কম্পিউটার অপারেটরে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে করণীয়: গবেষণা সহকারী, ব্যক্তিগত সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট, কম্পিউটার ল্যাব এসিস্ট্যান্ট, সাটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর।
কম্পিউটার অপারেটরে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে করণীয়
https://ibb.co/mqcKPsx
নিম্নোক্ত বিষয়গুলোতে দক্ষতা শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় আনুন-
যে যে বিষয়ে দক্ষতা আনবেন-
১৷ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
২। মাইক্রোসফট এক্সেল
৩। মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট
৪। টাইপিং স্পীড (ইংরেজি ৩০, বাংলা ২০ শব্দ প্রতি মিনিটে)
৫। ইন্টারনেট বেসিক (ইমেইল লেখা, পাঠানো, উত্তর দেয়া)
৬। ডাটা এন্ট্রি
৭৷ কম্পিউটার বেসিক ট্রাবুল শুটিং
৮। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বেসিক ধারণা, ইন্সটলেশন
৯। সফটওয়্যার ইনস্টল।
১০। বহুভাষী সাঁটলিপি (বাংলা, ইংরেজি)
ইংরেজি ও বাংলায় ৭০, ৭০।
১২। প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম।
১৩। বাংলা ও ইংরেজি পড়া ও লেখার মৌলিক দক্ষতা
১৪। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর বেসিক ধারণা ও ব্যবহারিক কাজ।
১৫। কাজের ক্ষেত্রে শর্টকাট কী ব্যবহারের অভ্যাস করা।
প্রশিক্ষণ কোথায় করবেন-
১। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল
২। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
৩। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর
৪। জাতীয় নারী সংস্থা
৫। সমাজসেবা অধিদপ্তর
৬। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অধীভূক্ত প্রতিষ্ঠান
- কোর্সের মেয়াদ অবশ্যই ৬ মাসের হতে হবে।
যে যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন-
১। কম্পিউটার এপ্লিকেশন
২৷ গ্রাফিক্স ডিজাইন
৩। ডাটাবেইজ
৪। সাঁটলিপি
শিক্ষানবিশ:
প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর অবশ্যই আপনাকে শিক্ষানবিশ হিসেবে পার্টটাইম/ফুলটাইম জব করতে হবে। পেশাদার প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সার্টিফিকেটে নয়, কর্মদক্ষতা যাচাই করা হয়। আপনার দক্ষতা বর্ধনের সময়কালে কম মজুরী হলেও নিজের ক্যারিয়ার বিল্ডআপ করতে মানিয়ে চলতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : আপনাকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করার জন্য সংশ্লিষ্ট সিলেবাসগুলোতেও দখল ও অনুশীলন থাকতে হবে। আমার লেখাটি মূলত টেকনিক্যাল দক্ষতা আগে থেকে নেওয়ার জন্য পরামর্শমূলক।
- দক্ষতা বাড়াতে গিয়ে একাডেমিক ও জবের পড়াশোনায় লালবাতি জ্বালাবেন না।
মুহাম্মদ আবদুল গণি
বিএ (অনার্স) ইতিহাস, এম এ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
পেশাদার কম্পিউটার অপারেটর