ট্রাবলস্যুটিং নিয়ে কিছু ধারণা দেই। ১) ডেস্কটপ থেকে মনিটরে তারের মাধ্যমে কি কি সংযোগ দিতে হয়। আবার মনিটর থেকে বিদ্যুৎ বোর্ডের সংযোগ, সাথে ইউপিএস থাকলে সেটার সংযোগ কীভাবে দিতে হয় সেটা দেখাতে বলতে পারে। এমন হতে পারে, ডেস্কটপের পাওয়ার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বলবে পাওয়ার এনে দাও, মাউসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বলবে মাউস কেন কাজ করছে না?
২) কম্পিউটার এর কি-বোর্ডে নাম্বার লক করে দিয়ে বলবে এখন মনিটরে তোমার ফোন নাম্বারটা লিখো, সেক্ষেত্রে আগে নাম্বার লক আনলক করে নিবেন।
৩) একই সাথে বিজয় বায়ান্ন ও অভ্র সফটওয়্যার ইনস্টোল ও চালু করে দিতে পারে। ২টা কি-বোর্ড একই সাথে চালু থাকলে টাইপিং এ ঝামেলা হবে। হয়তো পরীক্ষক সে ঝামেলা তৈরি করে রাখবে, সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি শিখে নিবেন।
৪) কি-বোর্ডে ক্যাপস লক করে রাখতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি? শিখ নিবেন।
৫) ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড দিয়ে বলবে কম্পিউটারে ওয়াইফাই কানেক্ট করো, কিংবা কম্পিউটারে ব্রডব্যান্ড কানেকশনের তার দিয়ে বলতে পারে, ব্রডব্যান্ড কানেকশন করো।
৬) আলাদা সাউন্ড বক্স দিয়ে বলতে পারে সাউন্ড বক্স ডেস্কটপের সাথে সংযোগ করো, এবার একটা ভিডিও প্লে করে সাউন্ড এনে দেখাও।
৭) মাউসের কার্সরকে স্লো করে দিয়ে বলতে পারে এটাকে কীভাবে দ্রুত করানো যায়??
৮) একটা নষ্ট কি-বোর্ড দিয়ে বলতে পারে টাইপিং করো, এক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি?? (দেখবেন কি-বোর্ডে বাতি জ্বলে কিনা, না জ্বললে ধারণা করবেন হয়তো কি-বোর্ড নষ্ট, সেক্ষেত্রে আরেকটা পিসিতে সংযোগ দিয়ে সেটা ভাল কিনা, যাচাই করে নিবেন)।
কম্পিউটার ট্রাবলস্যুটিং অনেক বড় বিষয়। আটকানোর ইচ্ছা থাকলে আপনি যতবড় প্রোগ্রামারই হোননা কেন, আটকানো যাবে। সে ইচ্ছা নিশ্চয়ই পরীক্ষকদের নেই। তবে উপরোক্ত বিষয়গুলো আপনাকে সহজভাবে ট্রাবলস্যুটিং সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা দিবে। সবার জন্য শুভকামনা।