তৃতীয় বর্ষের ফল আটকে আছে ঝিকরগাছার ৪১ শিক্ষার্থীর, ফল প্রকাশের দাবি। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত তিনটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ৪১ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল আটকে আছে। ৭ আগস্ট প্রকাশিত ফলাফলে তাঁদের ‘এক্সপেলড অর রিপোর্টেড’ (বহিষ্কার) দেখাচ্ছে।
তৃতীয় বর্ষের ফল আটকে আছে ৪১ শিক্ষার্থীর – ফল প্রকাশের দাবি
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। এতে তাঁদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানের দাবিতে আজ রোববার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা।
আটকে আছে। শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে ওই শিক্ষার্থীদের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা নিজেদের ব্যাখ্যাসহ কৈফিয়তপত্র পাঠালেও কোনো সমাধান পাননি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবদুল করিম বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলা হচ্ছে, আমাদের মূল খাতার সঙ্গে অতিরিক্ত শিটের লেখার মিল নেই। বাইরে থেকে অতিরিক্ত শিট মূল খাতার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমরা কোনো অনিয়ম করিনি। পরীক্ষার হলে যে শিক্ষকেরা পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরাও এ বিষয়ে জানেন। একটি কক্ষের ৪৮ জনের সবাই কি অসদুপায় অবলম্বন করেছে? তাহলে পরীক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষকেরা কী দায়িত্ব পালন করলেন? মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পরীক্ষাকেন্দ্রে ভুলত্রুটির দায় শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে আমাদের ফল প্রকাশের দাবি জানাই।’
ঝিকরগাছা মহিলা কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব অধ্যক্ষ শাহানুর কবীর বলেন, শিক্ষার্থীরা কোনো অনিয়ম করেননি। পরীক্ষার হলে যে শিক্ষকেরা পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরা যথাযথভাবে মূল খাতার সঙ্গে অতিরিক্ত শিট যুক্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন। এখন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সমাধান করবে।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বদরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের আবেদন পেয়েছেন। সারা দেশে এমন ৩৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। সবার আবেদন জমা পড়ার পর বিষয়টি শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ওঠানো হবে। মাসখানেকের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সুত্র: প্রথম আলো ৫\৯/২০২২
*যুগান্তর
*ইনকিলাব
*আজকের পত্রিকা
*দৈনিক শিক্ষা
*আমাদের বার্তা