জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যা জানা দরকার ও সাথে রাখা আবশ্যক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাকে প্রাথমিক কিছু জিনিস জানা ও সাথে রাখা আবশ্যক। আপনার সকল শিক্ষা সংক্রান্ত কাগজপত্র যেমন: মার্কশীট, সনদ, জন্মসনদ ইত্যাদির পিছনে আপনার নাম ও ফোন নাম্বার পেন্সিল দিয়ে লিখে রাখেন। কখনো যদি কনো দোকানে বা রাস্তায় বা কোথাও পড়ে বা হারিয়ে যায়। তবে আপনি তা ফেরত পাইতে পারেন। অন্তত যে কাগজটা পাবে সে দেখেই বুঝবে যার হারাইছে তার কতটা দরকারি।
রেজিস্ট্রেশন কার্ডঃ
আপনার নিকট যে রেজিঃকার্ড আছে তা দিয়েই আপনাকে অনার্স বা ডিগ্রি শেষ করতে হবে এবং ইহা মাস্টার্সে ভর্তির সময় লাগবেই। হারিয়ে যাওয়া,ছিড়ে যাওয়া ইত্যাদি থেকে বাঁচার জন্য আপনার রেজিঃকার্ড টি স্ক্যান করে পিডিএফ ফাইলে করে নিবেন। এবং উক্ত ফাইলটি পিসি, ল্যাপটপ, ফোন ইত্যাদি তে রেখে দিবেন। এতে হয়রানি হতে হবে না।সব থেকে উত্তম হলো গুগল ড্রাইভে রাখা।
একটি মেইল একাউন্টঃ
একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট হিসেবে আপনার একটি mail এ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক। একটা জিমেইল এ্যাকাউন্ট থাকলে আপনি গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারছেন। একটা ড্রাইভে আপনি ১৫ জিবি স্পেস পাবেন। যেখান ছবি, ভিডিও, পিডিএফ সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখতে পাবেন ।আপনার ফোন ফরমেট হলে, হারালে ডিলিট হলেও তা ড্রাইভে থাকবেই। শুধু মেইল থাকলে হবে না এটা ব্যবহার করতে হবে। কারন বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের সময় প্রার্থীর সিভি মেইল থেকে পাঠাতে বলে। আসলে তারাও দেখতে চায় প্রার্থী কতটা স্মার্ট।
একটা সিভিঃ
আপনার লক্ষ যাহাই থাকুক আপনি অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য সকল প্রকার চাকরীর আবেদন করে যান। চাকারীর আবেদনের জন্য সিভি প্রয়োজন। আপনি নিজে একটা স্মার্ট সিভি তৈরি করে পিডিএফ ফরমেট করে সাথে রাখেন। যখন যেখানে লাগে ব্যবহার করতে পাবেন। আর আবেদন যদি অনলাইনে করতে হয় তবেতো কথাই নাই।
এনআইডি এবং জন্মসনদঃ
আপনার সাথে সর্বদা আপনার NID/জন্মসনদের ১টা কপি নিকটে রাখিবেন। কারন কখন কোনটা প্রয়োজন পরে বলা যায় না। তবু যদি কষ্ট হয় তবে NID/ জন্ম সনদের নাম্বার নিজ ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে সেভ করে রাখেন।পরে থাকবে।সাথে HSC, SSC,honour’s এর রোল রেজিঃনাম্বার লিখে রাখতে পারেন।
আপনার ছাবিঃ
আপনার ভ্যানিটি বা ওয়ালেটে ২ কপি পি.পি সাইজ ছবি রাখুন। যেকোন সময় কাজে লাগতে পারে।
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট সত্যায়িত। আপনার শিক্ষা জীবন ও NID/জন্ম সনদের কপি গুলা বেশি করে একজন বিসিএস ক্যাডার দ্বারা সত্যায়িত করিয়ে রাখেন। কারন প্রয়োজনের সময় কোন কিছু পাওয়া যায়না। এখন বলতে পারেন অংক দুই টাকা দিলে কলেজের সামনে ভ্যাভলাইয়ের দোকানে সত্যায়িত করা যায়। এত কষ্ট করাম ক্যা ভাই ?
হ্যা ভাই করা যায়।সব ক্ষেত্রে ওসব কাগজ দেখেনা।তবে আপনি যদি পোলাওকে ভাত ভাবেন তাইলেতো বিপদ।নামি দামী প্রতিষ্ঠান ,সরকারী ক্ষেত্রে যদি প্রাথমিক ধাপ পার করেন তবে আপনার কাগজপত্র আবার দেখা হয়ে থাকে।যদি কেউ সেটা ধরতে পারে তবে আপনি সুযোগ হারালেন।আবার প্রশ্নকর্তা বলে দিতে পারে যে, মৃত ব্যাক্তি আপনার কাগজ সত্যায়িত করে দিল ! বাহঃ বাকীটুকু বুঝে নিবেন।
একটি ডিকশনারি রাখুনঃ
ফোনে একটা ডিকশনারি রাখুন। কারন সবাইতো সব কিছু জনে না। অনেক সময় এমন পরিস্থি চলে আসে যে জানা জিনিস ভুলে যায়।
লেনদেন একাউন্ট রাখুনঃ
ফোনে ১টা বিকাশ বা রকেট বা নগদ এ্যাকাউন্ট রাখুন।বলা যায় না. . .কখন দরকার পরে যায়।
আপনার জেলা নিয়ে জ্ঞান রাখুনঃ
আপনি যে জেলাতে থাকেন তার বিষয়ে ক্ষুদ্র হলেও জ্ঞান রাখুন।
যোগাযোগ বৃদ্ধি করুনঃ
নিজ ডিপার্টমেন্টের প্রধান বা শিক্ষক এবং একজন নিয়মিত স্টুডেন্টের সাথে যোগাযোগ রাখুন। কাজে লাগবে।
টাকা সঞ্চয় করুনঃ
এখন থেকে সেভিংস করা শিখুন কাজে লাগবে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল,গড়ে তোলে মহাদেশ সাগড় অতল।
চাকরি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করুনঃ
অনলাইনে সপ্তাহে ১দিন চাকরীর ওয়েবসাইটে ঢু মারবেন। এতে আপনি কতটা তৈরি রেখেছেন বর্তমানের সাথে বা কতটা তৈরি থাকা দরকার তা বুঝতে পাবেন। ফ্রি বেসিক থেকেও জানা যায়।
নিজের চাকরির আবেদন নিজে করুনঃ
অনলাইনে বিভিন্ন আবেদন নিজে করবেন। ১বার ভুল হবে। হতে দেন। ভুল থেকে শিখবেন।