বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে জনবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৯৬৮০ জন কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া হবে। ২২ জুন হতে ৯ জুলাই ২০১৯ বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় বাছাই প্রক্রিয়া চলবে। পুরুষ কনস্টেবল ৬ হাজার ৮০০ এবং নারী কনস্টেবল ২ হাজার ৮৮০ জন নিয়োগ দেয়া হবে।
প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলায় শারীরিক মাপ ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শেষে বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া তারিখ অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
প্রার্থীর যোগ্যতা :
বয়স :
সাধারণ/অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ০১/০৬/২০১৯ তারিখে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর (০২/০৬/২০০১ হতে ০২/০/১৯৯৯ এর মধ্যে জন্ম)। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে ০১/০৬/২০১৯ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা :
এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.৫, বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে ও অবিবাহিত হতে হবে।
শারীরিক মাপ :
সাধারণ ও অন্যান্য কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, উপ-জাতীয় কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। নারী প্রার্থীদের সকল কোটা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
শারীরিক মাপ ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণকালে সঙ্গে যা যা আনতে হবে :
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/সাময়িক সনদপত্রের মূল কপি। ইউনিয়ন পরিষদের পরিষদের চেয়ারম্যান/সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূল কপি। প্রার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি (যদি না থাকে মাতা/পিতার পরিচয় পত্রের মূল কপি)। সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা। ১-২২১১-০০০০-২০৩
১ নম্বর কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমাপূর্বক চালানের কপি আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে পিতা/মাতা/
পিতামহ/ মাতামহের নামে ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের মূল কপি যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও প্রতি স্বাক্ষরিত হতে হবে।
পুলিশ পোষ্য কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পিতা/মাতার নাম, পদবী, বিপি নম্বরসহ কর্মরত ইউনিটের প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্রের মূল কপি সঙ্গে আনতে। আনসার ও ভিডিপি কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪২ দিন মেয়াদী প্রশিক্ষণের মূল সনদপত্র আনতে হবে।
পরীক্ষা পদ্ধতি :
নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে দৌড়, রোপিং ও জাম্পিং ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরৎলিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে (ন্যূনতম ৪৫% মার্ক প্রাপ্তদের উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হবে)। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
নির্বাচন পদ্ধতি :
লিখিত মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিবেচিত হলে প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হবে।
প্রশিক্ষণকালীন সুবিধা :
প্রশিক্ষণকালীন বিনামূল্যে পোষাক সামগ্রীসহ থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার সুবিধা দেয়া হবে এবং ৭৫০/-টাকা হারে প্রশিক্ষণ ভাতা দেয়া হবে।
নিয়োগ ও চাকরীর সুবিধাদি :
প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৭তম গ্রেড (৯০০০-২১৮০০/-) টাকা ও অন্যান্য বেতন-ভাতাদিসহ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হবে। বিনামূল্যে পোশাক সামগ্রী ঝুঁকি ভাতা, চিকিৎসা ভাতা সহ রেশন সামগ্রী স্বল্প মূল্যে দেয়া হবে।
উপরের সার্কুলার টি যদি আপনি বুঝতে না পারেন তাহলে আপনি পত্রিকা দেখতে পারেন অথবা আমি পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যে পিডিএফ ছেড়েছে সেটার লিংক দিচ্ছি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক
করুন এবং সরাসরি ডাউনলোড হতে শুরু করবে।