২০১৫ সাল হতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যাল হাতে নেয় ক্রাশ প্রোগ্রাম. এই প্রোগ্রাম এর আওতায় এসে সুফল পাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যাল. দেশের সবচেয়ে বড় এই বিশ্ববিদ্যালয় কয়েক লাখ ছাএছাএীর অভিভাবক. কিন্তু ক্রাশ প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের যতটা সুফল আসছে ঠিক ততটা ভোগান্তি ও পড়ছে ছাএছাএীরা. কিছু সিধান্ত যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছাএছাএীদের জন্য ঠিক কিছু সিদ্ধান্ত আবার মেনে নিতে পারছে না সবাই. তাই গত দুবছর হতে প্রতিটি রুটিন ও ফলাফল নিয়ে দেখা দিচ্ছে বিতর্ক. শুরুটা হয়েছিল ১১-১২ সেশন নিয়ে তৃতীয় বছরের পরীক্ষার রুটিন মাএ ৭ মাসে দেওয়ার পর আন্দোলন শুরু পরবর্তীতে পিছিয়ে নেওয়া হয় রুটিন. পরবর্তীতে পরীক্ষার সময় ৪ ঘন্টা হতে সাড়ে ৩ ঘন্টায় আনা হলে আবারো সারাদেশে তুমুল আন্দোলন হয়. পরবর্তীতে এই সিধান্ত ও পরিবর্তন করা হয়. জাবির একটি ধারায় আছে যে ১ম ও ২য় ইয়ারের সকল বিষয় পাস না করলে তৃতীয় বছরের রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে না. তাই কিছুদিন আগে ১৩-১৪ ইয়ারের ফলাফল এ যাদের আগের ইয়ারে ফেল ছিল তারা ফলাফল পায়নি. আবার আন্দোলনে ছাএছাএীরা পরবর্তীতে তাদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়. ১১-১২ সেশন এর ফলাফল পরীক্ষা হওয়ার ৩মাস ২ দিনে প্রকাশ করলে. ১২-১৩ অনার্স ফাইনাল ইয়ারের রেজাল্ট প্রায় ৪ মাস হলেও এখনো প্রকাশ করা হয়নি. ক্রাশ প্রোগ্রাম এ তিন মাসে ফলাফল প্রকাশের কথা থাকলে. ১২-১৩ ডিগ্রির রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে প্রায় ৫ মাস পর. সবশেষ বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ১৩-১৪ এর রুটিন নিয়ে. ছাএছাএীদের দাবি তারা পযার্প্ত সময় পায় নি. এবং তৃতীয় বছরের পরীক্ষার রুটিন ও একসঙ্গে দেওয়ার কারণে যারা মানউন্নয়ন দিবে তারা সমস্যায় পড়বে. যদিও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিসেম্বর এ পরীক্ষা নিবে বলে অনেক আগেই ঘোষণা দিয়েছিল. কিন্তু রুটিন দেওয়ার পর হতেই আন্দোলনে ছাএছাএীরা . বারবার বিতর্ক বারবার আন্দোলন. এতে করে যেমন ছাএছাএীদের পড়াশোনা ক্লাস নস্ট হচ্ছে তেমন করে ভোগান্তিতে সকল বছরের ছাএছাএীরা. অপর দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি সকলের সহয়োগিতা নিয়েই সেশনজট কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন. কিন্তু বারবার আন্দোলনে জাবি তাদের নিধারিত সিডিউল অনুসারে এগিয়ে যেতে পারছে না. মূল কথা হল এই দায় কার? ?? কে নিবে এই দায়. ছাএছাএীদের নাকি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের? ?