The Ministry of Public Administration has increased the age limit of government job candidates by 5 months.
পাঁচ মাসের বিশাল ছাড়ঃ
সরকারি চাকরি প্রার্থীদের বয়স ৫ মাস ছাড় দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। এ বিষয়টি অনেকের কাছে ক্লিয়ার হয়নি। আমি কিছুটা বুঝাতে চেষ্টা করছি।
কোভিড-১৯ এর কারণে গত ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখের পর থেকে যে সকল দপ্তর/প্রতিষ্ঠান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে নি, সেসব প্রতিষ্ঠান এখন যেসব সার্কুলার দেবে তাতে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে ৩০ বছর হতে হবে- এমনটা উল্লেখ করে দেবে। আগস্ট ২০২০ থেকে আসা সার্কুলারগুলোর ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
অর্থাৎ ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে যদি আপনার বয়স ৩০ বছর বা এর কম হয় তাহলে আপনি ঐসব সার্কুলারগুলোতে এখন আবেদন করতে পারবেন। এতে করে যাদের বয়স ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে ৩০ বছর পূর্ণ হয়ে গেছে, তারা এখন ৫ মাসের বিশেষ ছাড়ের কারণে সার্কুলারগুলো পেয়ে গেলেন।
বিশেষ ছাড়টা কেমন হলো তা আপনারাই ভাল জানেন। কর্তা ব্যক্তিরা বেকারের কষ্ট আসলেই বোঝে না! এই ছাড় শুধুমাত্র যাদের বয়স শেষ হয়ে গেছে, তাদের একটু কাজে লাগলো!
যেখানে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২/৩৫ বছর করা নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। সেখানে ৫ মাসের বিশেষ ছাড়।
প্রজ্ঞাপনে চলতি বছরের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর হয়েছে তারা আগস্ট পরবর্তী সময়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার সুযোগ পাবেন বলে জানানো হয়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চের পর মার্চ-এপ্রিল-মে-জুন-জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত যে সমস্ত মন্ত্রণালয় চাকরির জন্য তাদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দিতে পারেনি তারা আগস্টের পর থেকে বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে প্রার্থী যারা থাকবে তাদের জন্য আবেদন চাইবে যে ২৫ মার্চ তাদের বয়স ৩০ বছর হতে হবে। এটুকু দিলে তারা (চাকরি প্রত্যাশী) কনসেশনটা পেয়ে গেল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনার বিস্তার বাড়তে থাকায় গত ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির মধ্যে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তার আগে গত ডিসেম্বর থেকে চাকরিতে নিয়োগের নতুন কোনো বিজ্ঞপ্তি দেয়নি কমিশন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৩০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে আবেদন করা যায়।
সোর্স লিংকঃ https://jamuna.tv/news/173614