফেল ৫৩.০ শতাংশ। সর্বোচ্চ পয়েন্ট নাসরিন আক্তার (৩.৭৮)। রাজশাহী সরকারি কলেজের ৫৬৭ জনের মধ্যে ৩৬৪ জন ফেল করেন। পাস করেন ২০৩ জন। পাসের হার ৩৫.৮, ফেল ৬৪.২ শতাংশ। সর্বোচ্চ পয়েন্ট মো. শিমন আলি (৩.৩৮)। ফেনী সরকারি কলেজের ৩৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেন মাত্র ৭৭ জন। ফেল করেন ২৫৫ জন অথাৎ সিংহভাগ অংশ ৭৬.৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেন, পাস করেন ২৩.১৯ শতাংশ।
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের দেড় শতাধিকের বেশি শিক্ষার্থী ২০১৯ সালের মাস্টার্স পরীক্ষা অংশ নিয়ে পাস করেছেন মাত্র ২৮ জন।
তবে ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন শিক্ষকরা। জানতে চাইলে এ বিষয়ে ফেনী সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আইয়ুব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা কাউকে ক্লাসে দেখি না। ক্লাস করে না। পরীক্ষার একমাস আগে একটা গাইড বই কিনে সামান্য প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেয়। পড়ালেখার প্রতি কোন গুরুত্ব নেই।